বিষন কড়া রৌদ্রর এই দুপুর বেলা ,নীল আকাশে শাদা মেঘ খন্ড ভেস যাচ্ছে –এক বলবে এই উর্জ্বল আকাশ থেকে ঘন্টা দুয়েক আগে শিল বৃষ্টি পড়েছিল । আমি বাইরে থেকে এসে ঘরে ঢুকলাম, রমাকে এখনো দেখি কুচরো মুরগীর মতো পেচিয়ে ঘুমুচ্ছে! আমি কিছুটা উর্চ্চস্বরেই বললাম-এই রমা, উঠবে না দুপুর হয়ে এলো যে, দেখনা আজকের কত সুন্দর এক ভিন্ন দিন। তবুও দেখি রমা উঠে না। আমি রমাকে বিছানা থেকে টেনে তুলতে চেস্টা করলাম-রমা বার বার বলছিল, আরেকটু ঘুমুই লক্ষীটি!প্লিজ।
আমি বিরক্ত হয়ে রমাকে ছেড়ি দিলাম কি আর করার । এরপর মোবাইল থেকে লাউড স্পিকার দিয়ে গান ছাড়লাম্ । রমা ঘুম কন্ঠে মিন মিনিয়ে বলছে- স্বামী গানটা বন্ধ করো না , আমি একটু ঘুমাই। আমার চোখে প্রচুর ঘুম।
রমা এ-কেমন কথা । তুমি সারাদিন ঘুমুবে আমি কি করবো? আমার কি একা একা ভালো লাগে, উঠো না ঘুম থেকে গো । চলো না হাওড়ের পাশে যাই-ওখানে অনেক সবুজ –কুচরি পানা উঠেছে , দেখে আসি গে ।
রমা : স্বামী যাবো তো বলছি, আমার ঘুম যে এখনো শেষ হয়নি তারচেয়ে তুমিও আসো না আমার পাশে এসে ঘুমিয়ে পড়ো।
এই বরদুপুরে কি ঘুমুনোর সময় হলো। দেখনা কত উজ্জ্বল একটা দিন আজ,হলুদ করে রৌদ্র উঠেছে ।
রমা: আমি পারবো নাগো। তুমি আসো না আমার পাশে-এই যে জায়গা করে দিচ্ছি ঘুমাও এসে ।
রমার জোরা –জুরিতে ওর পাশেই শুতে হলো। রমা আমার মাথা ওর বুকে চেপে ধরে বললো-ঘুমাও , একটু চোখ বুজে থাক দেখবে ঘুম এসে যাবে , আজকের দিনটা ঘুমুনোর জন্য উত্তম সময় ।আমি রমাকে বললাম:-এভাবে বুকে মাথা চেপে ধরলে তো আমি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাব গো?
রমা: তাহলে কি ছেড়ে দিব?
-না থাক! কিছুক্ষন চোখ বুঝে রইলেম দেখি সত্যিই চোখ নরম হয়ে আসছে তার মধ্য রমার শরীরের কেয়ারী ঘ্রার্ণ আমাকে ঘুম পাড়িয়েই ছাড়লো ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