বাল্যবিবাহের মতো এ জীবন বুঁদে ছিল
উপশমহীন দিন-রাত্রির অবিরাম খরচে।
নগর আর নগরের বাইরে গিয়ে ছিল
কোজাগরী বসন্ত খুঁজে-ফিরে প্রচুর কামরূপী আবেগ।
জীবনের প্রথম রহস্যের সেইসব লোভনীয় ষোলোআনা দায়ে
অজস্র আলোর রেখা হয়ে দেখা দিল
প্রিয়তমার বহুদূর ছড়ানো চিকন আশিস মুখ।
কবিতাতে রাত জাগার মতো তার দুটো চোখে, বাসর পেতে
সেই প্রথম আত্মায় পরম আত্মীয় হল পয়মন্ত আত্মহারা।
পুরানো অভ্যাসে চরাচর আবার শুনে নিল... সবটা
কান পেতে।
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত
গেপ্তার হল
একটি বৃষ্টিভেজা ছপছপে কৃষ্ণচূড়া গাছ।
সেদিনের সেই অসীম নীলকমল
আজ আর অসীম নয়।
একাগ্র মন তাই গোঁয়ারগোবিন্দ হয়ে
দীর্ঘযাত্রায় বেছে নেয় এভিনিউ ছেড়ে নির্জন সড়ককেই।
পা টিপে চলতে গিয়ে ভেসে ওঠে
প্রকাশিত অন্যপ্রকাশিত শূন্যস্থান সকল।
আর এই কাহিনীর যে মূল আসামী
বিশেষণ থেকে ক্রমশ হয়েছে বহুবচন।
মেহেদি পাতার রঙে জীবনকে নিয়েছে বিকল্প হিসাবে।
তাকে বলি–
তোমার শুভকাঙ্ক্ষী ছিলাম বলেই, হয়ত বোঝো নি
তোমার হাতের মেহেদি পাতার রঙ অতখানি গাঢ় হত কি ?
বস্তুত, যদি না তাতে মিশে থাকে
আমার আত্মার অর্ধেক রক্ত।
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
খানাকুল, ভারত/মানামা, বাহ্রাইন।
০২।০৯।২০১৪