somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লন্ডনের তিন অলিম্পিকস

২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লন্ডনে এবারের আসর সহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিনটি অলিম্পিক মহাযজ্ঞ। লন্ডনে অনুষ্ঠিত তিন অলিম্পিক আসরের তুলনামূলক চিত্র নিয়ে একটা বিবরণী তুলে ধরলাম।


যাবতীয় তথ্যের সর্বশেষ আপডেট বুধবার, 25 জুলাই, 2012

প্রথম আসরের সময়ঃ
১৯০৮ (২৭শে এপ্রিল - ৩১শে অক্টোবর)

মোট অ্যাথলেট সংখ্যাঃ
২২টি দেশ থেকে ২,০৩৫ জন প্রতিযোগী, ৩৬ জন নারী

মোট ইভেন্টঃ
২২টি ইভেন্টের মধ্যে ছিল দড়ি টানাটানি, ফিগার স্কেটিং, পোলো এবং বোট রেস। বাইসাইকেল পোলোর প্রদর্শনীও হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানঃ
অলিম্পিকের নির্দিষ্ট পোষাক ছিল না। প্রতিযোগীরা কলেজ ব্লেজার এবং খেলার পোষাক পরেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উদ্বোধনী মিছিলে ছিল রাজকীয় কুচকাওয়াজ, বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের প্যারেড এবং ডেনিশ মহিলা জিমন্যাস্টদের প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিকেল বেলা।

স্টেডিয়ামঃ


পশ্চিম লন্ডনের শেফার্ডস বুশ এলাকায় বিশ্বের প্রথম অলিম্পিকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়। পরে এই এলাকার নাম হয় হোয়াইট সিটি। ৭০,০০০ আসনের এই স্টেডিয়ামের জন্য ব্যয় হয় ৬০,০০০ পাউন্ড। আজকের হিসেবে যা প্রায় ৫৭ লক্ষ পাউন্ড। বিশ্বের প্রথম ১০০ মি. অলিম্পিক সুইমিংপুলও নির্মাণ করা হয়।

অলিম্পিকের ব্যয়ঃ
সরকারের কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় আয়োকজরা মূলত নির্ভর করেন চাঁদা এবং টিকেট বিক্রির ওপর। অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিক হিসেব অনুযায়ী মোট ব্যয় হয় ৬০,০০০ থেকে ৮০,০০০ পাউন্ড। (আজকের হিসেবে ৫৭ লক্ষ - ৭৬ লক্ষ পাউন্ড)

টিকেটের মূল্যঃ
উচ্চ মূল্য এবং খালি আসনের জন্য আয়োজকরা সমালোচনার মুখে পড়েন। ওপরের সারির আসনের দাম ধরা হয় দুই শিলিং (আজকের হিসেবে ১১.৬০ পাউন্ড)। দাঁড়ানো দর্শকদের জন্য মূল্য ঠিক হয় ছয় ডাইম (৫.৭০ পাউন্ড)। আর ম্যারাথনের টিকেটের মূল্য ছিল ১০ শিলিং থেকে পাঁচ পাউন্ডের মধ্যে (আজকের হিসেবে ৪৭ পাউন্ড থেকে ৪৭৩ পাউন্ড)।

অলিম্পিকের মশালঃ
অলিম্পিকে কোন মশাল জ্বালানো হয়নি। এই প্রথা শুরু হয় ১৯২৮ সালে। ১৯১৪ সালের আগে অলিম্পিক রিং প্রতীক ছিল না। শপথ গ্রহণের প্রথা চালু হয় ১৯২০ সালে।

স্মরণীয় মুহূর্তঃ


ম্যারাথনে ইতালির ডোরান্ডো পিয়েত্রি যখন ফিনিশিং লাইনের সামনে পড়ে যান, তখন কর্মকর্তারা তাকে তুলে ধরে ফিনিশিং লাইন পর্যন্ত পৌঁছে দেন। আমেরিকান প্রতিযোগীরা এর প্রতিবাদ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিবাদকে ন্যায্য বলে মেনে নেয়। প্রথমবারের মত ২৬ মাইল ৩৮৫ গজ দূরত্বে ম্যারাথন দৌড় হয়। এটি হয় উইন্ডজর কাস্‌লের কাছে।

