১
দুপুরের বিষন্নতার শুকনো পাতারারা ছায়ায় স্থবির হয়ে ঘুমুচ্ছিলো , পাড়া দিতেই কচকচিয়ে উঠলো ! মনে হচ্ছিলো শুকনো পাতাই বলচে, শান্তিতে তো ঘুমুচ্ছিলুম মেরে দিলে কেন ?
২
আজ প্রভাত থেকেই হাওয়াদের আনাগোনা ছিল , কোন কৈশোরী বালিকার মত হাওয়ারা বুকের ওপর নেচে বেড়াচ্ছিলো ,আর বুকের পশমগুলো থরথরিয়ে কাপছিল । বসন্তের ঝালকড়া নিষ্টুর রৌদ্দুরে বর্ণালীকে ফিরে পেয়েছিলাম যেন ? কতদিন নিষিদ্ধছিলাম ওর হৃদয়ের গার্ডেনে ? কতদিন যৌবন শেষ করতে দেয়নি ? কতদিন জানালায় জানালায় বিবেক বর্জিত ছিল ?
৩
শক্রবার হলে শ্যামা বাড়িতে অনেকে আসতো মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের যৌবন শেষ করতে । শ্যামাদের বাড়ির আঙ্গিনা আমাদের জন্য নিষেদ্ধ ছিল ; কারন শ্যামাদের বাড়িতে মদ,নগ্নপ্রেমের আসর বসতো । তখন ভাবতুম ,একজন মাত্র নারী শ্যামা ,কতশত পুরুষের মন,শরীর নিয়ে তার খেলাধুলা !
দাদু বলেচি : "নারীরা শক্তির মত , যেন কোন উপায়ে " । তাই বুঝি শ্যামা এত পাড়ে ? কত শব্দের সমাহার শরীর যোজনে ? সেই তো প্রেম ? যাহা, তুমি ছিনিয়েছিলে ? নিহারদের বাশঁবনের ভেতর রক্তাত্ব পড়ে রয়েছিলে কেন? পাড়ার ঝগড়াটে ঠাম্মারা মুখের ওপর বলে দিয়েচিল , মঠের বৃদ্ধ সন্ন্যাসী।ই ---- । এরপর অনেকদিন জানালায় খিল ছিল । নেবুপাতার ঘ্রার্ণ তোমার কাছে পৌছায়নি , অনেকগুলো শরৎ এসে চলে গেল , পাড়ায় পাড়ায় মৌচিফুলের ধুম পড়েছিল, বসন্ত উৎসব হল ,ণীর্মার বিয়ে হয়ে গেল তু্মি নেই । শতাব্দীর পর শতাব্দী এভাবেই অন্ধকার ঘরে মরে পড়ে থাকবে ? দেখবে নাকি উত্তরীয় পায়রাবনে ,জবাফুল ফুটেচে , শালিকের কিচিরমিচির প্রেমের শব্দ , বকুলফুলের গাছে সজ্জিত্ব সমারোহ । পুষে রাখা রাজকন্যার জেদ এমনি , শেষবার বারান্দা থেকে তাড়িয়ে দিয়েচিলে মনে রেখে দিব কথাগুলো যেমন বলেছিলে " তুই আবার এয়েচিস ? এয়েচিস কেন? তোর জন্যই তো এমন হল ! আর আসবি না এখানে , চলে যা " ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪২