somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকদের নিয়ে একটি কৌতুক

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে অনেক অনেক আগের কথা। এক দেশে এক পাজি নাস্তিক বাস করতো। তার কাজই ছিলো শুধু মানুষকে অকারণে খোঁচানো। শুধু কি তাই? কারো সাথে তর্কে না পারলে, তার মুখ দিয়ে ছুটতো রাজ্যের যত বাজে গালি-গালাজ।
তার এধরণের স্বভাবের কারণে যখন পাড়া-পড়সি'র প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়, তখন সৃষ্টকর্তা ঠিক করলেন তাকে উচিৎ একটা শিক্ষা দিবেন।

একদিন সকালে নাস্তিক লোকটি বের হয়েছে বন-জঙ্গলে একটু ঘুরবে বলে। হাঁটতে হাঁটতে গাছের পাতা, পাখি, ফল-মূল এসব দেখে 'আহা-উহু' করছে আর ভাবছে বিবর্তনের ধারায় কি রকমারী জিনিসেরই না এই পৃথিবীতে আবির্ভাব হয়েছে। সব ভালোই চলছিলো। কিন্তু, বিপদ ঘটলো একটি পাহারী ঝরনা পার হতে গিয়ে। সেখানে তার জন্যে অপেক্ষা করছিলো সাত ফুট লম্বা বিরাট বড় এক গ্রিজলী ভাল্লুক।

ভাল্লুক দেখে তো নাস্তিকটা'র অবস্থা পুরা কেরোসিন। 'ওরে বাবাগো খেয়ে ফেল্লো গো' ডাক ছেড়েই উল্টো দিকে দৌড় লাগালো নাস্তিক লোকটা। ওদিকে বিকট এক গর্জন করে ভাল্লুকটাও তার পিছনে পিছনে আসছে খাবে বলে। পাজি লোকটা দৌড়ে আর আর পিছন ফিরে দেখে, ভাল্লুকটা কতটুকু এগুলো। সে যত জোরেই দৌড়াক, সে কি আর ভাল্লুকের সাথে পারে! গ্রিজলী ভাল্লুকটি এক সময় ঠিকই তার ঘাড়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। কষে তার গালে একটা থাবড় বসিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো তাকে ভাল্লুকটি।

আর কোন আশা নেই বুঝতে পেরে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেলে বেচারা। মুখ দিয়ে বেরিয়া যায়, ''হে খোদা! রক্ষা করো!''

তার এ কথা মুখ দিয়ে বেরোতে না বেরোতেই পুরো বন কেঁপে উঠে, ঝরনার পানি থেমে যায়, ভাল্লুকটিও হা করে তার দিকে চেয়ে থাকে। কি বলে লোকটি!

এসময় বনের গাছগুলো'র পাশে উজ্জল একটি আলো জ্বলে উঠে তার চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। আলো থেকে একটি বার্তা ভেসে আসে, ''হে মূর্খ! এখন কি হলো তোমার! সারা জীবন তুমি স্রষ্টা আর তাঁর অনুসারীদের গালি-গালাজ করে গেলে, আর এখন বিপদের পড়ে সেই স্রষ্টাকেই ডাকছো!''

বিপদ থেকে কিছু সময়ের জন্যে নিস্তার পেয়েই নাস্তুিক লোকটি'র মাথায় আবারো কুবুদ্ধি চেপে বসে। তার মনে পড়ে যায়, স্রষ্টার অনুসারীরা অহেতুক কারো কোন ক্ষতি করে না।

সে বললো, ''আরে বাবা! মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে আর কি! তুমিও এক কাজ করোনা? আমি নাহয় আস্তিক না-ই হলাম, এই ভাল্লুকটিকে আস্তিক বানিয়ে দাও তো দেখি! তোমার কত ক্ষমতা তখন বুঝতে পারবো।''

উত্তরে বাতাসে শুধু দু'টি কথা ভেসে আসে, ''তবে, তাই হোক।''

আলো নিভে যায়। চারপাশের অবস্থাও স্বাভাবিক হয়ে আসে। পাশে কি একটা শব্দ হতেই, নাস্তিকটি চেয়ে দেখে ভাল্লুকটি স্রষ্টার প্রতি কুর্নিশ করে বলছে,
''হে খোদা! সকাল থেকে বড়ই ভুখা ছিলাম। তুমি এ খাদ্য আমায় জোগান দিয়ে বড়ই রহম করলে।''

এই বলেই সে নাস্তিকটির উপর ঝাপিয়ে পড়লো।


সংগ্রহ: ইন্টারনেট



















৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×