অলিম্পকস রেকর্ডঃ
১০০মি. স্প্রিন্ট: ১০.৮সে. (রেজি ওয়াকার, দক্ষিণ আফ্রিকা)
ম্যারাথন: ২ঘ. ৫৫মি. ১৮.৪সে. (জনি হেইস, যুক্তরাষ্ট্র)
১৫০০মি. ফ্রি-স্টাইল সাঁতার: ২২মি. ১৮.৪সে. (হেনরি টেলর, ব্রিটেন)

ব্রিটিশদের প্রাপ্ত পদকঃ
মোট ১৪৬টি। ৫৬টি স্বর্ণ -- দলের জন্য একটা রেকর্ড।

স্পন্সরঃ
অক্সো ছিল অফিশিয়াল ক্যাটারার। তারা প্রতিযোগীদের ফ্রি ফ্লাস্ক, রাইস পুডিং, শুকনো আঙুর, কলা, সোডাওয়াটার এবং দুধ সরবরাহ করে।

অলিম্পিকের হিরোঃ


২০০৮ সালে সাইক্লিস্ট ক্রিস হোয়ের আগে সুইমার হেনরি টেলর ছিলেন শেষ ব্রিটিশ খেলোয়াড় যিনি একই অলিম্পিকে তিনটি স্বর্ণপদক জয় করেন। ৪০০মি ফ্রিস্টাইল, ১৫০০মি এবং ৪x২০০মি. রিলে-তে সোনা জেতার পরও প্রায় নীরবেই অবসর নেন এবং ১৯৫২ সালে মারা যান।

সংবাদ মাধ্যমঃ
রেডিও, টিভি কিংবা ইন্টারেনেটের অবর্তমানে আয়োজকরা মূলত নির্ভর করেন পোস্টার, সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনের মাধ্যমে প্রচারের ওপর।

অলিম্পিয়ানদের বাসস্থানঃ
প্রতিযোগীদের জন্য কোন 'অলিম্পিক ভিলেজ' ছিল না। এদেরে থাকার ব্যবস্তা হয়েছিল হোটেল এবং বোর্ডিং হাউসে। দর্শকরা খেলার মাঠ, সুইমিং পুল এবং জিমনেশিয়াম-এ ঢোকার অনুমতি ছিল।

বিতর্ক/সমালোচনাঃ
ফিনল্যান্ডের প্রতিযোগীদের রাশিয়ার পতাকা নিয়ে মার্চ করতে বলা হলে কোন পতাকা ছাড়াই তারা অংশ নেন। কোন কোন আইরিশ অ্যাথলেটকে ব্রিটেনের পক্ষে অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ৪০০মি. ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের একজন দৌড় প্রতিযোগীকে বাদ দেয়া হয় কারণ তিনি অন্যদের পথ আটকে ছিলেন। এর প্রতিবাদে অন্য দু'জন মার্কিন প্রতিযোগীও মাঠ ত্যাগ করেন। শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের ইউন্ডহ্যাম হ্যাল্‌সওয়েল একাই দৌড় শেষ করেন।

দ্বিতীয় আসরের সময়ঃ
১৯৪৮ (২৯শে জুলাই - ১৪ই অগাস্ট)

মোট অ্যাথলেট সংখ্যাঃ
৫৯টি দেশ থেকে ৪,০৯৯ জন প্রতিযোগী, ৩৮৫ জন নারী

মোট ইভেন্টঃ
১৭টি ক্যাটেগরির তালিকায় প্রথমবারের মত মহিলাদের ক্যানোইং এবং ব্যান্টামওয়েইট ভারোত্তোলন যোগ হয়। বাস্কেটবল ইন্‌ডোর ইভেন্টের অন্তর্ভূক্ত হয়। এছাড়া শেষবারের মত অলিম্পিকে চিত্রকলা, ভাস্কর্য এবং স্থাপত্যবিদ্যার ওপর পদক দেয়া হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানঃ
ব্রিটেনের রাজকীয় পরিবারের আগমনের পর আইওসির সদস্যদের সাথে তাদের পরিচয় করানো হয়। এরপর প্রতিযোগীদের প্যারেড, উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, অলিম্পিক মশালের আগমন, সমবেত সংগীত এবং শপথ গ্রহণ হয়। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিকেল বেলা।

