বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সকল প্রশংসা মহাবিশ্বের মালিকের( আলহামদুলিল্লাহ)
আমরা সকল ক্ষেত্রেই পড়ি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ । এটা পড়েই মানুষ মুসলমান হয়। কিন্তু এ কথার মানে আমরা ভালো জানিনা । আমরা এতোটা জানি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই । এ কথার মানেই এতো টুকু না । লা মানে নেই বা অশিকার করা আর ইলাহা মানে কোন মাবুদ .সৃষ্টি করতা.বিদান দাতা.অন্য দাতা.হায়াত ও মওতের মালিক, ইল্লাল্লাহ এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া। কোন মাবুদ নেই আল্লাহ ছাড়া। কোন ঘর রং করতে গেলে প্রথমে ঘষে মেজে পরিষ্কার করতে হয় পরে রং করতে হয়। ঠিক তেমনি আগে তাগুতকে (সকল ইলাহ্ )পরিত্যাগ করতে হবে পড়ে আল্লাহ কে গ্রহণ করতে হবে ।নবী করিম (সাঃ) নবুয়তের পরে প্রথম প্রকাশষে দাওয়াত দিলেন তিনি প্রথমে বললেন হে আমার চাচারা(বা বংশের লোকেরা) আমি যদি তোমাদের কে বলি পাহারের ও পারে আমাদের শত্রু আছে তুমরা কি বিশ্বাস করবে? তারা বল্লেন হা অবশ্যই বিশ্বাস করব তুমিতো আল-আমিন। তখন নবী করিম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)বললেন তুমরা যদি আমার একটি কথা মানো তা হলে গোটা আরবের লোকেরা তোমাদের ধর্ম গ্রহণ করবে,গোটা আরবের ক্ষমতা তোমাদের কাছে চলে আসবে এবং যারা না আসবে (ধর্ম গ্রহণ না করবে) তারা তোমাদে কর বা ট্যাক্স দিয়ে চলবে। আরবের লোকেরা খুবি খুশি হল আর তারা বললো একটি কথা মানলে এতো কিছু হয় তা হলে বললেন তখন নবীজী (সাঃ) বললেন বলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এ কথা বলার সাথে সাথে আবু লাহাব নবী করিম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে মারার জন্য দুই হাত তুললেন বললেন তোমার গোটা জীবন দংশ হওক। কলেমা বলার পরে একটি লোক ও নবী (সাঃ)পক্ষে নেই। নবী করিম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওনেক কষ্ট পেলে ,আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সূরা লা হাব নাজিল করলে এবং তার হাবিব কে সান্ত্বনা দিলেন। একটি কথা হলো যে একটি কথার করেনে যারা নবীজীকে আল আমিন বলতে এতো ভালোবাসতেন তারা তার বিপক্ষে চলে গেলেন। কথাটার মানে কি?কথাটার ওজন কত।
এক লোক কোর্টে খুনের সাক্ষী দেবার জন্য গেলেন
জাজঃ বললেন আপনি তো খুনের মামলার সাক্ষী ?
সাক্ষীঃ বলল জি
জাজঃ কার খুনের সাক্ষী?
সাক্ষীঃ তা তো জানিনা।
ঠিক আমরা এমন(সাক্ষীর মত) কি সাক্ষ্য দেই নিজেই জানি না।
আসুন সকলে মিলে কলেমার অর্থ বুজে শুনে পরি ও আমল কি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৫