রমা: স্বামী আমাকে ত্রিশটা টাকা দিতে পারবে?
-ম্যানিব্যাগে অফুরন্ত আছে নিয়ে যাও।
এরপর রমা টাকা নিয়ে কোথায় যেন কিছুক্ষনের জন্য উধাও হয়ে গেছে।
পর ঘরে ফিরে এসে হাফিয়ে বলছে:-উফ , কি হলুদ রৌদ্র গো! শরীর জ্বর্লে যায়।যদি নদীতে শরীর চুবিয়ে স্লান করতে পারতাম , এই বলতে বলতে রমা একটা কৌটু এগিয়ে দিল।
-রমা কি এটা?
রমা: মুখে দিয়েই দেখ না,গরমে ভালো লাগবে ।শরীর জুরাবে।
-আমার বধু কি এমন আনলো যে আমার শরীর জুরাতে এরপর ওটা মুখে দিতেই মুখ ফিরে এলো!এত টক!
রমা: টকদই গরমে শরীর শীতল হবে।
-শরীর শীতল করতে আমাকে টকদই খেতে হয় না গো।
রমা: আইসক্রিম খাবে,এনে দিই বা বরফ দিয়ে বেলের শরবত।
-লাগবে না ওসব।
রমা: কিছুই খাবে না?
-হুম,খাব।
রমা : কি খাবে।
-রমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলাম।
রমা বিরক্ত হয়ে বললো:-পারবো না ওসব!ইস! আমি গরমে মরি আর ওনি ---।
-আমি না তোমার স্বামী?
রমা বললো: আমি আসচ্ছি এই বলে আমার সামনে থেকে প্রস্থান করলো।কিছুক্ষণ পর এসে রমা বললো:- দুপুর তো শেষ হয়ে এলো ,ভাত দেব তোমাকে?
-আমি শুয়ে আছি ,একটু মেখে খাইয়ে দিতে পারবে?
রমা: হুম। এটা আবার নুতন কি।থাক ভাত মেখে নিয়ে আসি।
এরপর রমা ভাত মেখে আমার মুখে ঢুকিয়ে খাওয়ালো।
-রমা তুমি ভাত মেখে খাওয়ালে খাওয়াটা অনেক স্বাধের হয়।
রমা : হুম।
-হুম কি?
রমা: কিছু না।আচ্ছা আজ বিকেলে নদীর পাড় নিয়ে যাবে,শুনেছি নদীতে নুতন জল এসেছে।
-যাব ক্ষন।
রমা: নদীর সাথে হৃদয়ের একটা মিল পাই।
-হুম।নদীর সাথে নারীর মিল আছে।নারীরা নদীর জলের মত বহমান ভেসে যায়।
রমা: ভাসাবে আমাকে নদীর জলে।
-সেটাইতো চেয়েছিলাম।তখন পালালে কেন?
রমা কিছুটা নিচু স্বরে বললো:-হয়েছে এবার খেয়ে নাও।
-ইস! আমার স্ত্রীর কি এত লজ্জ্বা!
রমা বললো:-বাবা হওয়ার পর সন্তানের সামনে এত আদর করতে পারবে?
-পারবো। তুমি ,আমি -আমাদের সন্তান ,সাংসার মিলেই তো জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১