স্টেডিয়ামঃ


বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক কৃচ্ছতার মাঝে বিভিন্ন কাঠামো পরিবর্তন করে এই অলিম্পিক হয়। নতুন কোন কাঠামো নির্মাণ হয়নি। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিক্‌সের অস্থায়ী ট্র্যাক বসানো হয়। এম্পায়ার পুলে আইস রিংক গড়ে তোলা হয়। এখন যেখানে ওয়েম্বলি অ্যারেনা সেখানে তৈরি হয় সুইমিং পুল এবং বক্সিং রিং।

অলিম্পিকের ব্যয়ঃ
বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী র্যা শনিং, আকাল এবং আর্থিক কৃচ্ছতার পরও বাজেট ছিল ছয় লক্ষ পাউন্ড, আজকের হিসেবে যা এক কোটি ৮৫ লক্ষ পাউন্ডের সমান। মুনাফা হয়েছিল ১০,০০০ পাউন্ড।

টিকেটের মূল্যঃ
অলিম্পিকের সরকারি অনুষ্ঠানগুলোর মূল্য ছিল ২.০৬ শিলিং (আজকের হিসেবে ৩.৮৫ পাউন্ড)। টিকেটের দাম ধরা হয় বিভিন্ন মূল্যে। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান এবং অ্যাথলেটিক্‌সের টিকেটের মূল্য ছিল ৩.৬০ পাউন্ড (১২.৯২ পাউন্ড)। সিজন টিকেটের ব্যবস্থা চালু হয়।

অলিম্পিকের মশালঃ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগের রাতে মশাল লন্ডনে এসে পৌঁছায়। ওয়েম্বলিতে নেয়া হয় অনুষ্ঠানের ঠিক আগে।

স্মরণীয় মুহূর্তঃ


যুক্তরাষ্ট্রের হ্যরিসন 'বোন্‌স' ডিলার্ড হার্ডল রেসের কোয়ালিফাইং-এ ব্যর্থ হয়ে ১০০মি. স্প্রিন্টে নাম লেখান এবং একটা ভূমিকম্প ঘটিয়ে ফেলেন। তিনি এবং তার সঙ্গী বার্নি ইউয়েল দুজনেই দৌড় শেষ করেন ১০.৩ মিনিটে। কর্তৃপক্ষ স্প্রিন্টের ফটো যাচাই করে ডিলার্ডকেই স্বর্নপদক দেন। অলিম্পিকে সেবারই প্রথমবারে মত ফটো-ফিনিশ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। ডিলার্ড ৪০০মি. রিলে-তেও সোনা জেতেন।

অলিম্পকস রেকর্ডঃ
১০০মি. স্প্রিন্ট: ১০.৩সে.(হ্যারিসন ডিলার্ড, যুক্তরাষ্ট্র)
ম্যারাথন: ২ঘ. ৩৪মি. ৫১সে. (ডেলফো ক্যাব্রেরা, আর্জেন্টিনা)
১৫০০মি. ফ্রি-স্টাইল সাঁতার: ১৯মি. ১৮.৫সে. (জেমস ম্যাকক্লিন, যুক্তরাষ্ট্র)

ব্রিটিশদের প্রাপ্ত পদকঃ
মোট ২৩টি। স্বর্ণ তিনটি। ব্রিটেনের অবস্থান তালিকার ১২তম স্থানে।

স্পন্সরঃ
বিশ্বযুদ্ধের পর তখনও খাদ্য এবং জ্বালানি র্যা শন করা হচ্ছিল। স্পন্সরের সংখ্যা ছিল নগণ্য। ভেন্যুর বাইরে খেলোয়াড় ও দর্শকদের ফ্রি কোকাকোলা দেয়া হয়েছিল।

