:কে বলছেন?
-মানুষ
:মানুষ ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ ফোন দিতে পেরেছে এমন রেকর্ড তো পাইনি কোথাও। পরিচয় দিন?
-পরিচয় দিয়ে কি হবে? এই ভুবনে আমরা সবাই তো অচেনা
:ফিলোসফি মার্কা কথাবার্তা না বলে ফোন দেবার কারন বলুন।
-আচ্ছা আপনি গান শুনেন?
:এটা কেমন কথা?
-আহা বলুন না। শুনেন নাকি?
:হ্যা শুনি তো
-কেনো শুনেন? কারন কি?
:কোন কারন নেই। ভালো লাগে তাই শুনি।
-ঠিক তেমনি আপনাকে ফোন দেবার কোন কারন নেই। কথা বলতে ভালো লাগছে তাই চালিয়ে যাচ্ছি।
:আচ্ছা আপনি কে প্লিজ বলুন না।
-থাক না কি দরকার।
:দেখুন আপনি যদি আপনার পরিচয় না দিন তাহলে কিন্তু আমি ফোন রেখে দিবো ।
-পারবেন না ফোন রাখতে
:কেনো?
-সব কেনোর উত্তর থাকে না।
:আচ্ছা ফোন দেবার কারন কি অন্তত সেটা বলুন।
-উইশ করতে
:কিসের উইশ?
-এখন ১১ টা ৫৯ । ঠিক দু মিনিট পর আমি আপনাকে উইশ করবো তাই একটু আগে ভাগেই ফোন দিয়েছি।
:আপনি কি করে জানলেন?
-সেটা জানা জরুরী নয়।
:আপনি কে
-মানুষ।
:উফসসস
-শুভ জন্মদিন "মাহি"। অনেক সুখে থাকো। আমি এখন তোমার শহরেই আছি। তোমার বারান্দা দেখতে পাচ্ছি। তোমার বারান্দার কোণে থাকা একগাদা ফুলের গাছ দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু তুমি আমায় দেখতে পাবে না।
:আমি তোমাকে একটু দেখতে চাই। শুধু একবার।
আস্তে করে ফোনটা কেটে গেলো।
টেলিফোন রিসিভারটা কানের সাথে লাগিয়েই রেখে মাহি। যদি আবার ফোন দেয়। এমন সময় মাহির পাচ বছরের ছোট্ট বাচ্চা এবং তার স্বামী কেক হাতে নিয়ে হই হুল্লর করতে করতে ড্রয়িং রুমে ঢুকলো।
কেক কেটে সব ঝামেলা শেষ করে একা বারান্দায় চলে আসলো মাহি।
ফুলগাছের দিকে তাকিয়ে অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলো "মাহি। আমি শুধু তোমারই মাহি। এই নামে ডাকার আর কারও অধিকার নেই। আমি তোমারই মাহি"।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৩