somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্মলা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নির্মলা : আর কতক্ষন কম্পিউটারে ঘুতুবে স্বামী ? চলে আসো না বিছানায় ? আজ ভালো করে মশারী পেতেছি ,গত রাত্রির মত আর বিরক্ত হবে না ।
-নির্মলা তুমি ঘুমিয়ে পড়ো , আমি পর আসচ্ছি ।
নির্মালা : না , তুমি এখন আসো । ঘুমিয়ে পড়লে মাঝরাত্রিরে ভুতের মত শরীর চেপে বস বিরক্ত লাগে তখন । যা কারার এখন করে নাও না ।
-কেন বুঝছো না নির্মলা অনেক কাজ বাকি আছে ।
নির্মলা: স্ত্রীর মন বুঝার মত হৃদয় তোমার নেই ।
-কেন থাকবে না নির্মলা ?
নির্মলা: তাহলে এত বলার পরও না করতে পারতে না ।
-আমি চুপ করে আছি ।
নির্মলা: কথা বলছো না যে ?
-নির্মলা আমাদের গ্রামীণ জীবনের গল্প শুনবে ?
নির্মলা: গল্প করে কাজের ক্ষতি হবে না ?
-না, সেতো প্রতিদিনি তোমাকে শুনাই ।
নির্মলা: বল ।
-আমাদের পাড়াতে রহিম শেখ বলে এক ছেলে ছিল , ওর বাবা অল্পবয়সে ওকে রেখে মারা যায় । ওদের অনেক জায়গা জমি ছিল , ওর বাবা মারা যাবার পর ওর চাচারা অনেক জমি ছিনিয়ে নিল । রহিমের সাথে স্কুলে ছোটবেলায় আমি স্কুলে পড়েছিলাম । পর ও আর ওর মা বাকি জমি বিক্রি করে একেবারে চলে যায় । ওদের দারুন এক বাড়িছিল জানো, পুকুর ঘাটে কত পাখির সমাহার । ওদের বাড়ির গাছ থেকে কত গোল বড়ই পেড়ে খেতাম । আমরা তখন পাড়াতে বাজিঁ ধরে লাটিম খেলতাম , ও চলে যা্‌ওয়ার পর অনেক খেলাই উঠে গেল । ওতো খেলার পোকাঁ ছিল, স্কুল তেমন করতো না সারাদিন খেলতো আর খেলতো । গত কয়েকদিন ধরে ওকে খুব মনে পড়ছে জানো । কেমন আছে ওরা জানি না । একবার আমাদের শিউলীগাছ থেকে শিউলীফুল পাড়তে গিয়ে দাতঁ ভেঙ্গে গেছিলো , সেই ছোট্ট বেলায় আমি এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম ওই মেয়ের সাথে লাইন করে দেয়ার জন্য ওর সাহায্য নিয়েছিলাম । মেয়েটা খুব কালো ছিল, শুধু চোখ দুটো দেখা যেত । ও আমাকে আর ঐ মেয়েকে ডেটের ব্যবস্থা করে দিছিলো , মেয়েটা খুব বোকা ছিল । ওকে একটা কিস করেছিলাম পর ঐ মেয়ে সারা পাড়া বলে বেড়িয়েছিল যে আমি ওকে কিস করেছি । কি যে কলঙ্ক হয়েছিল তখন জানো । পর এটা নিয়ে নালিশ হল , আমাকে কান ধরে ১০বার উঠ বস করানো হল ! বাবা কসিয়ে এক থাপড়া মেরেছিল পর আর যোগাযোগ হয়নি ।
নির্মলা: কেন যোগাযোগ করনি মেয়েটা কালো বলে ?
-নাগো, ভয়ে । কেমন দেখনা সব কিছু বলে দেয় ।
নির্মলা: হলেও তুমি করতে না জানি , তুমি তো আর্কষনীয় খোজঁ সব সময় ।
-এমন বলছো কেন নির্মলা ?
নির্মলা: শুনেছিতো , নিজে বিয়ে করার জন্য তিন বছর নাকি মেয়েই দেখেছো পর আমাকে বিয়ে করলে । আমার রুপ দেখেই বিয়ে করেছো নিশ্চয় ? মিথ্যা বলবে না বল ?
-আমি বিয়ে না করলে তো তোমাকে অন্য কেউ বিয়ে করতো তাই না । এমন প্রশ্ন করো কেন ?
নির্মলা: জীবনের অনেক কথাই তো ডাইরীতে লিখে রেখেছো । এত এত ডাইরী লিখার ধৈর্য্য তোমার থাকে ?
-পড়েছো সেই সব ?পড়ো না , নিজের অনেক ব্যক্তিগত বিষয় লিখিছি ।
নির্মলা: পড়েছি । হেসেছি । কি ক করতে তখন । তখন তো আর তুমি আমার স্বামী ছিলে না তাই ঐসবে অভিয়োগ নেই । এখন যদি দেখি কোন লিখাতে নারীর সাথে খাতির ঐ ডাইরী পুড়ে খাব আমি ।
-হাহাহহাহহা ! আর ডাইরীর লিখককে ।
নির্মলা: তাহাকে যে কি করবো !!
-কি করবে ?
নির্মলা: তার উত্তরসূরীকে সব বলে দিব !
-এ কাজ করো না নির্মলা ।
নির্মলা: তোমার ঐ বন্ধু তোমাকে নিয়ে একবার মাগী পাড়ায় গেছিল ! এক মাগী তোমাকে ধরে কিল দিয়ে বলেছিল, এই পিচ্ছি এই ছোট্ট বয়সে মাগী দেখতে এলি ! তারপর তুমি দৌড়ে চলে এলে । হাহাহহাহাহাহ
-হাহাহাহহা
নির্মলা: আচ্ছা সত্যি করে বলবে মানুষ, এরপর আর কখনো মাগী পাড়ার যাওনি তো ! বাজারে মেয়েদের শরীরে কত অসুক থাকে তো ।
-না নির্মলা যাইনি ।
নির্মলা: বিশ্বাস করবো কি করে মানুষ । তুমি তো পুরুষ , কত জায়গায় যাও কত ধরনের প্রলোভন তোমাদের কাছে আসে ।
-আমি ওমন না ।
নির্মলা: জানি আমি ।
-কি জানো ।
নির্মলা : তুমি ওমন না ।
-হুম । আসছি নির্মলা । একটু ওয়াসরুম থেকে আসছি । তোমাকে জরিয়ে ঘুমুবো এখন ।
নির্মলা: প্লিজ স্বামী একটু সেফ করে এসো , কতদিন জঙ্গল হয়ে আছে ।
-হাহাহহা
নির্মলা: সত্যিই বলছি ।
-জঙ্গলার মধ্যই প্রকৃতি ।

-


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×