somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঐক্যের আন্দোলনে নির্বাচনী গণতন্ত্র ও কিছু প্রশ্ন! (বিবেক চক্রবর্ত্তী )

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্ভবত ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ অবধি ঐক্যের আন্দোলনে সব বাঙ্গালিরা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে একত্রে গর্জে উঠেছিলো । কিন্তু ১৯৭৫ এর গর্জে ওঠার চিত্র প্রত্যক্ষ দৃশ্যমান না হলেও পরোক্ষভাবে ছিল ভিন্ন রকম! জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ডে শোকে মুহ্যমান বিদগ্ধ বাঙালি ত্রাসের রাজত্বে সেদিন প্রকাশ্যে কাঁদতেও সাহস পায়নি। তখন অলিখিত ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুর নাম
উচ্চারণেও মানা। তবে, অন্তর জখমে বিস্ফোরীত নিরূপায় বাঙালি রুমাল চাপায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল নিরাপদ অন্দরমহলে। সেদিনের প্রতিহিংসার আঘাতে বহমান কান্নার ধারা আজও অব্যাহত । কবে নাগাদ এই কান্না থামবে কেউ জানে না ।ফলে, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যখন কারাগারে বন্দি থাকেন, তখন তাঁর ভক্তরা জাতির মা আখ্যা দিয়ে নিরুর মতই বাঁশি বাজিয়ে দায়িত্ব পালন করে সান্তনা খুঁজেন। আর তখন,
প্রতিহিংসার রাজনীতি অন্য আরেকটি প্রতিহিংসার জন্ম দেয় এই সত্য উপলব্ধি করতে অসুবিধা হয় না।
যা হউক, ২০০১ এ আসীন সরকারের প্রতিহিংসার রাজনৈতিক আচরণে অন্য মতাদর্শকে শায়েস্তা ও নিশ্চিহ্ন করণসহ লুটতরাজ করা ছাড়া জনস্বার্থ রক্ষায় জনহিতকর রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বিষয়টি গ্রাহ্য করেনি । বরং দীর্ঘ ২১বছর ক্ষমতায় থেকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, গণতন্ত্র ও উন্নয়নে পচন ধরিয়েছে । ফলে আজ যখন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী জেলে বন্দি দশায় থাকেন, দলীয় সুবিধা ভোগিরা নেত্রীকে মা মা রবে মায়াকান্নায় অশ্রুসিক্ত হলেও নিপীড়িত জনতা উল্টো তিরস্কার করেন! রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কালিমা লেপন ও ইতিহাস বিকৃতকারী কাপুরুষরা আজ অনুধাবন করতে পারছে, ক্ষণজন্মা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পর ত্রাসের রাজত্বে এদেশে সেদিন জনগণের প্রতিরোধ সম্ভব হয়নি বলে খুনি ও তাদের মদতকারীরা পদ্মা-মেঘনা ও যমুনায় ভেস্তে যায়নি! তাহলে এটা পরিষ্কার যে, ৭৫ পরবর্তী কালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের বুলি মুখে আওরালেও ক্ষমতার মসনদ দখল ও ক্ষমতার অপব্যবহারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমূলে ধ্বংস করে রাষ্টক্ষমতা কুক্ষিগত করা আর লুটতরাজই যেন
জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র হয়ে দাঁড়ায়! প্রশ্নটা সম্ভবত অমূলক নয় যে, ৪৭ বছরে তথাকথিত গণতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র আর ২০১৪ এর আওয়ামীলীগ সরকারের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র হতে আমরা কী পেলাম?? বিএনপির গণতান্ত্রিক শাসন আমলে গণতান্ত্রিক কাঠামো সমূহ স্বাধীন ভাবে সক্রিয় ছিল কিনা? নাকি হাওয়া ভবনের অগণতান্ত্রিক বেত্রাঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল? অসহায় নিপীড়িত জনগণ সেই বিতর্কিত গণতন্ত্রের নিরব স্বাক্ষী হয়ে আছে । তবে, বিএনপির আমলে উন্নয়ন কি হয়নি? অবশ্যই হয়েছে, না হবার কারণতো নেই । প্রশ্নটা তাড়া দিয়ে উত্তর খুঁজে, সেই উন্নয়ন বৃক্ষে পুষ্প বিকশিত হয়ে সুমধুর ফল আস্বাদনে বাঙালির নূন্যতম পরিতৃপ্তি হয়েছিল কি? মুর্দা কথা হলো, জনতামুখী দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং সেদিনের গণতন্ত্রের গর্ভ হতে অবৈধ সন্তান প্রসব করেছিল। সেদিনের গণতন্ত্রের বিধিলিপিতে রচিত হয়েছিল ইনডেমিনিটি, অর্থাৎ জাতির জনকের বিচার রহিত করা হয়েছিল । স্মৃতিচারণে লজ্জিত হই যে, সেই গণতন্ত্রে রাজাকার মন্ত্রীর গাড়িতে বাঙালির রক্তমাখা লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সেই গণতন্ত্রের আতুর ঘরে জন্ম নিয়েছিল জজমিঞা!বাংলাভাই আর জঙ্গিদের আত্মঘাতী আক্রমণে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল! ২০০১সালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আমারা প্রত্যক্ষ করেছিলাম গণতন্ত্রের খুনি চেহারা!দেশ ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির এক অভয়ারন্ন । বাকশালের সমালোচনা করা হলেও ২১শে আগস্ট নির্লজ্জ নারকীয় আক্রমণ করে সেদিনের গণতন্ত্র প্রেমিরা কোন্ তন্ত্রকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল?
