এখন আর সচারাচর সেই আগের হরিণ মার্কা এক টাকা'র নোট চোখে পড়েনা ।অথচ এক সময় প্রতিদিন সকাল হলেই
ঘুম থেকে উঠৈ হাত মুখ ধুয়ে ঘরে প্রবেশের সাথে সাথে বাবা পকেট থেকে বের করে দিতেন দুটি করে এক টাকা'র নোট।
তা দিয়ে সে সময় সারাদিন চকলেট, সুপার বিস্কুট,বাদাম,ছাড়াও নানান রকম মজা কিনে খাওয়ার পরেও রাতে দেখতাম
পকেটে আরো আটনা বা বারোআনা রয়েগেছে,আর সেই আটআনা বারোআনাকে খুব যত্ন সহকারে মাটির ব্যংকটোপায় জমাতাম
ঈদের জন্য । দেখা যেত এভাবে প্রতি বছর শেষে ঈদ আসলেই মাটির ব্যাংক টোপা ভাঙ্গার পালা শুরু হয়ে যেত আর ব্যাংক থেকে
হাজার বারোশত টাকা বের করে আনতাম । সেই টকা দিয়ে খুব আনন্দের সাথে মার্কেট করতাম ।আসলে খুচরা সঞ্চয়ের আনন্দটাই
আলাদা পাওয়া যেত ।এর পর ঈদের দিল খুব ভোরে গোসল করার পর থেকেই শুরু হয়ে যেত এক টাকা দুই টাকা করে সালামী পাওয়া।
তা দিয়ে তখন ফুটফাটে ঈদ উপলক্ষে বসা চটপটির দোকানগুলো থেকে চটপটি, ফুচকা ও নানান ধরনের খাবার খেতাম। এ ছাড়াও তখন
ঈদ উপলক্ষে ঢাকা শহরে সব থেকে বেশি জমজমাট স্থান ছিল রমনা ও শিশু পার্ক আর ঢাকা শহরের সিনেমা হলগুলো ।
আহা! কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরেপেতাম সেই শিশু ও কৈশরের দিনগুলো ।
যাই হোক টা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না,তবুও আগামী ভবিষৎ প্রজন্ম শিশুদের মাঝে সেই দিনগুলোকে খুঁজি আরো আনন্দময়
ভাবে। সকলকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ঈদমুবারক
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