আর কিছুদিন পরেই মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা এক কথায় কোরবানীর ঈদ। মহান সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের আশায় এই দিন গোটা দেশে পশু কোরবানী দেয়া হয়। এক হিসাবে দেখা গেছে সারা বছরে যে পরিমান গবাদি পশু জবাই করা হয় তার প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ হয় এই ঈদে। ইতমধ্যে পশু কেনাবেচার হাট গুলি জমজমাট হতে শুরু করেছে।
এই সব কারনেই গবাদি পশু তথা গরু মোটা -তাজাকরণ রুপ নিয়েছে একটি লাভ জনক পেশায়। অনেকেই এই পেশা দিয়ে স্বল্প সময়ে ভাল মুনাফা অর্জন করছেন। কিন্তু কিছু অসাধু লোভী ব্যক্তি অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক, গ্রোথ হরমোন, স্টেরয়েড জাতীয় ঔষুধ অধিক হারে ব্যবহার করে গরু মোটা - তাজা করছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অধিক পরিমাণে এন্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড কিংবা গ্রোথ হরমোন গরুর লিভার ও কিডনির কার্যক্রম কমিয়ে দেয় যার কারনে গরুর শরীর থেকে পর্যাপ্ত পানি মূত্রের মাধ্যমে বের হতে পারে না। তখন এই অতিরিক্ত পানি কোষের ভিতর আটকে থাকে ফলে গরুর শরীর ফুলে যায়। আপাত দৃষ্টিতে গরু মোটা -তাজা হলেও আসলে তা রোগাক্রান্ত। কৃতিমভাবে ফোলানো এইসব গরু মাংস খেলে মানুষের কিডনী, লিভার ও ব্রেনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
কিভাবে চিনবেন সুস্থ্য ও সবল গরু :
মাত্র কয়েকটি দিক লক্ষ করে আপনি নিজেই চিন্তে পারবেন সুস্থ্য - সবল ও প্রাকৃতিক ভাবে লালন - পালনকৃত গরু
১) গরু স্বাভাবিক নিয়মে জাবর কাটাতে থাকবে।
২) তার লেজ দিয়ে মশা -মাছি তাড়াবে এবং দৃষ্টি থাকবে প্রখর।
৩) গরু ঝিম ধরে থাকবে না চঞ্চল প্রকৃতির হবে এবং স্বাভাবিক নড়াচড়া করবে।
৪)গরুর গায়ে হাত দিয়ে চাপ দিলে গা বেশি নরম মনে হবে না।
সর্বোপরি একটি মাঝারি আকারে ষাঁড় কে নিয়ন্ত্রণ করতে কমপক্ষে তিন জন লোকের প্রয়োজন হবে কারন সুস্থ্য একটি ষাঁড় অবশ্যই তার শক্তি প্রদর্শন করবে।
পরিশেষে, ঈদুল আজহা সবার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ।