somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি নিয়ে হরতালের রাজনীতি : আমাদের কপালে আরো দুঃখ আছে

০৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজকের খবর না! ২০০৬ সালের। জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) এ ধরনের খবর ছিল নিত্ত-নৈমত্তিক ব্যাপার।
সূত্র: ইত্তেফাক ২৯-০৯-২০০৬

বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানির মহাসংকট একদিনে সৃষ্টি হয় নি। এর জন্য দায়ী পুরানো সরকারগুলোর দুর্নীতি, দায়িত্বহীনতা, অপরিণামদর্শী কার্যকলাপ, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাব এবং দল ও ব্যক্তি পূজা। স্বৈরাচার এরশাদের কথা বাদই দিলাম, বিএনপি ১৯৯১-১৯৯৫ সালে ও আওয়ামী লীগ ১৯৯৬-২০০০ সালেও যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করত তাহলে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানি সমস্যা এত প্রকট হত না।

আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০০ সালে বিশেষ করে বিদ্যুৎখাতের কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। কিন্তু তার জন্যে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যায়নি। সহায়তা পাওয়া গেলেও সেইসব শর্ত মানতে সম্মত হয়নি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেব। ফলে বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর প্রকল্পগুলো যেন টাকার অভাবে অবাস্তবায়িত থেকে না যায়, সেজন্যে তিনি বিকল্প উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন। যে-সব কোম্পানি ওই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে তাদের কাছ থেকেই ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিবরিয়া সাহেব। এই ঋণের মন্দ দিক হলো এর সুদ বেশ খানিকটা চড়া। আর ভালো দিক হচ্ছে এই ঋণের প্রতিক্রিয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অযাচিত কারো হস্তক্ষপের সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংকসহ অনেকেই কিবরিয়া সাহেবের অর্থনৈতিক নীতিমালার সমালোচনা করেছিলেন। সমালোচনার উত্তরে কিবরিয়া সাহেব বলেছিলেন, খানিকাট বেশি সুদ দিয়েও যদি মানুষকে চাহিদামতো বিদ্যুৎ দিতে পারি , তাহলে চড়া সুদের অপরাধটা জনগণ ক্ষমা করে দেবে। কিন্তু সুদের টাকা বাঁচাতে গিয়ে যদি জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে দেই তাহলে তারা ক্ষমা করবে না। কিবরিয়া সাহেব অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা অগ্রাহ্য করেই সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে এগিয়ে যান। যাইহোক এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়াদ শেষ হলে লতিফুর রহমানের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন নিজের এখতিয়ারের মধ্যে না পড়লেও কিবরিয়া সাহেবের সময়ে নেওয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে "দেশের স্বার্থবিরোধী" আখ্যায়িত করে স্থগিত করে দেন। অথচ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে তিন মাসের একটি তত্ত্ববধায়ক সরকার নির্বাচিত কোনো সরকারের নেওয়া প্রকল্প এভাবে স্থগিত করে দিতে পারে না। পরে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি (২০০১-২০০৫) ক্ষমতায় এলে নতুন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান চিরশত্রু আওয়ামী লীগের ওই প্রকল্পগুলো কোন যাচাই-বাচাই না করেই বাতিল ঘোষণা দেন। জোট সরকার বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে সাময়িক কিছু পদক্ষেপ নিলেও দীর্ঘমেয়াদি কোন বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করে নি। এরপরের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। দেশ অলিখিত এক দ্বৈত শাসনের কবলে পতিত হল। বিশেষ করে ক্ষমতাশীল হাওয়া ভবনের অবৈধ হস্তক্ষেপ, চাঁদাবাজি ও স্বজনপ্রীতির কারণে অনেক পরিকল্পনার মত সাময়িক বিদ্যুৎ পরিকল্পনার বেশিরভাগ টাকাও লুঠপাট হয়ে গেল। জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানির সমস্যা যে কত ভয়াবহ হয়েছিল তা বিস্তারিত উল্লেখ না করে শুধুমাত্র ২০০৫ ও ২০০৬ সালের পুরানো পত্রিকার কিছু সংবাদ শিরোনাম তুলে ধরলাম:


