রমা প্রভাতে কফি দিতে এসে লক্ষ্যে করলাম,ওর হাতে কিসের জন্য ফোসা পড়েছে মনে হয় আগুনের তাপ লেগেছে।
রমাকে জিজ্ঞাসা করতেই :-ও এড়িয়ে যায় বলে, ও কিছু না।
-রমা সত্যিই কিছু না?
রমা: ভাতের মাড় চরাতে গিয়ে একটু লেগেছিল।
-আমি রমার হাতটি ধরে বললাম:-ইস! এত অবচেতন হয়ে কাজ করো তুমি?দেখেতো কেমন রক্ত জমাট বেধে আছে!ব্যর্থা তো পাচ্ছ খুব?ঔষধ লাগিয়ে দিই?
রমা : ধাত! এর জন্যই কিছু দেখাতে চাইনি।
-তোমার কিছু হলে আমাকে জানাবে না! তোমার শরীর কোথাও ক্ষত হলে সেটার জানার অধিকার আমার নেই ?
রমা: হুম।
-মলম লাগিয়ে দিই।
রমা: না গো স্বামী, মলম দিলে আরো জ্বলবে যে।
-তাহলে ওখানে চুমু দেয়ে দিই।
রমা: চুমু খেলে সেরে যাবে বুঝি?
-চুমুতে ভালোবাসা আছে,আর ভালোবাসাই শ্রেষ্ঠ ঔষধ।
রমা: স্বামী তুমি ইয়ার্কি কচ্ছো!
-রমা ইয়ার্কি নয়,তুমি আমার স্ত্রী বলেই সব-সময় ধাধা লাগে।
রমা: ধাধা কেন?
-না,কিছু না।
রমা: আমার কাছে কিছু লুকাচ্ছো?
-লুকাবো কেন?
রমা: ঐ যে ধাধার কথা।
-না বলেছিলাম।আমার মত সাধারন জীবনে তুমি আসলে সেটা ভেবেই।
রমা: তুমি সাধারণ জীবন!?
-এই পৃথিবী তেমন কিছু তো করতে পারিনি।
রমা: এটা সমাজ,পৃথিবীর অদক্ষতা কিন্তু তুমি তো সাধারণ থেকেও বেশি কিছু।
-ওটা তোমার দৃষ্টিতে হয়তো।
রমা: ঠিক আছে।সবার কাছে নাইবা থাকলে ,আমার কাছেই সেরা হলে।
-হুম।
রমা: জীবন নিয়ে মাঝে মাঝে উদাস ভাব দেখি তোমার ভেতর।এত নিজের ভেতর গুটিয়ে রাখ কেন?
-গুটিয়ে রাখি না।তোমাকে খুব ভালোবাসি।
রমা: ভাত খাবে এখন?
-না।নিচে যাই তোমার জন্য ঔষধ নিয়ে আসি।