"হঠাৎ মা অসুস্থ হয়ে পড়লো , বড়দি-ছোটদি আর তাদের স্বামী সন্তানরা দেখতে এলো ! ছোট্টদের ছুটা-ছুটিতে মার অসুস্থতাও যেন সুখেরুপ নিল , বার বার মা বলতো তোরা বাড়ি এলো বড়ো ভালো লাগে । সত্যিই কেউ কোনদিন মনেই করবে না এই বাড়িতে কোন অসুস্থ মা আছে, যেন মনে হবে সদ্য কোন অনুষ্টান শেষ হলো বুঝি ! এতটাই আমেজ ।মার অসুস্থতার তৃতীয়দিন আমি ছোটদি আর বড়দির বর ঘরে বসে মার সাথে গল্প করছিলুম, বড়দি সম্ভবত রান্না রুমে ,ছোটদির বর ছোটদের সাথে খেলছিল এমন সময় মনে হলো ঘরের পাশে উঠনে কে যেন এসে বসলো । মা বললো, দেখতো কে এসেছে ? ছোটদি ঘর থেকে দরজায় অব্দি গিয়ে বাইরে চুপি দিয়ে ফিরে এলো । মা বললো, কে এসেছে ? ছোটদি , মিন মন করে বললোঃ- বাবা এসেছে । হঠাৎ যেন ঘরে শোকের ছায়া পড়ে গেল, কারো মুখে শব্দ নেই । মা কিছুক্ষণ পর বললোঃ আমাদের আর কারো প্রয়োজন নেই, আমরা বেশ আছি । প্রয়োজন নেই দেখতে আসার । যখন প্রয়োজন ছিল অনেক ঢেকেছি । এরপর আমি আমার ঘরে চলে এলাম , জানালা দিয়ে দেখলাম বাবা উঠনে বসেই রয়েছে , বড়দি তার সামনে কিছু খাবার দিল মনে হলো সে শুধু জলটাই নিল । মার হঠাৎ উ্ত্তেজিত হয়ে যাওয়াতে বাবা আর মার পাশে গেল না শুধু উঠনে বসেই শুনে গেল স্ত্রীর সমস্ত অভিযোগের কথা ,ঘন্টা দুয়েক পর বাবা উঠে চলে গেল । আমি বাইরে বের হলাম ,বাবা একটি প্যাগে কিছু আনারস,গ্লুকুজ,নারিকেল,আপেল নিয়ে এসেছিল ওগুলো রেখ গেল কিন্তু কেই ধরলো না , আমি ওগুলো একটু উপর রাখলাম তারপর তিন-চারদিন চলে গেল বাবার দেয়া কোন কিছুতেই কেউ হাত দিল না কয়েকদিন পর আর ওগুলো দেখিনি হয়তো ফালিয়ে দিয়েচে আর জিজ্ঞাসা করিনি কাউকে ।
পুনশ্চ:
বাবাও সম্ভবত ভালো আছে দ্বিতীয় জীবনে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১২