কাজের প্রয়োজনে আমাকে সিলেট থাকতে হয় । হঠাৎ আম্মার জরুরী ফোন পেয়ে ঢাকা চলে এলাম । আম্মা যে অসুস্থতার কথা বলেছিল তা.তাহলে সঠিক নয় । এমন ভাবে ডেকে আনার কারন বুঝতে পারি না তাদের, এমনি যদি আসতে বলে আমি কি আসবো না ? তবে বাসায ঢুকে বুঝেছি কিছু একটা হয়ছে । আমি বাবা-মাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে তারা কোন কথা বলে না, শুধু বলে এসেছিস জিরিয়ে নে পর বলবো । যাইহোক আমি আমার মত –ঢাকাতে এসে পরিচিত কয়েকজন কে ফোন দিয়ে আড্ডা দিলাম এবং রাতের ১০টার মধ্যই বাড়ি ফিরলাম এবং অনেক দিনপর মজা করে বর্তা ভাত দিয়ে খেলাম । খেয়ে দেয়ে ঘরে একটু রেস্ট্র নিলাম । এমন সময় আম্মা এসে বলতেছে –তোর সাথে কিছু কথা ছিল ।
আমি বললাম-হ্যাঁ বলো , এটা বলবে বলেই তো ঢেকে আনলে । আম্মা আমার হাতে হাত রেখে বলতেছে আগে কথা দে মনে কষ্ট পাবি না । না মা কষ্ট পাব না , বলো তুমি ।
পর মা বললো:-রেনুকে তোর সাথে বিয়ে দিবে না তারা!ওরা এ্যানগেজমেন্টের আংটি ফিরিয়ে দিয়েছে । আমি কিছুক্ষন থ হয়ে গেলাম! হেসেঁই বললাম- মজার বিষয় তো কেন?।
মা বললো:-শুনেচি রেনু ওর বান্ধবির বিয়েতে গিয়েছিল। ওখানে আমেরিকা প্রবাসী একলোক ওকে পছন্দ করে ,প্রস্তাব দেয় পর ওরা মতামত পরি্বর্তন করে ।
আমি বললাম: মা ? ঝগড়া করেছিলে ওদের সাথে?
মা: করবো না? মেয়েটাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করলাম।ছোটবেলা থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম তোর সাথে ওর বিয়ে দিব আর এ্যানগেজমেন্টও হয়ে গেছে তোদেরও পছন্দ ছিল দু’জন –দু’জনার ।
-মা রেনু তো আমাকে তেমন কিছু বলেনি ?এই তো কিছুক্ষন আগেও তো কথা হলো ওর সাথে ।
মা: আমি বলতেই না করে দিয়েছি। বলেছি আমি না বলা পযন্ত কিছু বলিস না ওকে।
-তাই হবে হয়তো ! ওকেও কিছুদিন ধরে অপরিচিত লাগছে ,নাম্বার ব্যাস্ত পাচ্ছি ।জিজ্ঞাসা করলে ঠিক উত্তর দেয় না । ব্যস্ততা দেখায় খুব। এতদিনের সর্ম্পক একদিনেই শেষ? কি জানি? টাকাওয়ালাইরা সব পাড়ে , জীবন তো ওদের ।
মা: বলেছি না মন খারাপ করবি না।
-না মা, মন খারাপ করি না। শুধু মানুষ দেখে গেলাম পৃথিবীতে ।
মা: রেনুর বাবা যদি আমার ভাই না হতো ওর নামে মামলা করতাম,প্রতারনার ।
-মামলা করে কি হবে? রেনুকে ছিনিয়ে আনবে? খারাপ লাগে কি মা জানো! যখন দেখি কেউ পন্য হয়ে যায় ।তোমার ভাই বলো বা রেনু বলো । আমি কি কোনদিন পন্য ছিলাম? কি জানি-আমার বিষয় অন্যরা বলতে পারবে।
মা: মন খারাপ করিস কেন বাবা?
-না মা।মন খারাপ না, মনটা ভালো হয়ে গেল ।যাও মা ঘুমাতে যাও। আমার প্রচুর ঘুম পেয়েছে । আমিকাল দুপুরে ঢাক দিয়ে দিও –সিলেট যেতে হবে । কাজ রেখে এসেছি ।
এরপর মা চলে গেল রুম থেকে। আমি জীবনের পাতায় আরেকটি নুতন ডাইরী লিখলাম-, “