সূত্র: ইত্তেফাক ১৪-০৯-২০০৫


সূত্র: ইত্তেফাক ১৩-১০-২০০৫

সারাদেশে প্রতিদিন ৯শ’ মেগাওয়াট লোডশেডিং
প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ৯শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থা সারাদেশে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে। অসহ্য গরমে তারাবীহর নামাজ পড়তে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিদারুণ কষ্ট হচ্ছে। অনেক স্থানে মসজিদের মুয়াজ্জিন আল্লাহু বলার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। আকরব শেষ করারও সময় হয় না। এই নাজুক পরিস্থিতি উত্তরণের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনাও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে বিদ্যুতের লোডশেডিং সরকারের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হলেও সমাধানের সম্ভাবনা খুবই কম।
সূত্র: ইত্তেফাক ১৪-১০-২০০৫


সূত্র: ইত্তেফাক ২৪-০১-২০০৬

বিদ্যুৎ সমস্যার ব্যাপারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মূলত: আর্থিক সহযোগিতার অভাবে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, দাতাদের পরামর্শে এই খাতে অনেক সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিš' দাতাদের নিকট থেকে তেমন কোন আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়নি। তিনি উল্লেখ করেন, বিদ্যুতের অপচয়, সিস্টেম লসের নামে ব্যাপক বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ এনে দাতারা প্রায় এক দশক যাবৎ এই খাতে তেমন কোন সহযোগিতা করেনি।
সূত্র: ইত্তেফাক ০২-০৩-২০০৬



বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হতে চেয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে ২৪জন নিরপরাধ মানুষের জীবনের আলো চিরতরে নিভে গেল।
সূত্র: ইত্তেফাক ১৩-০৪-২০০৬


বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে দিশেহারা রাজধানীর উপকক্ত শনির আখড়া এবং এর আশেপাশের বিশাল এলাকার হাজার হাজার মানুষ গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে প্রচণ্ড বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠলে দিবসব্যাপী সেখানে এক প্রলয়ংকরী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জনতা সকাল থেকে রাত ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে এবং বিপুল সংখ্যক গাড়ি ও আশেপাশের দোকানপাটে ভাংচুর চালায়। সারাদিন দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষে আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের শিকার হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ ও সেনা সদস্য। বিএনপির সন্ত্রাসী কিছু কর্মী ও স্থানীয় এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ বিক্ষুব্ধ জনতার উপর মারমুখি হয়ে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সূত্র: ইত্তেফাক : ০৬-০৫-২০০৬


সূত্র: ইত্তেফাক : ০৮-০৫-২০০৬

আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে বিদ্যুৎ
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্যই মূলত দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নতি হয়নি। মাসের পর মাস পরিকল্পনা কমিশনে পড়ে থাকা, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে কোন সিদ্ধান্ত সময়মত না দেয়া ইত্যাদি কারণেই বিদ্যুৎ খাতের বেহাল অবস্থা। এদিকে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেছেন, ব্যবস্থাপনার উন্নতি না হলে অন্য অনেক খাতের মত বিদ্যুৎ খাতেরও উন্নতি হবে না। তিনি বলেছেন, অর্থায়নের অভাবে এবং বার বার প্রকল্প বাতিল করায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে ১ হাজার ৬২৪ মেগাওয়াট। বর্তমানে সান্ধ্যকালিন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ৪২০০ মেগাওয়াট। প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোডশেডিং হচ্ছে। সরকার স্বল্প মেয়াদী ভাড়ার ভিত্তিতে ৮টি বার্জ, ট্রেলর, স্কিড মাউন্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।
সূত্র: ইত্তেফাক ১৯ মে, ২০০৬


সূত্র: ইত্তেফাক ২২ মে, ২০০৬

বর্তমান জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে সরকারি হিসাবে ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হলেও দেশবাসী এখনো চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। দেশের প্রতিটি জায়গা থেকে বিদ্যুতের দাবিতে অসন্তোষের খবর আসছে। প্রতিদিন দেশের গ্রামগুলোতে সন্ধ্যাতো বটেই দিনের বেলাতেও অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। শহরের অবস্থাও একই রকম। কোথাও দিনের বেলায় এক ঘন্টা তো রাতের বেলা পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজেই। আর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ। দেশবাসীর প্রশ্ন, কোথায় কার দায়িত্ব ইত্যাদি তারা বোঝেন না। তাদের ঘরে বিদ্যুৎ থাকছে কিনা সেটাই আসল কথা।দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বিদ্যুৎ সংকট প্রচন্ড আকার ধারণ করার কারণ দুর্নীতি অনিয়ম ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।
বিদ্যুৎ-পানির জন্য যখন সারাদেশ তোলপাড়, তখন খালেদা জিয়ার বাণী:
বিদ্যুতের নামে জনগণকে উস্কে দিয়ে বিরোধী দল নির্বাচন বানচাল করতে চায়": জামালপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী, অক্টোবর ০১, ২০০৬
জোট সরকারের বিদায়লগ্নে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান ;):
জানালা খুলে দিন, বাইরের আলো আসবে, এটাই এখন ভরসা : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, (ইত্তেফাক - অক্টোবর ০৫, ২০০৬)


