মানুষদা , তুমি আমাকে ভালোবাস ? মা বলেছে আমি বড়ো হলো আমাকে তোমার সাথে বিয়ে দিবে । হ্যারে, শিউলী পৃথিবীতে এত মানুষ থাকতে আমাকে বিয়ে করতে চাষ কেন ? সেকি, তুমি জানো না বুঝি ? তুমি কত দারুন করে কথা বল , এই যে তুমি আমাকে শিউলীফুল বলে ডাকো তো, কত মধুর লাগে শুনতে তাছাড়া কতকিছু জানো তুমি । দুর আমি কি অত কিছু জানি নাকি । জানো তো , তবে মামা কি বলে জানো, তুমি নাকি খুব খারাপ হয়ে গেছ , সিগারেট খাও আর কোথাও কোথাও যাও ! । তোর মামা বলেচে ? শিউলী গাঢ় নেরে বললো: হু, বললো তো । মিথ্যা বলেছে -ও । শিউলীঃ আমিও বলি , তুমি ওমন হবে কেন? আচ্ছা মানুষদা তোমার জন্য চালতার আচাঁর বানিয়ে রেখেচি খাবে ?
মানুষঃ হুম, দাও ।
-শিউলী এনে হাতে দিয়ে বললোঃ খাও ,পাটাঘুর দিয়ে বানিয়েছি তো ।
-মুখে নিয়েই ,বাহ বেশতো ।
শিউলীঃ তোমার ভালো লেগেচে, আরো বানিয়ে রাখবো তাহলে, আবার আসলে সব দিয়ে দিব ।
মানুষঃ আচ্ছা । আচ্ছা শুন না , এত দাদা বলিস কেনরে ? তুই না আমাকে বিয়ে করবি ?
শিউলীঃ এখনো তো বিয়ে করিনি , একটা কিছু বলে কিছু বলে ডাকতে হবে তো , তাই ডাকি ।
-হাহাহহহাহা
পুনশ্চঃ
শিউলীমালারফুল , জমে থাকা পরিচিত হাসিশুধু । শূন্যসময়ের রৌদ্দুরের হাসিঁ শিউলীমালারফুল । শিউলীফুলরা বদলায় ,জীবনে পূর্ন্যতা পাবার পর সবাই বুঝতে পারে কার জন্য কোনটা উপকারী , আমরাতো সবাই আগামী ভালো নিশ্চিত জেনেই পথ হাটিঁ ।কতদিন শিউলীফুল দেখিনি ! কতদিন বালিকা সুলভ হাসি দেখিনি ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