somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রঙ্গিণী

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিকেলে একটু বের হয়েছিলাম । সন্ধ্যার পর বাসার কাছে আসতেই –টয়লেট চাপলো Than দৌড়ে বাসায় আসলাম । ঘরে ডুকতেই পিছন থেকে দু’হাত আমার চোখ চেপে ধরলো ! হয়তো বাসায় গ্রেষ্ট্র এসেছে –তাকে অনুরোধ করলাম, আমাকে Emergency বাথরুমে যেতে হবে ।
তবুও সে ছাড়ে না । অবশেষে তার নরম পাঁ খুজে জোরে পারা দিলুম আর সে ওমা করে চিৎকার করে উঠলো, আমি দৌড়ে টয়লেটে গেলুম তখনো লক্ষ্য করিনি কে আমার চোখ ধরেছিল ।
বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি ‘রঙ্গিণী’ !
রঙ্গিণী আমার প্রতি তেড়ে এসে বলতেছে -এত জোরে পায়েঁ মেরে দিলে কেন?
-আমি কত করে বললুম আমার Emergency যেতে হবে ,শুনলে না তো । আর কিছুক্ষন থাকলেই ওটা পেন্টেই হয়ে যেত।
রঙ্গিণী : বললেই তো হতো আমার হাগু পেয়েছে ! ইংলিশে বললে কেন? ইংলিশে বললে শব্দটার গভীরতা বুঝা যায় না ।
-তাহলে কি আমাকে হাগু বলতে হতো ? ঐ বিদঘুটে শব্দটা ?
রঙ্গিণী : নিজের ভাষার প্রতি মায়া নেই । থাকবেই বা কি করে! যা দিন-কাল পড়েছে ।
-হুম।
রঙ্গিণী : দেখ তুমি আমাকে এমনিই পায়েঁ আঘাত দিয়েছো । দেখ কতটা ফুলে গেছে পাঁ ।
-পায়ে পানরস চিপে দিই, ভালো হয়ে যাবে ।
রঙ্গিণী: তুমি কি কবিরাজী করছো আজকাল? প্রায়ই দেখি ফেসবুকে ঘাস-লতা,পাতা খাচ্ছ ।
-না ,ওগুলো এমনি ।
রঙ্গিণী: তুমি কি পাগল ?! এমনি কি কেউ ঘাস খায় ।
-এই যে আমি খাই ।
রঙ্গিণী : দিদি যে কেমন করে তোমার মত পাগলের সাথে সংসার করে বুঝি না !
-তোর দিদিও পাগল !
রঙ্গিণী : তোমারা পাগল হও ঠিক আছে – দিদির গর্ভে আমার যে সন্তান আসবে ওদের পাগল বানালে খবর আছে ।
এরই মধ্য রমা এসে হাজির-আমার প্রতি ক্ষেপে বলছে:-স্বামী কেমন গো তুমি ? আমার বোনের নরম পায়েঁ জোরে আঘাত করলে ?
-সরি ,সরি ,সরি ।
রমা: তোমরা ডাইনিং রোমে বস আমি কফি নিয়ে আসি , এই বলে রমা চলে গেল ।
এরপর কফি শেষ করে অনেক আড্ডা হলো আমাদের । বিকেলে রমা ও রঙ্গিণীকে নিয়ে বের হলাম নদীর ধারে জল দেখতে । রঙ্গিণী হাটঁতে হাটঁতে নদীর কিনারায় চলে গেল – জল থেকে উত্তাপে উঠা গ্রীষ্মের হাওয়া ওর খোলা-চুল এলোমেলো করেদিল,দুর থেকে মুখ বুঝা যাচ্ছিলো না ।
রমা চিৎকার করে বললো: রঙ্গিণী চলে আয় বোন। নদীর পারে চোরা বালি থাকে ।
রঙ্গিণী বললো: দিদি দেখে যা ,–কত বড় একটা কচ্ছব । অনেকগুলো বাচ্ছাও ফুটেছে ।
আমি বললাম: রঙ্গিণী ওটাকে উঠিয়ে নিয়ে আয় ।ওরনা পেছিয়ে, রাতে রা্ন্না করে খাব ।
রঙ্গিণী: সত্যিই আনবো?
রমা: না, রঙ্গিণী আনিস না , ওরতো অনেকগুলো বাচ্ছা আছে !ওরা মার জন্য কাদঁবে ।
রঙ্গিণী: ঠিক আছে দিদি আনবো না ।
কিছুক্ষন পর রঙ্গিণী চিৎকার করে বললো- ও দিদি একটি সাপ আমার দিগে তেড়ে আসছে ,আমাকে খাবে বলে ।
রমা ক্ষেপে বললো: তোকে বললাম না ,চলে আয় । এই নদীর জলে দুষ আছে । এরপর রঙ্গিণী দৌড়ে চলে আসলো আর হাফিয়ে বললো-ইস ! লাইভ সাপ দেখলুম। কত বড় সাপ ।
আমি রঙ্গিণীকে বললুম: আমাদের এলাকাতে এমন কত সাপ ছিল । গর্তে হাত ঢুকিয়ে ওগুলো কে শাসন করতুম।
রমা হিহিহি করে একপাটি দাতঁ বের করে বললো:-শুনেছিস আমার স্বামী কি বলে । সে নাকি সাপুড়ে ছিল । সাপদের শাসন করতো , এরপর রঙ্গিণীও হেসেঁ উঠলো । রঙ্গিণী বললো: এমন গপ্পো তো আগে শুনাও নি আমাদের ?সাপুড়ে ছিল তুমি ?নাকি আগের মত গল্পের নাম করে গুল মারছো?
-নারে , এটা সত্য কথা । আমার এক বন্ধু ছিল বেদের ছেলে –মানিকরতন , ও সাপ নিয়ে কারবার করতো । ওর সাথে কত কত পাড়া গুরতুম সাপনিয়ে ,ওর বাবা বন জঙ্গল থেকে বড় বড় সাপ ধরে নিয়ে আসতো ,ওর বাবার গলায় অনেক তাবিজ কবজছিল ।
রঙ্গিণী : কি কি সাপ ধরতো সে, বলদিকি ।
-শঙ্খচুড়া ,কালজাতি,দুধরাজ,খরিস,লাউডগা,অজগর,শামুকভাঙ্গা, চন্দ্রবোড়া,মাইডা ।
রঙ্গিণী: সত্যিই তোমার বন্ধু মানিকরতন সাপুড়ে ছিল ।
-হুম, ছিল তো ।
রঙ্গিণী: তোমাদের ওখানে যাব তাহলে ।
-মানিকরতনরা তো বেদের ছেলে ওরা কোথায় না কোথায় চলে গেছে। তবে অন্যরা আছে সেখানে গেলে তুই আরো সাপ দেখতে পাবি ।
রঙ্গিণী : আচ্ছা ওখানেই যাব ।
-ঠিকঁ আছে Next ছুটিতে আসিস নিয়ে যাবক্ষন ।
রঙ্গিণী: আচ্ছা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×