রিদিমার সাথে অনেকদিন পর আজ চাদঁনীচকের সামনে দেখা হয়েছিল । ও আগে থেকে কালো ও শুকিয়ে গেছে , আমি ফুটপাত থেকে কিছু শীতের সুয়েটার কিনছিলাম তখনি রিদিমা সামনে এসে বললো , কেমন আছিস মানুষ ?অন্তত আমি রিদিমাকে দুর থেকে দেখলে ওর কাছে যেতাম না আগেও ওকে দুর থেকে দেখেছিলাম কয়েকবার । দেখা হওয়ার পর ,চা জল খেয়েই যে যার মত চলে এলাম, অথচ কথা ছিল যেন আরো কি কি বলবো । বাসে চড়ে ফেরার সময় পুরনো সেই আমাদের বন্ধুত্বের কথাই ভাবছিলাম, এই মহানগরে ও আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল । ওর টিউশনির অর্ধেক টাকাই আমার পিছনে ব্যায় করতো, আমরা খেতাম ,ফিল্ম দেখেই সব ফতুর করতাম, আমার বেশির ভাগ এসাইমেন্ট ও করে দিত ।আমরা একে অপরের কাছে খুব বিশ্বস্ত ছিলাম, পাশাপাশি এক বিছানায় কত রাত্রি কাটিয়েছি কিন্তু কোনদিন মনে হয়নি বিপরীত লিঙ্গের ও , কামনা বা যৌর্নতা তো দুরের বিষয় । রিদিমা ওর জীবনের কঠিন এক গোপন সত্য শেয়ার করলো, যখন ও এ শহরে আসে এক বাসায় সাবলেট উঠেছিল ,ঘটনাক্রমে ও বাসায়ই একরাতে ছয়জন পুরুষদ্বারা রেপ হয়, তারপর ও বাসা ছেড়েদিল লজ্বার ভয়ে কারো সাথে প্রকাশ করতেও ও ভয় পেত । আমিই প্রথম মানুষ যাকে ও বিশ্বস্ততার সাথে বললো । আমিও সহজ ভাবেই নিলাম কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই মনের মধ্য ওর বিষয়ে লোভ ধরতে লাগলো । বিশেষ করে এ-ঘটনা শুনার পর । যে মানুষটি এতদিন খুব কাছের বন্ধুছিল ওই যেন পরবতির্তে ! শূর্ন্য সময়ে ওর শরীরের বিশেষ অংশ এত পরিমান টানতো যে কোনভাবেই তাহা রিমুভ করতে পারতাম না । অনেক চেষ্টা করেও, ও মাথায় যেন চড়ে রইলো । মনের যাতনা মেটাতে ওকে বেড়ানোর কথা বলে, শহুরের এক নির্জন বাঙ্গলোতে নিয়ে এসে ওকে Intimacy ভাবে আমার পাশে শুয়াতে বাধ্যকরলাম, ও তখন থরথরিয়ে কাপছিল ! প্রথম ওসবে রাজী না হওয়াতে জোরে ওর গালে চর বাসিয়ে বলেছিলাম, মাগী -ছয়জনকে খাওয়াতে পারলে আমি কি দুষ করেছি ! বল? এরপর ও নিরব হয়ে গেল যেন, আর আমি আমার ইচ্ছেমত সখপুরন করে ছাড়লাম । পর শহুরে ফেরার পথে , ও একবারও আমার দিকে একবার তাকাঁলও না পযন্ত । এরপর ও আর যোগাযোগ রাখেনি আমার সাথে কিন্তু আমি ওকে বার বার চেষ্টা করছি বন্ধুত্বের রক্ষার তখন গোপন লোভ ছিল । ওর লোভ আমাকে এমন ভাবে পেয়ে বসেছিল যে, ওকে যখন তখন যেখানে -সেখানে আক্রমন করে বসতাম । পর ও পরিচিত স্থান ,জবটাও ছেড়ে দিয়ে গোপনে অন্যথায় চলে গেল । ওকে কিছুদিন পাগলের মত খুজেঁ শান্ত হই । যাস্ট একবছর পর অনুশোচানা হয়েছিল ওর দুর্বলতার সুযোগটা নেয়া ঠিক হয়নি , ওর পাশে গিয়ে দাড়িয়ে ক্ষমা চাব এটাও সম্ভব নয় যেন । এরপর ওকে দু'য়েক বার নানা জায়গায় বা নানাজনে ওর ইনফরশেন দিলেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি নিজ অপরাধের কারনেই ।
আজ দেখা হওয়ার পর ওর চোখের দিকে তাকাতেই ভয় পাচ্ছিলাম , বার বার ওর সাথে কথা বলতে যেয়ে শব্দরা বেজে যাচ্ছিলো ।দগ্ধ অনুশোচনায় বেশি প্রশ্নও করিনি । ওতো আমার কাছের বন্ধুছিল , তাই পারলো আমার প্রতি নরম হতে । ওসব বিষয়ে কিছু বলেনি শুধু একবার বলেছিল, প্রতিটি সুন্দর মুখের পেছনে মোখস থাকে যেটা সবখানেই ! চলে যাবার সময় রিদিমা ওর ভিজিটিংকাড দিয়ে বললো-ভয় নেই , কলদিস সময় থাকলে ! হারাবার কিছু নেই , সব খানেই তো মোখসধারীদের ভেতর আছি ।
(লেখক:- মানুষ আজিজ)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৪