somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘এসকর্ট’ এনালগ দেশে ডিজিটাল যৌন ব্যবসা.!! (২৫+)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পতিতালয় আর পতিতা নিয়ে পূর্বে দুটি গল্প লিখেছি। এবার একটু ভিন্ন দিকে নজর দেয়া যাক। শহরের আধুনিক ফ্লাট আর উচু দালানের রঙ্গীন কাঁচের দেয়ালের ভিতরে চলে আসা ডিজিটাল যৌন ব্যবসার কিছু অজানা কথা। যে কথা হয়ত কখনই জানা হয়ে ওঠেনা।হয়ত মানুষ সেভাবে ভাবেও না। ব্যস্ত এই শহরের পর্দার বাইরের খবর আমরা কেউ রাখতে চাইনা।রাখার প্রয়োজনও পড়ে না। মাঝে মাঝে ভদ্রতার খোলস ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসে কর্পোরেট ঢাকার অন্তরালের কিছু চিত্র। যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিকিকিনি হয় কাম আর দেহ ভিত্তিক ভালোবাসা নামক এক আপেক্ষিক বস্তু ।এ জগতের মানুষগুলোর খবরও আমরা রাখি না।রাখতেও চাইনা।

এবার আসল কথায় আসি। এসকর্ট এবং কলগার্ল দুটি একে অন্যের পরিপূরক শব্দ। পার্থক্য এসকর্টরা নিদিষ্ট স্থান কিংবা হোটেল নির্ভর নয়। এসকর্টরা চলমান, গতিশীল, আধুনিক ও অদৃশ্য। তাদেরকে আপনি চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখেন কিন্তু বুজতে পারেন না।অর্থাৎ কলগার্ল প্রসটিটিউটের আপডেট, মডার্ন ভার্সন এসকর্ট। গেল বছর এসকর্ট বিষয়টি নজরে আসে আমার বন্ধুর মাধ্যমে। এরপর থেকে বিষয়টি জানার কৌতূহল জাগে আমার।অনুসন্ধানী মন আকুলী বিকুলী করে একটু গভীরে জানার জন্য। হয়তো নিষিদ্ধ আর যৌনতার সুড়সুড়ি আছে বলেই!!!

এই শহরে ইদানিংকালে এসকর্ট ব্যবসা খুবই সংগঠিত ও শক্তিশালী। প্রশাসনের নাকের ডগায় হরদম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু চক্র।রাজধানীর অভিজাত এলাকাসহ প্রায় সব এলাকায় চলছে এসকর্ট বিজনেস।মডেল যোগানদাতা অনেক পরিচালক এবং নামিদামি স্টাররা এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে অবিরাম। আর এই ব্যবসায় এসকর্ট-এজেন্ট-ক্লায়েন্ট এই তিনে মিলে একটি ত্রিমাত্রিক সর্ম্পকের তৈরি হয়। যেন একে অন্যের পরিপুরক।ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন এমন একজন এসকর্ট এজেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছিল মাসখানেক আগে। নিজের ফ্ল্যাটেই চলছে তার ব্যবসা। আছে ১০-১২জন এসকর্ট। রাজধানীর নামিদামি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরাও কাজ করে তার সঙ্গে।

জীবনের স্বপ্ন পুরণের সহজ হাতিয়ার এসকর্ট বনে যাওয়া!দীর্ঘদিন এক্সপেরিমেন্ট আর স্টিং অপারেশন করে একটি বিষয় নজর কাড়ল, আর তা হলো পরিচালকদের লোভনীয় ফাঁদে পা দিয়ে, মডেল হওয়ার স্বপ্নে,কামনার বসে কিংবা বন্ধুর মাধ্যমে উঠতি তরুণীরা জড়িয়ে পড়ছে এই পেশায়। সবাই যে টাকার অভাবে এই পেশায় নাম লিখিয়েছে তাও নয়, তবে বেশির ভাগই অর্থের নেশায়।এই এসকর্ট বাজারের ব্যবসা রমরমা, বিনিয়োগ ছাড়াই লাখ লাখ টাকা কামানোর সহজ পন্থা। অনেকেই বাড়তি রোজগারের লোভে,ভাল ক্যারিয়ারের আশায়, কারোর কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে কিংবা স্বামীর অবহেলায় ক্লান্ত হয়ে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, নামকরা মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার আশায় এই শহরে গোপনে গোপনে নাম লেখাচ্ছেন এসকর্টের খাতায়। আছেন সিনেমা, টেলিভিশনের মডেল থেকে শুরু করে উঠতি গায়িকা,মডেল ছাড়াও মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত পরিবারের বিবাহিত-অবিবাহিত তরুণীরা।

