somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আামদের পৃথিবী কি তাহলে ঘুর্ণায়মান বল বা গোলাকার নয়?

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






* পৃথিবী যদি গোলাকার হত তবে দক্ষিন আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং অস্ট্রেলিয়ার পার্থের মধ্য বিমান রুট হত সোজা ইন্ডিয়ান মহাসাগরের উপর দিয়ে এবং রিফুয়েলিং স্টেশন হত মরিশাস বা মাদাগাস্কার। কিন্তু বাস্তবে এই রুটের রিফুয়েলিং স্টেশন হল দুবাই, হংকং বা মালেশিয়া। গোলাকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে এরুপ রুট কখনোই হবার কথা নয়।এটি তখনই সম্ভব যখন সমতল পৃথীবীকে যৌক্তিক মনে করা হয়।






* গোলাকার পৃথিবীতে জোহানেসবার্গ থেকে ব্রাজিলের সাওপাওলো যাবার জন্য 25 ডিগ্রি দক্ষিন অক্ষংশে আটলান্ট্রিকের উপর দিয়েই সোজা এবং শর্ট রুট হবার কথা কিন্তু বাস্তবে 50 ডিগ্র উত্তর অক্ষাংশে লন্ডনে রিফুয়েলিং করে যা সর্ম্পর্ন অবাস্তব। কিন্তু সমতল পৃথিবীর ম্যাপের কথা চিন্তা করলেই তা বাস্তব সঙ্গত।







* একইভাবে জোহানেসবা্রগ থেকে চিলির সান্টিয়াগো যাবার জন্য দক্ষিনে মকরক্রান্তি রেখা বরাবর সহজ রুট হতে পারত কিন্তু বাস্তবে তা না হয়ে উত্তরের কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটে সেনেগালে এসে রিফুয়েলিং করে।



* 25000 কি.মি. ব্যাসের পৃথিবীটি যদি বাস্তবেই গোলাকার হত তবে বিমান চালকদেরকে নির্দিষ্ট উচ্চতা বজায় রাখা এবং অন্য আউটার স্পেসে যাওয়া রোধ করার জন্য সর্বদাই নিম্নদিকে চালনা করতে হত।নচেৎ কোন প্রকার ব্যাতিক্রম ছাড়াই ঘন্টায় 500 মাইল গতিতে যাত্রা করলে 1 ঘন্টায় 31.5মাইল উচ্চতায় চলে যেত।



* পৃথিবী যদি গোলাকার এবং প্রতি ঘন্টায় 1000 মাইল বেগে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরতে থাকে তবে হেলকপ্টার বা হট বেলুনকে তা গন্তব্য যাবার জন্য গ্রাভিটির বিপরিদে আকাশে নির্দিষ্ট অবস্থানে স্থির থাকলেই নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়া সম্ভব।



* পৃথিবী এবং এর সর্ম্পর্ন আবহওয়া মন্ডল যদি 1000 মাইল বেগে ঘুরতে থাকে তবে তাহলে এত দ্রুত গতিসম্পন্ন (আবর্তন গতি) রানওয়েতে উত্বর- দক্ষিন, পূর্ব- পশ্চিম মুখি বিমানের পক্ষে অবতরন করাও সম্ভব হত না।


* পানি সব সময় সমতলে অবস্থান করে এবং নিম্নদিকে গমন করে।natural physics মতে এটাই পনির বৈশিষ্ট।যদি পৃথিবী বিশালাকৃতির গোলাকার বস্তু এবং সর্বদা স্পিনিং বলের ন্যায় আবর্তন করতে থাকে তবে natural physics মতে পানির যে বৈশিষ্ট তা বাস্তবে তা বক্রতলে অবস্থান করা সম্ভব নয়।কিন্তু বাস্তবে যেহেতু পৃথিবী প্রসারীত এবং সমতল ফলে পানির এই বৈশিষ্ট যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত।

* উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম বা যে দিকেই হোকনো কেন নদী সব সময় নিম্ন দিকে প্রবাহিত হয় এবং শত বা হাজার মাইল যাই সমুদ্র বা কোন হ্রদে পতিত না হওয়া পর্যন্ত তা গতি অব্যাহত রাখে।পৃথিবী যদি স্পিনিং বল এর ন্যায় হত তবে অনেক নদীকেই অসম্ভব উপায়ে উর্দ্ধমুখী প্রবাহ বজায় রাখতে হত। উদাহরণ স্বরুপ মিসিসিপি নদী তার 3000 মাইল পথ পেরিয়ে মেক্সিকো সাগরে পৌছতে হল তাকে 11 মাইল উপরে আরোহন করতে হত।



* এককভাবে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী নীল। প্রায় 6200 কিলোমিটার গদত পথ পেরিয়ে ভ-মধ্য সাগরে পতিত হয়েছে। গোলাকার বলের ন্যায় পৃথিবী এবং এর ব্যাস যদি 25000 কিলো হয় তাহলে নীল নদকে এই গোলাকার বলের কিছু অংশ হয়তো নিম্নমুখী আবার কিছু অংশ উর্দ্ধমুখি প্রবাহিত হত। যা পানির ন্যাচারাল বৈশিষ্ট্যর সম্পূর্ন বিপরিত।

* Gabrielle Henriet তার বইতে উল্লেখ করেন যদি কোপারনিকাসের সময় ফ্লাইং বা বিমান আবিষ্কার হত তাহলে এতে কোন সন্দেহ নেই যে সে পৃথবীর আবর্তন সম্পর্কে তার যে তত্ব তা ভূল।পৃথিবী যদি কথিত 1000 মাইল বেগে ঘুরতে থাকে তবে এবং বিমানও যদি একই দিকে অর্থাৎপশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে 500 মাইল যাত্রা করে তবে এটা স্পষ্ট যে প্রতি মিনিটে পৃথিবীর আবর্তনের কারণে তার গন্তব্যস্থল দূরে সরে যাবে। ( বিমান যেহেতু গ্রাভিটির বিপরিতে নিজস্ব শক্তির মাধ্যমে চলছে সেহেতু গতি জড়তা এখানে কার্যকর নয়)অপরদিকে পৃথিবীর আবর্তনের বিপরিত দিকে যদি 1500 মাইল দূরত্বের কোন স্থানে করে তবে 3 ঘন্টার পরিবর্তে মাত্র 1 ঘন্টায়ই গন্তব্য পৌছব্।অপর দিকে 1000 মাইল তথঅ পৃথিবীর আবর্তন গতির সমমানের কোন বিমান যদি আবর্তন গতির বিপরদ দিকে যাত্রা করে তবুও 1000 মাইলের সামান্য পরিমান বেশী দূরত্বে যেতে পারে না।


* Sir James Clarke Ross আর্কটিক এবং এন্টার্টিকা অভিযান নিয়ে লেখা -“South Sea Voyages, বইতে 27 নভেম্বর 1839 সালের রাতের আকাশ পরযবেক্ষন করার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলনে- পৃথিবী অবশ্যই গতিহীন হবে “The sky being very clear … it enabled us to observe the higher stratum of clouds to be moving in an exactly opposite direction to that of the wind”

সূত্র. নেট এবং কতিপয় বই-

1. World Beyond the Pole
2. The South Sea Voyages
3.The Hollow Earth
4. Message From the Hollow Earth
5. The Phanthom of Pole
6.200 proofs the Earth is not a spinning Ball
7. Heliocentric and geocentric earth
8. A Journey to the earth interior
9. Paradise and earth
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
২৭টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×