-রমা একটা মন্ত্রশুনবে ?
রমাঃ মন্ত্র? তুমি মন্ত্রও জানো বুঝি ? কিসের মন্ত্র? পরস্ত্রীদের বশকরার মন্ত্রবুঝি ?
-দুর ! আমাকে ওমন মনে হয় ?
রমাঃ পুরুষদের বিশ্বাস কি ? ঘর থেকে বের হলেই সব পুরুষরাই পরের হয় !
-তোমার মত বিনয়ী স্ত্রী থাকলে, কোন স্বামী-স্ত্রীর মধ্য আর ঝগড়া হতো না ।
রমাঃ আমি বিনয়ী ! যদি কোনদিন চোখে পড়ো না কারো সাথে অন্তরঙ্গমুর্হুতে কি করবো জানো?
-কি করবে?
রমাঃ শেষরাত্রিরে বালিশ চাপাদিয়ে মেরে ,বুড়িগঙ্গার নরম জলে ভাসিয়ে দিয়ে আসবো ।
-এতই নিষ্টুর হবে তুমি ?
রমাঃ তুমি আমাকে চেন না আমি কতটা নিষ্টুর ।
-ও ।
রমাঃ ভয় পেলে ?
-না ।
রমাঃ যাইহোক এবার মন্ত্রটা বল ।
-থাক , আরেকদিন বলবো ।
রমাঃ ভয়ে মন্ত্রটাই ভুলে গেলে ! এত ভিতুগো তুমি ।হাহাহাহাহহা ।
-না , ভুলিনি ।
রমাঃ বল, তাহলে ?
- মন্ত্রটা হলো :- " অতাকুনু,বালতাকুনু,ছালতাকুনু" !
রমাঃ কি আর্শ্চয ! এ আবার কি মন্ত্র ভাই ?
-এটাও একটা মন্ত্র ভাই !
রমাঃ সরি ,স্বামীতো । খুব অশ্লীল মনে হলো মন্ত্রখানি ?
-অশ্লীল ? কোথায় অশ্লীল ।
রমাঃ তুমি তো , অশ্লীল মন্ত্র ছাড়া আর কিছু জানো না ! এত দ্রুত ভালো হবার তো কথা হয় ? সত্যি করে বলে, কি মন্ত্র এটা ? কার মুখে শুনে এসেছে ?
-হাহহাহাহ !
রমাঃ এখনো কি সেই ছোট্টটিই রয়েছো ? পাশের বাসার ণীলাদি এসে দুপুরে নালিশ দিয়ে গেল, তাদের ছেলে মেয়েকে নাকি কি সিগারেট খাওয়া শেখাচ্ছো ?
-সেতো পাশের দোকানদারের অনুরোধে ! ভেবে দেখেছো ভবিষৎ পযন্ম যদি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেয় , ঐ দোকানদারটার কি ভাবে? তাদের ছেলে মেয়ে ,স্ত্রী চালাবে কি করে ?
রমাঃ দেখো মানুষ, তোমাকে এখনো বলছি এইসব বাদরামী বন্ধ করো , টিনেজদের সাথে আড্ডাটাও বন্ধ করো ।
-আমি কি সেধে যাই নাকি, ওরাই তো আসে ।
রমাঃ যাইহোক । আমি চাই , আমার স্বামী একজন আদর্শ স্বামী হোক ।
-আর আদর্শ ।
রমাঃ যদি আদর্শবান না হও , আমারও ভিন্ন উপায় আছে কিন্তু ?
-কি সেটা ?
রমাঃ তোমার সন্তানকে আমি নিজের হাতে ,গাজাঁ,গুলি খাওয়া শেখাবে । যেমন তুমি অন্যদের সন্তানদের শেখাও ।
-পারবে তুমি এটা ?
রমাঃ বলেছিলাম না , আমি কতটা নিষ্টুর তুমি জানো না । আমি সব করতে পারি ।
-এরপর রমার দিগে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম । ওর চোখের ভাষাই বলে দিচ্ছে, খুব আত্মবিশ্বাস থেকে প্রকাশিত কথাগুলো ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৭