আজ ভাবতেই ভাল লাগছে যে, বর্ডারে আটকে পরা লোকজন আজ বলছে আপনারা আসার পর থেকে এ্যাম্বাসির লোকজনের কাজ কর্মের ধরন পাল্টে গিয়েছে, কাজে চলে এসেছে গতি।
এটি এন বাংলায় কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকে, অনেক পত্র পত্রিকা ও আমাদের ফোন দেয়, আপডেট জানতে থাকে, সামু থেকে আমার ইমেইলে আইডি নিয়ে অনেক পত্রিকার সাংবাদিক আমাকে ইমেইল করে আপডেট জেনে নিচ্ছেন। বিবিস,ডয়েসভেল থেকে ফোনে খুজ খবর নিয়ে তার আপডেট প্রকাশ করছেন, যারফলে এ্যাম্বাসির লোকজন এ বিষয়ে প্রচুর ফোন পাচ্ছেন। এতে হয়ত তাদের ভিতরে কাজের স্পৃহা বেড়ে যায়। ফলে খুশি মনে তারা কাজের গতি বারিয়ে দেয়, অবশেষে আমরা রেজাল্ট পেতে যাচ্ছি, সাল্লুম বর্ডারে আটকে থাকা বাংলাদেশীরা দ্রুত দেশে ফেরার আশা করতে পারছেন।
গত মঙ্গলবার শেষ ফ্লাইট যাবার পর আমাদের মনে এক অজানা ভয়ের সন্চার হতে থাকে। কারন সামনের দিন গুলোতে কোন ফ্লাইটের ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা ছিল না।
কিন্তু আজ মোটামোটিনিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে যে,আগামি শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিন দু'টি করে চার্টার ফ্লাইট ছারা হবে। প্রতিটি ফ্লাইটে যত্রি থাকবে ৩১৮ জন। তার মানে আগামী বুধবারের মধ্যে ৩১৮০ জন বাংলাদেশিদের পাঠানো সম্ভব হবে।আল্লাহ যেন কবুল করেন।
শনিবার থেকেই বাংলাদেশ বিমানও ফ্লাইট দিতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছ, তবে কনফার্ম করা যায় নি। যদি কনফার্ম করা যায় তা হলে আরো বেশি কিছু যাত্রি দ্রুত ঠান্ডা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
সাইবার ক্যাফেতে পোষ্ট লিখতে লিখতে দূতাবাসের এক অফিসার থেকে খবর পেলাম ইটালি থেকে তাকে মাত্র ইমেল করে জানানো হয়েছে যে, ইটালি সরকার তিউনিসিয়া থেকে ১০,০০০ বাংলাদেশীদের দেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবে।
ভাবতেই ভাল লাগে যখন কোন পরিশ্রম করে তার রেজাল্ট পাওয়া যায়।
আজ আলআযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ও কায়রোবিশ্ব বিদ্যালয়ের ১জন ছাত্রের একটি টিম সেচ্ছা সেবক হিসেবে ক্যাম্পে জয়েন করেছে। যা আরো আগে করতে পারলে মানুষদের ভুগান্তি অনেকটাই লাঘব হত, হয়ত।
আজ ও গত কাল একটি পানির কার এসে সরনার্থিদের গোসলের ব্যাবস্থা করে।
খাবার মোটামোটি দেয়া হচ্ছে, যা খেয়ে তৃপ্ত হওয়া না গেলেও পেট ঠান্ডা করা যাচ্ছে।
আরো বেশকিছু টিভি চ্যানেল ইতি মধ্যে মিশরের উদ্দশ্যে রওনা হয়েছে। আরো আগে আসলে হয়ত আরো অনেক ভাল হতো।
আমার দেশের ভাইয়েরা দেশে ফিরে যেতে পারবে,ভাবতেই ভাললাগছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫৪