রাত হলে প্রায়ই শুনতে পাই আমার বারান্দার পাশে কে যেন কাঁদে পরে বুঝতে পারলাম পাশের বাসার মেয়ে।ওর জানালা,আমার বারান্দা কাছা-কাছি তবে কথা শুনা যায়, দেখা যায় না।ভাবতাম এমনি কাঁদে হয়তো,জীবন তো কত দুঃখ বেদনার।অামার বারান্দায় দাড়ালে ওদের বাসার সবার কথাই শুনা যায়।একদিন ওর বাবা -মার কথা শুনচ্ছিলাম ওরা বলচ্ছিলো-গ্রামের কোন গরীব ছেলের কাছে তাদের মেয়ের বিয়ে দিবে।ভাবলাম এর জন্যই হয়তো কাঁদচ্ছে, মেয়েটা। শহরের শিক্ষিত মেয়ে বোকা,হাবা গ্রামের ছেলেকে বিয়ে করতে নারাজ হয়তো।তারপর বেশ কিছুদিন কেটেগেল ওদের কথা আর তেমন শুনিনি।অনেকদিন পর ওর মা কাকে যেন বলচ্ছে এই আপদটাকে বের করে দিতে পারলেই বাচিঁ।তাহলে কি অন্যকিছু হয়েছিল মেয়েটার! ওদের কথা শুনার জন্য প্রায়ই ওদের জানালার কাছে কান পেতে থাকতাম।একরাতে মেয়েটা আবার কাদঁছে ফুপিয়ে, ও যখন কান্না করতো তখন আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম, আমার কবিতা শুনলে ও কান্না থামিয়ে দিত, কি জানি আমার কবিতা ওর মনে ধরেছিল কিনা বা ওর কান্না কাউকে জানতে দিবে না তাই হয়তো কান্না থামিয়ে দিত।আমি ওর সাথে কোনদিন কথা বলার চেস্টা করিনি,মেয়েটার হয়তো অনেক দুঃখ তাই এমন করে রাতের নিঃস্তব্ধতায় কাঁদে।বেশ কিছুদিনপর মেয়েটির বাবা বলছে কত ইচ্ছে ছিল মেয়েটিকে ডাক্তার বানাবো তা আর হলো কই!বান্ধীটা টিচারের সাথে শুয়ে পেট বাঁধিয়ে ফেললো তাও প্রতারক টিচার।লর্জ্জ্বায় মরে যেতে মন চায় মেয়েটার জন্য।কারো ঘরে যেন এমন কুলাংগার মেয়ে না দেয়।আজ মেয়েটার বিয়ে। তাই ওদের বাড়িতে,কিছুটা হই,চই তবে মনে হলে এটা আপদ বিদায়ের বিয়ে তেমন প্রাণের সাড়া নেই এই বিয়েতে।অনেক দিন আগের এক রাতে জানালার পাশে মেয়েটা কাদঁছিলো ওকে বলেছিলাম-কে কাঁদে?মেয়েটা কান্না থামিয়ে বলেছিল আমার নাম "র্ণিমা' আমার অসুক তাই কাঁদি।কি হয়েছে আপনার? র্ণিমা বললো- আপনারা পুরুষরা বুঝবেন না! সরি! আর আপনার কবিতা বেশ ভালো লাগে, ভালো থাকবেন।তারপর মেয়েটার আর সাড়া পাইনি।আজ র্ণিমার বিয়ে।-শুভ কামনা ওর জন্য।না দেখা -পরিচিত মেয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১২