somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মো: আজাদ আবুল কালাম
আমি একজন মেডিকেলেএসিসটেন্ট, আমার কোরআন ও হাদীস জানার খুব শখ.আমার উস্তাদশাইখুল ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রঃ) আল্লামা আবু জাফর( সাবেক সাইখুল হাদীস দেওবন্দ ভারত)শাইখুল হাদীস আল্লামা জাহীদুল ইসলাম ,দেওবন্দ(সাবেক প্রীন্সীপাল খাড়াকান্দী মাদ্রাসা)মুফতী ওমর ফারুক,

সরকার‌ি হসপ‌িটাল‌ের চ‌িকিৎসা

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১. হাসপাতালে যে অপরিচিত লোকটি আপনার
ঘনিষ্ট হিসাবে ডাক্তারকে পরিচয় দিবে, সে লোকটি
একজন দালাল। শুরুতেই মার্ক করে রাখুন। এড়িয়ে চলুন।
তাতে টাকা, সম্মান ও রোগী তিনটাই বাঁচবে।
২. জরুরী বিভাগ থেকে ভর্তির পর কাগজটি নিজ হাতে
বহন করে নিজের ওয়ার্ডে যাবার অভ্যাস করুন। অথবা
বহনকারী লোকটি আপনাকে বড়সড় খরচ করিয়ে শুইয়ে
দিতে পারে।

ডিউটি ডাক্তাররা (ইন্টার্ন বা ইউনিটের সিএ,
রেজিস্টার) উচ্চশিক্ষিত ও হাইলি কোয়ালিফাইড।
সেখানে গিয়ে নিজের ক্ষমতা, শিক্ষাগতযোগ্যাতা,
স্মার্টনেসের প্রমান দিতে যাবেন না।
আপনি যতটুকু ভদ্রলোক হবেন, তারা তার চাইতে বেশি
ভদ্রলোকের মত আপনাকে চিকিৎসা দিবে।
৫. হাসপাতালের সব সিরিয়াস রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়
ইন্টার্ন/সিএ/রেজিস্টারের হাত দিয়েই। তারা জানে
কিভাবে রোগীকে দ্রুত সময়ে প্রাণরক্ষাকারী চিকিৎসা
দেওয়া হয়। বড় স্যার কবে দেখবে, কেন এখনো ডাক্তার
আসছে না বলে বোকামীর পরিচয় দিবেন না।
৬. শুক্রবার হাসপাতালের প্রফেসর রাউন্ড বন্ধ থাকে। এসময়
ডাক্তার নাই, ডাক্তার দেখে নাই বলে কাউকে বিব্রত
করবেন না।
৭. হাসপাতাল থেকে সাপ্লাইকৃত ঔষুধ ডাক্তাররা দিবে
না। সংশ্লিষ্ট ঔষুধের জন্য নার্স বা ইনচার্জকে
ভদ্রভাষায় বলুন।
৮. রোগীর পাশ থেকে আপনার সমস্ত আত্মীয়স্বজনকে
সরিয়ে ফেলুন। তারা রোগীর কোন কল্যানে আসবে না।
তাদের জন্য চিকিৎসা দেরি হয়, এমনকি রোগী মারা
যেতে পারে। যত মানুষ কম তত রোগীর সুস্থ্য হবার
সম্ভাবনা বেশি।
৯. সরকারী হাসপাতালে বেড এর জন্য ঘ্যানঘ্যান
করবেন না। এখানে কেউ বেড দখল করে শুয়ে
থাকেনা। সবাই অসুস্থ্য রোগী। সেখানে মুচি ডোম শুয়ে
থাকলেও তাকে নামিয়ে আপনাকে উঠানো যাবেনা।
বেড না থাকলে একজন ডাক্তারের মা নিজে অসুস্থ্য হয়ে
আসলেও তাকে মেঝেতেই থাকতে হবে। সকল রোগী
সমান। বেড ও মেঝের সবাইকে সমান চিকিৎসা দেওয়া
হয়।
১০. কোন রাজনৈতিক পরিচয় দেবার চেষ্টা করবেন না।
মনে রাখবেন, ঝামেলা এড়ানোর জন্য সকল ডাক্তার ঐ
রোগীর কাছে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। দিনশেষে
ক্ষতিটা আপনারই।
১১. রোগী খাবে কি... বলে বারবার বিরক্ত করবেন না।
যদি স্যালাইন চলে তাহলে ভেবে নিন তাকে আলাদা
করে খাওয়াতে হবেনা। খাবার বন্ধ রাখা হয় রোগীর
ভালোর জন্যই। কিছুক্ষন না খেলে আপনার রোগী মারা
যাবেনা।
১২. ক্যানুলা খুলে গেছে, স্যালাইন অফ কেন, ঔষুধ কখন
খাবে, কিভাবে খাবে, ঔষুধটা চেক করে দিন তো.... এই
প্রশ্নগুলো নার্সকে ভদ্রভাষায় জিজ্ঞাসা করুন।
সাধারণত এগুলো তাদের দায়িত্ব। তারা শিক্ষিত ও
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তাদের সম্মান করুন।এইগুলা ডাক্তারের কাজ নয়।
১৩. যেকোন পুরুষ ডাক্তারকে ডক্টর বা'স্যার' ও
মহিলা ডাক্তারকে ডক্টর বা'ম্যাম/ম্যাডাম' বলে সম্বোধন করুন।
একইভাবে মহিলা ও পুরুষ নার্সকে সিস্টার-ব্রাদার বলুন।
আয়া বা কর্মচারীদের মামা ও খালা হিসাবে সম্বোধন
করবেন। এগুলো আপনাকে ছোট করবে না বরং সম্মানীয়
বানাবে। ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরাও আপনাকে
সাহায্য করবে।
১৪.
থুথু ফেলার জায়গা না থাকলে মাঝেমাঝে গিলে
খাবার অভ্যাস করুন। আপনি হাসপাতাল যতটুকু নোংরা
করবেন, বাকী সবাই আপনার ফেলানো থুথু দেখে সেখানে
থুথু ফেলে ভাসিয়েয়ে দিবে। অপরাধের শুরুটা কিন্তু আপনিই
করলেন।
১৭. হাসপাতালের ডাক্তারদের উপর বিশ্বাস
রাখুন। আপনি শুধুই লাভবান হবেন। কারণ সেবার
বিনিমিয়ে ডাক্তাররা এক পয়সাও পকেটে ঢুকাবে না।
১৮. রোগী মারা গেলে ডাক্তারকে গালিগালাজ না
করে স্বস্ব ধর্মের সৃষ্টিকর্তার কাছে অভিযোগ করুন।
ডাক্তার একজন মানুষ। তিনি চেষ্টা করেছেন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×