অলিম্পিকের হিরোঃ


নেদারল্যান্ডের ৩০-বছর বয়সী দুই সন্তানের মা ফ্যানি ব্ল্যাংকার্স-কোয়েন ১০০মি., ২০০মি., ৯০মি. হার্ডল্‌সে স্বর্ণপদক জয় করেন। ৪০০মি. রিলে-তে তিনি সোনা জেতেন। ১৯৯৯ সালে তাকে এই শতাব্দির সেরা মহিলা অ্যাথলেটের খেতাব দেয়া হয়। ৮৫ বছর বয়সে ২০০৪ সালে তিনি মারা যান।

সংবাদ মাধ্যমঃ
প্রতিযোগিতার ধারাবিবরণী রেডিওর মাধ্যমে ৫৮টি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ব্রিটেনে ৫,০০,০০ মানুষ টেলিভিশনে এটি উপভোগ করেন।

অলিম্পিয়ানদের বাসস্থানঃ
অতিথিদের বেশিরভাগের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর ব্যারাকে। মিডলসেক্সএবং বাকিংহামশায়ারের কিছু স্কুলেও থাকার ব্যবস্থা হয়। মহিলাদের রাখা হয় হোটেলে এবং লন্ডনের কিছু বাড়িতে। প্রতি ঘরে চারজন করে থাকতে হতো।

বিতর্ক/সমালোচনাঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১২ বছর স্থগিত থাকার পর এই অলিম্পিকস হয়। এতে জার্মানি এবং জাপানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সোভিয়েত রাশিয়া যোগ দেয়নি। চেকোস্লোভাকিয়ার জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সভানেত্রী মারি প্রভাজনিকোভা পক্ষ ত্যাগ করে দেশে ফেরতে অস্বীকৃতি জানান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চেকোস্লোভাকিয়া সোভিয়েত ব্লকে যোগদানের পর মানুষের স্বাধীনতা নেই।

সর্বশেষ চলমান আসরের সময়ঃ
২০১২ (২৭শে জুলাই - ১৪ই অগাষ্ট)

মোট অ্যাথলেট সংখ্যাঃ
২০০টি দেশ থেকে ১০,৪৯০ জন প্রতিযোগী, এদের প্রায় অর্ধেক নারী

মোট ইভেন্টঃ
২৬টি ইভেন্টে মহিলাদের বক্সিং যোগ হচ্ছে। লন্ডন ২০১২ ফেস্টিভাল নামে একটি সাংস্কৃতিক উৎসবও থাকছে। তবে এত কোন পদক দেয়া হবে না।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানঃ
চলচ্চিত্র পরিচালক ড্যানি বয়েলস্ 'আইলস্ অব ওয়ান্ডার' নামে যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন তাতে থাকবে ১০,০০০ ভলান্টিয়ার। এরা ব্রিটেনের গ্রামীণ পরিবেশ, পশুপাখি এবং দর্শনীয় স্থানগুলো ফুটিয়ে তুলবেন। অনুষ্ঠানটি হবে রাতের বেলা। (হয়ে গেছে ইতমধ্যেই) :)

স্টেডিয়ামঃ


লন্ডন ২০১২ অলিম্পিক স্টেডিয়াম নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি পাউন্ড। এখানেই হচ্ছে উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠান। স্টেডিয়ামের ধারণ-ক্ষমতা ৮০,০০০ হলেও অলিম্পিকের পরে তা কমানো হবে। ব্যয় সংকোচন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই স্টেডিয়ামের ছাদটি নির্মিত হয়েছে পিভিসি দিয়ে।

অলিম্পিকের ব্যয়ঃ
মন্ত্রীরা বলছেন, ৯৩০ কোটি পাউন্ড ব্যয় তাদের বাজেটের মধ্যেই রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের জন্য আরও ৪৭ কোটি ৬০ লক্ষ পাউন্ড রাখা আছে। প্রাথমিক বাজেটে এই ব্যয়ের লক্ষমাত্রা অনেক কম ছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের মার্চে তা সংশোধন করা হয়।

টিকেটের মূল্যঃ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সবচেয়ে ভাল আসনের দাম ধরা হয়েছে ২,০১২ পাউন্ড। পুরুষদের ১০০মি. ফাইনালের মূল্য ৭২৫ পাউন্ড। তবে ৯০% টিকেটের মূল্য ১০০ পাউন্ডের নিচে। দুই-তৃতীয়াংশ টিকেটের দাম ৫০ পাউন্ডের কম। ২৫% টিকেটের দাম ২০ পাউন্ডের কম। কোন কোন ইভেন্টে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য টিকেটের দাম ধরা হয়েছে তাদরে বয়স অনুযায়ী। যেমন, ১০ বছরের শিশুর জন্য টিকেটের দাম ১০ পাউন্ড।

