১) প্রথমত ইসলাম/(কুরান হাদিস) অনুযায়ী কুরবাণী দেয়া ফরজ নয় ওয়াজিবও নয়, এটা সুন্নত বা মোস্তাহাব। একমাত্র ইমাম আবু হানিফার মত অনুযায়ী এটা ওয়াজিব। দীর্ঘকাল মিশরে থেকে কোনদিন মিশরীদের বাঙালির মত এত আয়োজন করে কুরবাণী করতে দেখি নাই। সেখানে ধনীরাও অনেকে মিলে এক্টা গরু কুরবাণী দেয়। অধিকাংশই নিজেদের ওয়াশরুমের ভিতর দুম্বা কুরবাণী দেয়, মানুষ জানেও না।
২) পোস্টার ব্যানার আর দেয়াল লেখনির আমাদের এই দেশে শো-অফ অতিমাত্রায় বেশি। ভন্ডামি, মিথ্যা, ভেজাল মেশানো, চাটুকারিতার মত আমাদের কালচারে ও ঢুকে গেছে কট্টরতা। রঙ্গের এই বঙ্গদেশে কুরবাণী এখন ধর্মীয় ইবাদতের চেয়ে কালচারাল উৎসবের মত হয়ে গেছে। তাই এই কালচার থেকে বের হওয়া অসম্ভবের মতো দেখা যায়। কোন ব্যবসায়ী ২ লাখ টাকা দিয়ে গরু কুরবাণী দিয়ে পরের দিন খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে কিংবা ওজনে কম দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। তাহলে প্রতিবছর কুরবাণী দেয়ার প্রভাব কোথায়?? ১৪/১৫ হাজার টাকার বেতন পাওয়া পৌরসভার মেম্বারও ৬০ হাজার টাকার গরু কুরবাণী দেয়, এখানেই অনেক কিছু বুঝা যায়।
৩) এই কুরবাণীর ঈদকে উদ্দেশ্য করে দেশে শত শত গরিব মানুষ সারা বছর কষ্ট করে দুইটা, তিনটা গরু পালেন যা বিক্রি করে সংসার চালাবেন। এই বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক ইস্যু। অনেকে আবার গরুকে মোটাতাজা করার ঔষধ খাওয়ায়ে অল্পদিনে গরু মোটা করে ফেলেন, এই দুর্নীতির প্র্যাকটিসও কিন্তু কুরবাণীকে ঘিরেই হয়ে থাকে