১) যেই সমস্ত মসজিদ সরকারী অনুদান গ্রহণ করে সেই সমস্ত মসজিদে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে ইমামদের অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত। কারণ সরকারী অনুদান মানেই হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্ঠান সকলের ট্যাক্সের টাকা। কাজেই যাদের ট্যাক্সের টাকায় মসজিদ চলবে বক্তব্যের সময় সেইসব হিন্দু খ্রিষ্ঠানদের ব্যাপারে হিংসা বিদ্বেষ ছড়ানো যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। (যদিও হিংসা বিদ্বেষ কারো টাকা গ্রহণ না করলেও ছড়ানো উচিত না)। এছাড়া মিডিল ইস্টের অনেক ইসলামী দেশেই মসজিদে বক্তব্য দেয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে। সেহেতু এই ব্যাপারে হাইকোর্ট সুন্দর একটি নির্দেশনা দিতেই পারে। কাজেই, হাইকোর্টের নির্দেশনা দেয়া বড় কোন ইস্যু না। ইস্যু কিংবা আলোচনা হতে পারে হাইকোর্ট কি দিকনির্দেশনা দিলো সেটা নিয়ে। সেখানে যদি ইসলামী কোন আদর্শ প্রচারে নিষেধ করা হয় সেক্ষেত্রে প্রতিবাদও করা যেতে পারে।
২) ইমামদের বক্তব্য সংযত করার নির্দেশ দেয়ার পুর্বে হাইকোর্টের উচিত বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, চেয়ারম্যান, মেম্বার প্রত্যেকের বক্তব্য কঠোর ভাবে মনিটরিং করা। এবং এর জন্য বড় শাস্তির বিধান করা। এবং এদেরও পুর্বে নিয়ন্ত্রন করা উচিত পুলিশ প্রশাসনের বক্ত্যবের। আমার দৃষ্টিতে সকাল প্রকার পাবলিক অনুষ্ঠানে পুলিশদের বক্তব্য একেবারেই নিষেধ করা উচিত। তারা বক্তব্য দিতেই পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