somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১.৪ ট্রিলিয়ন রুপি প্লানও ইন্ডিয়ার কৃষি ধ্বংস করার জন্য : বাংলাদেশের জন্য অশুভ ইঙ্গিত

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ষাটের দশকে কৃষিতে ঘটে যাওয়া সবুজ বিপ্লব ও দেশ স্বাধীন হবার পর দেশেপ্রেমকি কিছূ ব্যাক্তির চেষ্টায় ইন্ডিয়া খাদ্য স্বয়ংনম্পূর্নতা অর্জন করে। অতিরিক্ত খাবার বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করতে থাকে। অপরদিকে ইন্ডিয়া বিশ্ব বাণ্যিজ্য তথা আমদানি-রপ্তানিতে সকল সময়ই মধ্য পন্থা বা সংযমী অবস্থধানে থেকৈছে। ইন্ডিয়ার জনগনের রক্ষনশীল মনভাবের জন্যই প্রায় ২০০ বছর কৃমিনালদের শাসনে ও শোষনে থাকার পরও তাদের রক্ষনশীল মনোভাব সর্ম্পর্ন কেড়ে নিতে পারেনী। দক্ষিন এশিয়া বা ওয়াল্ড রাংকিংয়ে ঋণগ্রস্থ(স্লেভ/দেউলিয়া) তালিকায় সব সময়ই নিম্নে অবস্থান করেছে।

downtoearth নামের ইন্ডিয়ার জনসচেতনমুলক একটি ওয়েবসাইট এ প্রকাশিত তথ্য মতে, ইন্ডিয়া খাদ্য শস্য স্বয়ংস্মপূর্নতার অবস্থান থেকে তার পলিসি দ্রত পরিবর্তন করে আমদানী নির্ভর পলিসি বাস্তবায়ন করছে। এজন্য ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে শুধূ খাদ্য শস্য তথা গম, ভুট্টা,নন-বাসমতি চাইল ও ভোজ্য তেল আমদানীতে ১.৪ ট্রিলিয়ন রুপি ব্যায় করছে। অনেক প্রদেশেই কৃষকরা ভাল দাম না পাবার কারণে তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে নিয়মিতই আত্বহত্যা করে চলছে সেখানে প্রচুর পরিমান উৎপাদন স্বত্তেও খাদ্য আমদানী এবং সেজন্য বিশাল অংকের অর্থ ব্যায় কৃষি ও কৃষক সমাজকে ধ্বংসের পথেই নিয়ে যাবে। ২০১৪ সাল থেকে খাদ্যশস্য অামদানী করার জন্য শুল্ক কমিয়ে দেয় । এরপর ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালে মধ্য পূর্বের চেয়ে ১১০গুন আমদানী বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকদের জন্য দেশীয় বাজার আরো অলাভজনক করে দেয়া হল। আমদানীকারক/ব্যভসায়ীরা দেখছে দেশীয়ভাবে উৎপন্ন করার চেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানী করা বেশী লাভজনক। আমদানী পলিসি চেন্জ করার ফলে এখন বিশাল অংকের অর্থ ব্যায় করতে হচ্ছে আমদানী বিল পরিশোধ করার জন্য একইভাবে এই অর্থই ইন্ডিয়ার কৃষি ও কৃষক ধ্বংসের জন্য কাজ করছে।



খাদ্য শস্য আমদানীতে যেখানে ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ার ব্যায় ছিল মাত্র 134 কোটি রুপি সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে 9,009 রুপি বা ৬৬২৩% বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে ২০১৪ সালে ফল ও সবচজ আমদানীতে ব্যায় হয়েছে 5,414 রুপি তা ২০১৬-১৭ বছরে এসে দাড়িয়েছে ৫৮৯৭ রুপিতে দাড়িয়েছে। বিষয়টি আরো দু:খজনক যে, যেখানে সরকার আমদানী প্রমোট করছে সেখানে খাদ্য শস্য রপ্তানীতে বিভিন্ন বাধা আরোপ করছে।


১৭৫৭ সালের পূর্বে যারা অন্য ধর্মীয়দের দ্বারা শাসিত হবার পরও পৃথিবীর সেরা সম্পদ ও স্বর্ণ-রৌপ্য প্রাচুর্যপূর্ন দেশ ছিল সেই দেশকে বা সেদেশের মানুষকে ২০০ বছরের ব্যবধানে সম্পূর্ন সম্পদশুন্য করে এবং তাদের শোষন ব্যবস্থায় আবদ্ধ রেখে দেশীয়দের হাতে শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব দিয়ে যায়। সেই সম্পদহীন দেশকে অস্তে ধীরে হলে একটা পর্যায়ে নেয়ার চেষ্টা চলছিল। আর ইন্ডিয়া যেহেতু পৃতিবীর মধ্য কম ঋণগ্রস্থ দেশ ছিল সে হিসেবে তাদের ন্যাশনাল উইল/জাতীয় ইচ্ছা/ নিজস্ব ভাবনাা মতে কিছুটা হলেও চলছিল। কিন্তু তাদের এই খাদ্য স্বয়ংসর্ম্পর্নতা, রক্ষনশীল মনোভাব, কম ঋণ গ্রহনের প্রবনতাকে ধ্বংস করার জন্য সাবেক ক্রিমিনাল গোষ্টি আবার সরব হয়েছে দেশীয় এজেন্ট/সরকার এর মাধ্যমে।

ইন্ডিয়া তার স্বধীনতার পর বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশী ঋণ গ্রহন করেছে। এবং বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা দেশের তালিকার বাইরে থাকা ইন্ডিয়া এখন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতার তালিকায় ১ম স্থানে রয়েছে।

সোর্ষ: Click This Link

কৃষক, কৃষি এবং অসহায় মানুষদের কল্যান হোক বা প্রকৃত কল্যানে সবাই কাজ করুক এটাই কামনা করি। সাথে আমাদের প্রতিবেশী দেশ বিভিন্ন সময়ে আমাদের খাদ্য শস্য আমদানীর একটি বড় সোর্স তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুক।
রিপোর্টটি সম্পূর্ন পড়তে ভিজিট করুন: নিচের লিংকে.......

সোর্স: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:০২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×