এ যেন চেনামুখের আড়ালে অচেনামানুষ...!!!বাইরের থেকে দেখে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই এরা এসকর্ট।এসকর্টের পাশাপাশি এদের আলাদা পরিচিতিও রয়েছে। সেই পরিচিতি এদেরকে সমাজে আড়াল করে রাখে। কেউ স্টুডেন্ট, কেউ বিউটিশিয়ান, কেউ প্রাইভেট টিউটর, কেউ বুটিক চালান, কেউ অভিনেত্রী।

আর ক্লায়েন্ট..?? মূলত বেশিরভাগই ব্যবসায়ী,বড় চাকুরীওয়ালা। সাধারণের জন্য এ যেন আকাশ কুসুম কল্পনা।তৃপ্তির সঙ্গে এক রাত্তি পার করতে গুণতে হয় ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।যাদের কাঁচা টাকা ওড়াতে কোন বাধা নেই, কেবল তারাই এসকর্টদের নিয়ে মেতে ওঠেন কামনা-বাসনার জমকালো আয়োজনে। সাধারণ মানুষও যে নেই,তাও নয়। তবে সে সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র।

গেল সপ্তাহে কথা হয় এক এসকর্ট এজেন্টের সাথে। জানা গেল, ক্লায়েন্টদের কাছে কম বয়সী স্কুল এবং কলেজের মেয়েদের চাহিদা অনেক বেশি। ফলে এই সব এসকর্ট এজেন্টদের নজর থাকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আর স্বনামধন্য কলেজগুলোর দিকে।বিভিন্ন ফাঁদ ফেলে স্কুল-কলেজের মেয়েদের কৌশলে বানানো হয় এসকর্ট। অর্থের লোভ দেখিয়ে নতুন নতুন মেয়েদের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতেও যথেষ্ট দক্ষ এই চক্র।

কিছু এসকর্ট এজেন্সি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা চালায়।ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে এসকর্টদের যাবতীয় তথ্য, ছবি এবং রেট দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় অনলাইন, বিভিন্ন সাইট, ফেসবুকে পেইজে।তরুণীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বলে এসকর্ট হতে প্রলুব্ধ করা হয় এসব সাইটে ।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী এসকর্ট পেতে টাকার অঙ্কেও পরিবর্তন আসে।এলিটদের জন্য বুকিং দিলে কমপক্ষে অর্ধলক্ষের ওপরে। তবে সময় বাড়লে রেটের তারতম্য হয়। পছন্দের এসকর্টকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ারও সুযোগ আছে। আছে হিল ট্রাক্টস্, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এমনকি দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়ার সুযোগ। দরকার শুধু টাকা...আর টাকা....।বিদেশী ক্লায়েন্টদেরও মনোরঞ্জন করে থাকেন ঢাকার এসকর্টরা। পছন্দসই এসকর্ট অর্ডার দেয়ার পর রাজধানীতে আয়োজনে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ২ঘণ্টা। পছন্দ না হলে অর্ডার বাতিল ।প্রাইভেসির জন্য শুধু নগদ ক্যাশে বিল।চাহিদা মতো এসকর্ট পেতে ক্লায়েন্টকে পালন করতে হয় বেশ কিছু শর্ত। এরপর অত্যন্ত গোপনীয়তায় কয়েক ধাপ পেরিয়ে পৌছতে হয় আসল ঠিকানায়।যেখানে মাংসের পসরার ন্যায় সাজিয়ে রাখা হয় এসকর্টদের।

বর্তমান বিশ্বে যেকোনো পণ্যের চেয়ে সেক্স এবং নারী পণ্যের বাজার রমরমা। শিশু বাদ দিলে চার বিলিয়ন মানুষ এর ক্রেতা এবং বিক্রেতা।পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে ততদিন দুটি জিনিসের চাহিদা কখনোই কমবেন না। খাদ্য আর সেক্স।যেখানে জীবন সেখানে খাদ্য, যেখানে মানুষ সেখানেই সেক্স। দুটিই মানুষের মৌলিক চাহিদা।এই চাহিদার যেমন কোন শেষ নাই,তেমন যোগানেরও কমতি নাই।

সবশেষে এটাই বলার এসকর্ট হচ্ছে সমাজে মুখোশের আড়ালে চালিয়ে যাওয়া একটি স্বাধীন পেশা। যেখানে পেশাজীবীরা থাকেন আড়ালে,অন্তরালে। এই সমাজে এদের সংখ্যা একেবারেই কম নয়.........................!!!!!!

রিলেটেড স্টোরি.....

কতদিন যৌনপল্লীতে যাইনা..!!!!! ১৮+

সেদিনের সেই মেয়েটি এখন সুপারস্টার....!!!!:-*:-*
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
১৭টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×