কর্মজীবিন মানেই একটা আনন্দময় জীবন। যার কর্ম নেই তার জীবনে কোনও আনন্দ ও নাই।
আমরা যারা কর্মে যত বেশি ব্যস্ত তারা ততই বেশি আনন্দিত।কর্মময় জীবন সব সময় সুখময়
হয়। বিশেষ করে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিমতে বলতে পারি যে,আমি কাজের মাঝেই আনন্দ
পাই।আর প্রতিটা মানুষে যার যার অবস্থান অনুযায়ী তাদের ভালো কাজের সফলতা অনুযায়ী আনন্দ
খুঁজে পাওয়া। যেন তার আনন্দ পাওয়ার তাগিদেই তার কাজের এ সফলতা। আবার কেউ কেউ আছেন
যারা নিজের স্বার্থ ও নিজের লাভের আশায়ও কাজকে ভালোবাসেন।আসলে আমাদের মনে রাখতে হবে
সব কাজই শুধু নিজের উপকার লাভের জন্য করা উঁচিৎ নয়।যে কাজে আমার লাভ হবে বা স্বার্থ হাসিল
হবে,কিন্তু সমাজ ও সমাজের মানুষের ক্ষতি হবে সেরকম কাজ মোটেও কারো জন্য গ্রহণ যোগ্য নয়।আমাদে
নিজের কথা না ভেবে আগে সমাজের কথা ভাবতে হবে।আমাদের যে কাজে সমাজের মানুষ উপকিত হবে এই
সমাজ লাভবান হবে,আমাদের সেরকম কাজ করাই উঁচৎ।তবেই আমরা হতে পারবো সফল কর্ম জীবনের অধিকারিত্ব
সফল মানুষ।আমাদের মনে রাখতে হবে,কর্ম জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে আগে প্রয়োজন নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসী
হওয়া। একই সাথে সমাজের মাঝে সৃজনশীল চেতনা তুলে ধরা,যাতে অন্যের মাঝেও তাদের ঘুমন্ত মেধাশ্রমগুলো জাগ্রত হয়,
বা চেতন হয়।আমাদের মনে রাখতে হবে সততা ও সত কর্মজীবনের মাঝেই আত্মমর্যাদা খুঁজে পাওয়া যায়।তাই আমাদের
নিজেদের মেধাশ্রমের পাশাপাশি অন্যের মেধাশ্রমকেও মূল্যায়ন করতে হবে এবং যতদুর সম্ভব অন্যের থেকে তাদের কর্ম
মেধার ধারনাও আমাদের লাভ করতে হবে,তবেই সকলের কর্ম জীবন সফলতার আলো দেখবে,এবং অন্যদিকে কর্মের মাঝে
নিজেকে গড়ে তোলার পাশাপাশি কর্ম জীবনের আনন্দটা সেটাও খুঁজে পাওয়া যাবে।একই সাথে ধীরে ধীরে সমাজের দরিদ্র
নামের অভিসাপও মোচন হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪৩