আগেই কইছিলাম আমেরিকানরা যতই গণতন্ত্রের জন্য ইরাকে আফগানিস্তানেবোমা ফালাক নারী নেতৃত্ব মাইন্না নেয়ার মত কেয়ামতের লক্ষণ হেরা কোনদিনই সৃষ্টি করব না। জিতার পর সে ঘোষণা দিছে পুরা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সে, বিভক্ত আমেরিকার না। অনলাইনে এখনও ট্রাম্পের আগের বক্তব্যগুলা খুঁজলে পাওয়া যাবে- মুসলমান খেদানি, মেক্সিকোর সাথে বর্ডার, হিসপানিক আর মুলাটোদের প্রতি বিষোদগার। জিতছে ঠিকই আমেরিকানদের আবেগ কাজে লাগায়া যে বাইরের লোকজন আইসা আমাদের কাম দখল করতাছে। এইটার আরেকটা মানেও দাঁড়া করানি যায়- ম্যাক্সিমাম আমেরিকান ভোদাই, যেই কারণে হেগর জায়গায় বড় বড় কোম্পানিগুলা বাইরের লোক চায়। পিএইচডির করার সময় এক সেমিস্টারের জন্য আমার প্রফেসরে আমারে কইছিল আন্ডারগ্রাডের দুইটা ল্যাব চালাইতে; এমুন রামভুদাই মার্কা পুলাপান ইউনিভার্সিটিতে কোন বাল ফালায় অবাক হয়া যাইতাম।
তাও প্রশ্ন থাকে, গণহারে অবৈধ অভিবাসী বাইর কইরা দেয়া শুরু করে নাকি। রিপাবলিকানদের এমনেই কিছু খারাপ খাসলত আছে, হেরা যুদ্ধ আর তেলের পিছনে বিনিয়োগ করে বেশি, জনগণের দৈনন্দিন চাহিদার দিকে হেরা নজর কম দেয়। দুনিয়ার বেশিরভাগ জায়গায় চাইনিজ আর ইন্ডিয়ানরা সবচেয়ে বড় যোগানদার, মেধা আর কামলা দেয়া দুই দিক থিক্যাই। ট্রাম্পে এই দুইদেশরে চটাইব না নিজের স্বার্থেই। সমস্যাটা হইব সাধারণ নিম্নমধ্যম আয়ের আর গরীব দেশগুলোর, এদের আমেরিকায় পড়াশোনা করতে যাইতে বা কাম করতে যাইতে বাঁধা আইব যদি ট্রাম্প হের নির্বাচনি ওয়াদা ধৈড়া রাখে। ৯/১১ এর পরপরই জাতিগত বিদ্বেষের শুরু হয়, যদিও পরে সেইটা কইমা যায় অনেক। হিলারি সারা দুনিয়ায় অনেক যু্দ্ধে সরাসরি ইন্ধন জুগাইছে সত্যি, কিন্তু মাথায় রাখতে হইব যে হের নিজের সিদ্ধান্তে কিছু হয় নাই, প্রেসিডেনশিয়াল সরকারে সব সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টের কাছ থিক্যাই আসে। এখন একমাত্র আশা যদি ট্রাম্পের এডভাইজররা ট্রাম্পের মত না হয়। এমনিতেই এই লোক জিতছে টেকার জোরে পাবলিক সেন্টিমেন্টরে কামে লাগায়া, আমেরিকান সংবিধান আদৌ জীবনে পইড়া দেখছে কিনা সন্দেহ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