ইউএস এর আইটি বিজনেস ও পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বিশ্ব্যব্যাপি নগদ অর্থ ব্যবহার হ্রাস করার উদ্যগ নিয়েছে। বাট সমগ্র পৃথিবীতে নগদ লেনদেন বন্ধ করার পেছনে এটাই একমাত্র যুক্তি নয়। বরং সমগ্র পৃথিবীতে লেনদেনের ডিজিটাইজড তথ্য ও আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভে করার জন্য ইউএস গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইটি কোম্পানি মিলে নগদ লেনদেন হ্রাসের উদ্যগ নিয়েছে। ইন্ডিয়া হল প্রথম দেশ যেখানে তা টেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
নভেম্বর ৮, ২০১৬ সালে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী কোন প্রকার পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ৫০০ ও ১০০০ রুপির মূল্যমানের সকল নোটকে বাতিল ঘোষনা করেন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ এর মধ্য সেসকল নোট ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে জমা না দিলে স্থায়ীভাবে বাতিল হয়ে যাবে। অথচ মাত্র অর্ধেক ইন্ডিয়ানের ব্যাংক একাউন্ট আছে।
নোট বাতিলের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত মানবিক বিপর্যয় ঘটানোর পেছনৈ যে যুক্তি দেয়া হচ্ছিল তা ছিল সম্পূর্ন অযৌাক্তিক ও বানোয়াট।
বাস্তব কারণ ছিল - হ্যা অবশ্যই - ওয়াশিংটন থেকে একেটি আদেশ (an order from Washington)।
চুড়ান্ত উদ্দেশ্য হল বিশ্বকব্যাপি মুদ্রার মা রহিত করণ। ইন্ডিয়া হল ১.৩ বিলিয়নের বিশাল একটি দেশ যা সর্বপ্রথম টেস্ট ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যদি এই পলিসি ইন্ডিয়ার ন্যায় বড় দেশে কার্যকরী হয় তবে সমগ্র উন্নয়নশীল দেশেই কার্যকর করা সম্ভব হবে। মুদ্রা মান রহিত করার পেছনে এটিই ছিল ইভিল উদ্দেশ্য। যেই প্রসেস এখন ইউরোপে অলরেডি শুরু হয়েছে।
Sweden, Denmark, Finland দ্রুত ক্যাশলেস সমাজে পরিণত হতে যাচ্ছে। পুরো পশ্চিমা বিশ্ব যারা ডলার কেন্দ্রিক অর্থব্যবস্থায় ইনস্লেভ ছিল তাদেরকে কর্তত্বে রাখার জন্য নগদ অর্থের পরিবর্তে Electronic money ব্যবহার করা ।
ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে জমা দেয়ার জন্য রুপি একাউন্টে কোন প্রকার লিমিট সেট করা ছিল না। কিন্তু বিনিময় বা উত্তলনের জন্যও প্রথমে ২০০০ এবং পরবর্তীতে ৪০০০ রুপি নির্ধারণ করা হয়। অপরদিকে ব্যাংকগুলোতে নতুন নোটেরও ব্যাপক ঘাটতি ছিল। নতুন করে ৫০০ ও ২০০০ রুপি ছাপানো হচ্ছিল। এছাড়া নভেম্বর এর ৯ তারিখ থেকেই সকল এটিএম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মহা ভোগান্তির শিকার হয় জনগণ
ছবি: New Delhi: Prime Minister Narendra Modi at the Opening Session of the Second Raisina Dialogue, in New Delhi on Tuesday. January 17 2017
সোর্স: নেট
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