" বিনয় মজুমদারের এক তের বছরের বোন ছিল, ওর নাম "রিণি" যে ছোট্ট মেয়েটি নিজ ছোট কাকার ধারা রেপ হয়েছিল ! আর সে পাশান্ডের নাম ছিল সতীশ । কাজটা সেরেই সতীশ বাসা থেকে পালালো, বিনয়দা প্রথম লক্ষ্য করে ওর বোন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ! তখন অত কিছু বিনয় বুঝেনি -দৌড়ে গিয়ে মার রান্নারুমে বোনের আহত হবার খবরটা শুনালো ।
সে ছোট থেকেই বিনয়ের জেদ ছিল, ওর ছোট্ট চাচাকে চাকু দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মারবে ! ওর ছোট্ট চাচা তখন ভার্সিটিতে পড়তো- ওরদের সাথে আর সম্পর্ক রাখেনি ,শহরেই নিজ জীবন শুরু করেছিল ।
জীবনের শেষ বেলায় শুধু চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল সে খুব অসুস্থ ! বিনয়দা ওখানে ছুটে যায় গিয়ে দেখে সতীশ নামক পাশান্ড মৃত মানুষের মত পড়ে আছে , চোখ ঈলিশ মাছের মত পলক পড়ে না !
বিনয় ভেবেছিল তখন ওতো মরে পড়েই আছে , ওমন ভাবে যদি যৌর্ন নিযার্তন করে ওর দুই কন্যার সাথে বা ওর স্ত্রীর সাথে (সতীশের) । কাকীমা, ও তার দু' মেয়ে যেমন চটপটে আর জিন্স পড়া তাতে এমনিতেই তার সাথে বিছানায় উদুম হয়ে শুয়ার কথা ! (এগুলো একান্ত মনের কথা যা বিনয়দার ব্যক্তিগত ডাইরীতে পাওয়া গেছিল) । সে রাতেই সতীশ মারা গেল, দু'দিন পর যখন রিণিদির বাড়ি গেল এ খবর নিয়ে , রিণি ওর খালিহাত দেখে অভাগ হলো কারণ ওখানে তো সতীশের মুন্ড থাকার কথা !
লেখক: মানুষ , বিনয়দার নোট থেকে খানিক অংশমাত্র ! বিনয়দার এত এত ক্ষোপ অভিমান ছিল ??
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪২