পরবাসী ১২.১২.১২
প্রিয়হারা পরবাসী,
তোমাকে কে আর ভালবাসি ?
রিক্তের বেদন, তবু রয় হাসি খুশি,
বিরহ বধুয়া , মা-বাবা ভাই বোন
প্রিয় সন্তান, স্বজন আরও প্রতিবেশী;
দিবা নিশি তাদের কথা মনে পড়ে বেশী
দেশের ছায়া, হৃদয়ে মায়া বারবার আসি ।
নিজের কথা ভাববার সময় নাই
দেশে টাকা পাঠাবার সময় যে হয়ে যায়;
বঊয়ের কত যে বায়না !
চাই স্বর্ণ গয়না,
মা-বাবা ভাই বোন আর কত কিছু চায়না ?
অনিবাসীর দুঃখের খবর কেঊ নেয় না;
তার মনের কথা কেউ শুনেনা ।
পর দেশীর বুকের হাহাকার
মর্ম বেদনা কেউ তো বুঝেনা ।
ক্ষুদ্র রুমে মেসের সিটে একতলা দোতলায়
অনেক কষ্টে সুখে দুঃখে জীবন কাটে অবহেলায়;
রাস্তা ,সড়ক সেতু, প্রাসাদ নগর করে নির্মাণ
লেবার, ক্লিনার, মালি, গৃহকর্মী, চাকর-ড্রাইভার
শ্রমিক সবে আরও বিপনী বিতান--------
বকা শুনে, রক্ত ঘাম ঝরিয়ে , কঠোর শ্রমে
কাটে সময় দিনমান ,
জীবন-মরন ঝুঁকি নিয়ে সদা কাজে ধাববান ।
অদক্ষ অজুহাতে তার হয় না যথা মূল্যায়ন ।
মিসকিন লেবার বলে কেউ বা আবার দেয় গালি
মন মত পাওনা, নাওয়া খাওয়া, কখনও বা পেট রয় খালি
দেশের চাওয়া, হেথায় পাওয়ার হিসেব কভু না মিলি।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলি, করে কাজ দিবারাতি
সোনার ডলার পাঠায় দেশের প্রতি
সুবিধাভোগী করে ভোগ, সঞ্চয়ে নাই মতি ;
অর্থ পেয়ে দেশের অর্থনীতি পায় গতি
তবু কেন হায়, সোনার ছেলেরা পায়না সুগতি,!
তাদের প্রতি কর কেন সুবিচার সুমতি ?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