সকালে উঠেই রমার হইচই , শীত সকাল তাই কম্বলমুড়ো নিয়ে চোখ বুজেছিলাম । এরমধ্য আবার রঙ্গিনী আসলো , এইতো উৎতপাত আরো বেড়ে গেলো । কম্বলের ভেতর থেকেই জিজ্ঞাসা করলাম , কি করে কখন এলি ? রঙ্গিনী: এইতো ভাইয়া মাত্রই ডুকলাম , তুমি ঘুমিয়ে আছ কেন ? আপু কি রাত্রিরে ঘুমুতে দেয়নি?
আমিঃ সারা রাত্রিরে প্রার্থনা করিচি তো ?
রঙ্গিনীঃ কিসে প্রার্থনা ?
আমিঃ জানো তো , মধ্যরাত্রিরে তোমার আপু দেবী হয়ে উঠেছিল তখনি প্রার্থনা করতেছিলুম এই করে রাত পোহালো ।
রঙ্গিনী হুহুহ করে হাসলো । রমা সাবধান করে দিয়ে বললোঃ বাজেঁ কথা বন্ধ করবে তুমি ? তুমি আমাকে করবে দেবী ? বুঝেছো সব কিন্তু টেরপাই ।
রঙ্গিনী ওর আপুকে বললোঃ কি টেরপেয়েছিলে আপু?
রমাঃ সেটা ওকেই জিজ্ঞাসা কর ।
রঙ্গিনীঃ ভাইয়া এতো আসলে তুমি , কম্বল থেকে মুখটা বের করো না ? কতদিন যে তোমায় দেখি না ?
আমিঃ একজন তো দেখে দেখে অসহ্য হয়ে আছে এই বলে বের হলুম কম্বল থেকে , তো এত সকাল করে এলি যে? ভার্সিটি বন্ধবুঝি?
রঙ্গিনীঃ হুম ,কাল তো বড়দিন ,জানো না ?
আমিঃ হ হো , তাইতো ।
-রমা কলমি শাক কুটছিল ।
আমিঃ কলমি শাক কোথা থেকে?
রঙ্গিনীঃ আমি নিয়ে এসেছি ।
আমিঃ দেখ না রঙ্গিনী, তোমার আপু কত সুন্দর করে কলমি শাক মট মট করে কুটচ্ছে ! দারুন না ? সাহার্য্য করবো রমা ?
-রমাচুপ করে রইলো ।
আমিঃ শাক ভালো করে ধুইয়ে নিও, কালো কালো কি জমে আছে ওগুলো !
রমাঃ ওগুলো সহকারেই রান্না করবো , ওগুলো ভিটামিন ।
আমিঃ ভিটামিন আজকাল ফিজিক্যাল দেখা যায় ?হাহহা
রমাঃ কতকিছুই তো ফিজিক্যাল দেখা যায় ।
রঙ্গিনীঃ তোমরা এত দা-কুড়োলের মত লেগে থাকো কেন সব সময় ?
আমিঃ এই তো বেচেঁ থাকা । রমার শরীর থেকে এসময় বেশি রসুনের ঘ্রাণপাই , কতবলি হলুদ দিয়ে শরীর ধুয়ে নিও , শীতকাল তাই সবাই স্নানকে ভয় পায় ।
রমাঃ প্রয়োজন মিটাতে কত কিছু যে করতে হবে ! রঙ্গিনী আয়তো আমার সাথে কিচেনটা একটু পরিস্কার করে দে ।
ওরা চলে গেল । কিছুক্ষনপর আমিও কিচেনে গেলাম ,গিয়ে দেখি রমা-রঙ্গিনী কি নিয়ে যেন হাসাহাসি করছিল আমাকে দেখে একদম নিশ্চুপ হয়ে গেল ।
-আমি একটু মুট ধরে বললাম, সব শুনিচি আমি ! এরপর ওরা আবার হুহুহু করে হেসেঁ উঠলো ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০০