সূত্র: ইত্তেফাক ২৭ মে, ২০০৬

অবশেষে আওয়ামী লীগ আমলের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে
আগামী সময়ের বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে সরকার আওয়ামী লীগ আমলের পরিকল্পিত ২০টি প্রকল্পই আবার গ্রহণ করছে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সকল প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে জোট সরকার সেগুলোই বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। এগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২০১২ সাল নাগাদ দেশের জাতীয় গ্রীডে আরও ৬ হাজার ২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজিত হবে।
সারা দেশে চলছে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট। এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে। বর্তমান সরকার কেবল একটি মাত্র নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া আর কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেনি। পিডিবির আওতায় চাইনিজ কোম্পানির করা টঙ্গী ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। অবশ্য সরকার দাবি করছে তাদের সময়ে নতুন একটি প্রকল্পের সাথে পুরানো বিদ্যুৎ ইউনিটগুলো মেরামত করে প্রায় সাড়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেবল জাতীয় গ্রিডে আনা হয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকছে।

সূত্র: ইত্তেফাক ২৭ মে, ২০০৬
কিন্তু তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে। জোট সরকারের তখন বিদায় লগ্ন। চারিদিকে নির্বাচনের হাওয়া। দলীয় নেতারা তখন আবার ক্ষমতায় আসার জন্য ইলেকশন ইনজিনিয়ারিং নিয়ে ব্যস্ত। পরিণাম বিদ্যুতের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা দেশ ও জাতি আরো পাঁচ বছর পিছিয়ে পড়ল। এরপর ওয়ান ইলেভেন ও ফকরুদ্দীন সরকরের দুই বছর।
পাঁচ বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না জনগণ।পাওয়া গেছে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ।। ধরা ছোঁয়ার বাইরে জড়িতরা
জোট সরকারের পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও দেশের বিদ্যুৎ খাতের কোন উন্নতি হয়নি। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করার পরও দেশে বিদ্যুতের সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। সরকারি খাতে গত ২০০১-২০০২ অর্থ বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ সাল পর্যন্ত এতো অর্থ কিভাবে খরচ হলো এবং এ বিপুল ব্যয় থেকে কোন ফলই কেন এলো না, সেই বিষয়টি বর্তমান সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিল তাদের বেশীরভাগই এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সূত্র: ইত্তেফাক ০৫ জুন, ২০০৭
স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ পরিকল্পনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ নয়। আওয়ামী লীগ আমলের পরিকল্পনা আংশিক বাস্তবায়ন হলেও ২০১২ সাল থেকে এর সুফল আমরা পেতাম। কিন্তু জোট সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে আমরা আরো (৫+২) সাত বছর পিছিয়ে পড়লাম।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজেই। আর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ। বিদ্যুৎ সংকট প্রচন্ড আকার ধারণ করার কারণ দুর্নীতি অনিয়ম ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন বাজেট দেয়া হয়েছে গড়ে তিন হাজার কোটি টাকা করে। সরকারি হিসাবের খাতায় এগুলো খরচও দেখানো হয়েছে; কিন্তু জোট আমলের পাঁচ বছরে জাতীয় গ্রিডে নতুন উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংযোজিত হয়েছে মাত্র ৮০ মেগাওয়াট। তাও আবার এটি বিভিন্ন সময়ে বন্ধ থাকে।আর প্রতি বছর চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট করে। বিদ্যুতের সংকট উত্তরণে যখন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অগ্রসর হচ্ছিল মন্ত্রণালয় তখনই শুরু হলো আসল সমস্যা। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে সকল দায়-দায়িত্ব নিয়ে নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বদলি, নিয়োগ সব কাজই নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মতামতের উপর।প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটি ফাইলই অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের সুসর্ম্পক না থাকায় বেশির ভাগ ফাইলই অনুমোদিত না হয়েই ফিরে আসত। জোট সরকার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ ঘাটতি রোধ করবার জন্য ছোট ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের। সরকার প্রথমে বিনা টেন্ডারে পছন্দের লোকদের দিয়ে ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। মন্ত্রী-এমপিরা রাতারাতি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ী বনে গেলেন। তারা প্রকল্প পেতে শুরু করলেন দৌড়ঝাঁপ। বিশ¡ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এখানে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেয় সরকারকে। নতুবা তারা এ খাতে অর্থায়ন করবে না বলে জানিয়ে দেয়। ফলে সরকারের এ উদ্যোগও থেমে যায়।