অলিম্পিকের মশালঃ
১৯শে মে ২০১২ থেকে অলিম্পিকের মশাল নেয়া হচ্ছে ব্রিটেনের নানা প্রান্তে। ৭০ দিনব্যাপী পরিভ্রমণে ৮০০০ মানুষ এই মশাল বহন করেছেন।

স্মরণীয় মুহূর্তঃ


এতগুলো ইভেণ্টের কোন্‌টিতে ইতিহাস সৃষ্টি হতে পারে তা বলা মুশকিল। তবে নজর রাখুন সাত-বার উইম্বলডন বিজয়ী টেনিস তারকা রজার ফেদারারের ওপর। সর্বসম্প্রতি উইম্বলডন ফাইনালে তার কাছে পরাজিত হন অ্যান্ড মারে। সোনার আশা রয়েছে তাঁরও।

অলিম্পকস রেকর্ডঃ
পুরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন করে গড়া হতে পারে এমন কিছু রেকর্ড
১০০মি. স্প্রিন্ট: ৯.৬৯সে. (উসেইন বোল্ট, জ্যামাইকা, ২০০৮)
ম্যারাথন: ২ঘ. ০৬মি. ৩২সে. (স্যামি ওয়ানজিরু, কেনিয়া, ২০০৮)
১৫০০মি. ফ্রি-স্টাইল সাঁতার: ১৪মি. ৩৮.৯২সে. (গ্র্যান্ট হ্যাকেট, অস্ট্রেলিয়া, ২০০৮)

ব্রিটিশদের প্রাপ্ত পদকঃ
প্রতিযোগিতা সবে শুরু হল।

স্পন্সরঃ
কোকাকোলাসহ ১১টি গ্লোবাল স্পন্সর। দেশীয় স্পন্সরদের মধ্যে রয়েছে অ্যাডিডাস, বিপি, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং লয়েড টিএসবি।

অলিম্পিকের হিরোঃ


সবার নজর থাকবে জ্যামাইকার উসেইন বোল্টের দিকে। তিনি চেষ্টা করবেন ১০০মি. স্প্রিন্টে তার নিজের করা বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে এবং অলিম্পিকের সোনা জিততে। চার বার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান মাইকেল জনসন মনে করেন বোল্ট তার স্টাইলে পরিবর্তন আনলে ৯.৪ মিনিটে ১০০মি. অতিক্রম করতে পারবেন।

সংবাদ মাধ্যমঃ
নানা ধরনের সংবাদ মাধ্যমে ৪০০ কোটি মানুষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অলিম্পিয়ানদের বাসস্থানঃ
অলিম্পিক ভিলেজটি তৈরি হয়েছে ৭১ কোটি ২০ লক্ষ পাউন্ড ব্যয়ে। মোট ১১টি আলাদা ভাগে মোট ২,৮১৮টি ফ্ল্যাটে অ্যাথিলেটরা থাকবেন। এদের সামাজিকতার সুযোগ রাখা হয়েছে গ্লোব নামে এক জায়গায় যেখানে হালকা পানীয় এবং গানবাজনার ব্যবস্থা থাকছে।

বিতর্ক/সমালোচনাঃ
২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকসের সময় চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবাদে অলিম্পিক মশালের রিলে দৌড়ে বিঘ্ন ঘটে। লন্ডন ২০১২ অলিম্পিকসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কেলেংকারি হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোম্পানি জিফোরএস ৭৫০০ রক্ষী নিয়োগ করার পরও বলা হচ্ছে আরও ৩৫০০ প্রশিক্ষিত রক্ষীর ঘাটতি রয়েছে।

সূত্র: ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, অলিম্পিক ইতিহাসবিদ ফিল বার্কার, গভর্মেন্ট অলিম্পিক কমিউনিকেশনস
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩২
৩টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×