উল্লেখিত রেফারেন্সসহ তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশেষ করে আজকের এই বিদ্যুৎ সংকটের জন্য জোট সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আমরা অনেকাংশেই দায়ী করতে পারি। অথচ ব্যর্থতার জন্য যাদের লজ্জিত হওয়ার কথা ছিল, যাদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জাতি বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সাত বছর পিছিয়ে পড়ল, যাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে নিরপরাধ মানুষকে জীবন দিতে হল - তারাই এখন বিদ্যুতের দাবিতে হরতাল করে, হরতালে ভাংচুরের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। আমরা যে কতবড় আজিব একটা নির্লজ্জ জাতি তা ভাবতেই কষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, পুরানো ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিলে ওরা বেহায়ার মত বলে, "আমরা খারাপ ছিলাম বলে কি আপনারা ভালো হবেন না?" নিজের আচরণ ও চরিত্র ঠিক না করে অন্যকে ভালো আচরণের জন্য উপদেশ দেওয়া অযৌক্তিক ও হাস্যকর। যাইহোক, বিএনপি করেছে তাই আওয়ামী লীগও করবে এ যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। উর্দি পড়া সামরিক বাহিনীর পকেট থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে গণতান্ত্রিক কাঠামোতেই আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সাথে বাঙালী জাতির ইতিহাস, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস অতপ্রোতভাবে জড়িত।তাই রাজনীতির এই অপসংস্কৃতি হতে বের হতে আওয়ামী লীগকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির দাবিতে হরতাল যে বিএনপি-জামাতের ভাওতাবাজি ও দলের অন্ধ সমর্থকদের চাঙ্গা করার একটা কৌশল তা বিএনপির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে আমরা সবাই জানি। সুবিধাজনক কোন ইস্যু না পেয়ে হরতালকে জায়েজ করার জন্য বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির পুরানো সমস্যাকেই নতুন করে ব্যবহার করা হল। আন্দোলন-হরতাল যদি ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র উৎস হয় আর সেই আন্দোলনের জন্য যদি প্রয়োজন হয় ইস্যু, আর দলবাজির কারণে আমরা "মফিজ" কর্মীরা অন্ধভাবে যদি দল যখন ক্ষমতায় থাকে হরতালের বিপক্ষে আবার দল যখন ক্ষমতাচ্যুত হয় তখন হরতালের পক্ষে লাফালাফি করি, তাহলে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সমস্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ঢাকা শহরের যানজট, টিপাইমুখ বাঁধ প্রভৃতি জাতীয় সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান কখনো হবে না। কারণ সরকারি দল যখন বিরোধী দল হবে তখন এসব ইস্যু ব্যবহার হবে আন্দোলন-হরতালের জন্য, দলীয় "মফিজ" কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য, দলকে অন্ধভাবে ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে দলীয় কর্মীদের রাজপথে লাশে পরিণত করার জন্য। আর সেইসব লাশ দিয়েই তৈরি হবে আমাদের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের লুঠপাটের ক্ষমতার মসনদে আরোহণের সিড়ি।

যাইহোক, আমজনতা মোটামুটি বুঝতে পেরেছে যে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সমস্যার সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়, এর জন্য সময়ের প্রয়োজন। আমাদের সরকারগুলো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে চাই না, কারণ এ ধরনের পরিকল্পনার সুফল যখন মানুষ পাবে তখন হয়তো তারা ক্ষমতায় থাকবে না এবং ক্ষমতাসীন দল এ অর্জনকে নিজেদের বলে দাবি করবে B-)। (তাই আমাদের উচিত হুজুগে না মেতে সরকারী দল ও বিরোধী দলের সাফল্য-ব্যর্থতাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা।) বর্তমান মহাজোট সরকার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বিদ্যুৎ পরিকল্পনা করেছে। ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বর্তমান সংকট নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তাছাড়া বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আগামী ৩-৫ বছরের স্বল্পমেয়াদী ও ১০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে চলে গেছে দেড় বছর। এসব পরিকল্পনা বাধা-বিপত্তি ছাড়া সঠিকভাবে কার্যকর হলে সুফল পাওয়া শুরু হবে ২০১৫ সাল থেকে, পুরোপুরো সুফল পাওয়া যাবে ২০২০ সাল থেকে। টেন্ডারের নিয়ম-নীতি মানা হয়নি এবং সরকারি দলের লোকজন এসব প্রকল্পের কাজ পেয়েছে - এ অভিযোগ এনে বিরোধীদল ইতিমধ্যেই সমালোচনা করেছে। সুতরাং আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে বিএনপি জোট যদি আগামীবার ক্ষমতায় যায় এসব বিদ্যুৎ পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগেই বাতিল হয়ে যাবে। এদিকে প্রতিবছর বিদ্যুতের চাহিদা ১০% হারে বাড়ছে। সুতরাং বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসের হাহাকার আগামী বছরগুলোতে আরো তীব্র হবে। আজকের সরকারি দল তখন বিরোধী দল হিসেবে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসের দাবিতে আবার আন্দোলন-হরতাল করবে। ফারুকের মত কিছু অসহায় আমজনতা আগুণে দগ্ধ হয়ে মারা যাবে, কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর উপর পুলিশের আক্রমণ হবে ইত্যাদি বলাবাহুল্য। বিএনপি তখন দেশের উন্নয়ন বিরোধী হরতাল প্রতিহত করবে, আবার নতুন করে বিদ্যুতের পরিকল্পনা করবে, 'খাম্বা', 'নাট-বল্টু' 'তামার তার' ইত্যাদি নামসর্বস্ব কোম্পানীর মালিক হয়ে রাজনৈতিক নেতারা সরকারি টাকা লুঠপাট করবে। দেশের চলমান বিদ্যুৎ সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে, লোডশেডিং হবে সাপ্তাহিক, অর্থ্যাৎ সপ্তাহে বিদ্যুৎ থাকবে মাত্র একদিন বা দুই দিন তাও আবার শুধুমাত্র চার থেকে পাঁচ ঘন্টার জন্য /:)। এভাবে সরকার বদলের পালায় বিদ্যুতের আলো কমতে কমতে একদিন সারা দেশটাই অন্ধকার হয়ে যাবে।

দলীয় আনুগত্য, অন্ধ সমর্থন, চামচামী, নেতা-নেত্রীর পূজা ইত্যাদির উপরে উঠে আমরা যদি জাতীয় স্বার্থে এক হতে না পারি তবে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস নিয়ে আমাদের কপালে আরো দুঃখ আছে!:((
১৯৭১ সালে রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকা স্বত্বেও আমরা সকল দেশপ্রেমিক বাঙালী স্বাধীনতার জন্য যেভাবে এক হয়েছিলাম, ৯০-এর দশকে স্বৈরচারী এরশাদকে হঠানোর জন্য দলীয় বিভেদ ভুলে যেভাবে সবাই একসাথে রাজপথে নেমেছিলাম সেভাবে আজ আসুন আমরা সবাই এক হয়ে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার নোংরা রাজনীতি না করে সমস্যার আশু সমাধান করার জন্য সরকার ও বিরোধী দলের উপর চাপ সৃষ্টি করি। অন্যথায় আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।


সংযোজন (২০-০৮-২০১১)
বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
ঢাকা, ২০ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড হয়েছে। শুক্রবার পাঁচ হাজার ৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে।
এরআগে চলতি মাসের ৩ তারিখে বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল পাঁচ হাজার ২৬ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের ফারাক থাকায় লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগকে।
শুক্রবার (১৯-০৮-২০১১) উৎপাদিত হয়েছে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদুৎ। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ার ফলে চাহিদা ও উৎপাদনের ফারাক কমে আসছে বলে জানান বিদ্যুৎ বোর্ডের কর্মকর্তারা। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত এক হাজার ৯২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। এ বছর নাগাদ আরো এক হাজার মেগাওয়াট যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছয় হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। এর মধ্যে তিন হাজার ৫৩৪ মেগাওয়াট সরকারি খাতের এবং তিন হাজার ১৯৩ মেগাওয়াট বেসরকারি খাতের উৎপাদন। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না।

---------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র: পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট, ব্লগ, সুশীলদের মতামত এবং সেমিনার
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
১৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×