১৯৭৫ পরবর্তী কালে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে আগমন ও
আওয়ামীলীগের দায়িত্ব গ্রহণ করে
দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতামুখী করার জন্য কোন অপকৌশল গ্রহণ করতে সেদিনের শেখ হাসিনাকে দেখা যায়নি। ৭১ এর চেতনা লালন করে নিয়ম তান্ত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী শেখ হাসিনা দলকে সংগঠিত করে জনগণের সমর্থন আদায় করে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় যেতে চেষ্টা করেছেন এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের সুযোগ লাভ করেন! বৈরী পরিবেশে জন বান্ধব দৃশ্যমান তেমন কোন উন্নয়ন সে সময়ে হয়েছে তা বলার সুযোগ কম । ২১বছর পর রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় শেখ হাসিনা পেয়েছিল অগোছালো এলোমেলো এক বাংলাদেশ । অন্যদিকে জামাত শিবির সমর্থিত শক্তিশালী এন্টি আওয়ামীলীগের দৌরাত্ম্য আর নিজ দলীয় নেতা কর্মীদের অগ্রহণযোগ্য কর্মকান্ডে সেইদিন শেখ হাসিনা জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপে তাঁর সদ্ ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে বহুলাংশেই সফল হতে পারেন নি । তবে, ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়ন ও ইতিহাস কলংকমুক্ত করার অনবদ্য
পরিকল্পনা ও নিরবদ্য ভিত্তি স্থাপনে ভূল করেননি অদম্য নির্ভীক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে এন্টি আওয়ামীলীগ ও তাদের দেশী -'বিদেশী দোসরদের প্রেতাত্মারা অর্থ- বিত্ত , কূটকৌশল আর কটূক্তি উপর ভর করে রাষ্টক্ষমতায় যেতে সক্ষম হন । এদেশের সরলমনা জনগণ চতুরদের চাতুর্য্যতা না বুঝে সব কিছু বিশ্বাস করে শেষে খেসারত দেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে এদেশ ভারত হয়ে যাবে, ধর্ম থাকবে না, মসজিদে উলুধ্বনি হবে এমন কুকথা ভোটের রাজনীতিতে তখন
বেশ কাজে লেগেছে। এখন দৃশ্যপট ভিন্ন। মানুষ সচেতন। মিথ্যা বুঝার শক্তি আছে আমজনতার । আর তাই দমন, হামলা, মামলাতেও সমর্থন নেই নিরপেক্ষ শান্তি প্রিয় জনতার। শেয়ার কেলেঙ্কারির যথাযথ বিচার না হওয়া , ব্যাংক খাতে ব্যপক অনিয়ম অর্জনকে ম্লান করছে । বিরোধী দমনে গণতন্ত্রকে প্রতিবন্ধী করে ফেলা নিশ্চয়ই সভ্যতা ও স্বাধীনতার উপর নির্লজ্জ পদাঘাত।আবার বিরোধিতার নামে অগ্নি সন্ত্রাসে বার্ন ইউনিটে লাশের গন্ধে মানবতা ভূলুণ্ঠিত হলে গনতন্ত্র রুষ্ট হয়ে আসুরিক শক্তি নিয়ে সয়ংক্রিয়ভাবেই আবির্ভূত হওয়া রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাসে দৃশ্যমান অন্য একটি বাস্তবতা । আর সৃষ্ট এমন বাস্তবতার দায়, আন্দোলনের নামে সহিংসতাকারীদের উপরই বর্তায় ।অন্যদিকে, নির্বাচনে দৃশ্যমান ভোট কারচুপিতে নির্বাচিত হওয়া সাময়িক সস্তিদায়ক হলেও ভবিষ্যতের জন্য অসস্তিকর। এক্ষেত্রে ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন এক কালের হ্যাঁ -না ভোটের মতই গণতন্ত্র অন্দকারাচ্ছন্ন হওয়ায় সমালোচিত
হয়েছে। তবে, রাষ্ট্রের ৪৭ বছরের হিসাব -নিকাশে আজ একটি প্রশ্ন আবারো করতে ইচ্ছে করে, এদেশের প্রচলিত গণতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র আর ২০১৪এর আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র হতে নিপীড়িত
দেশবাসী তথা রাষ্ট্র তুলনামূলক ভাবে সুখ বা দু:খ কতটুকু কি পেলো??? আমার বিচারে, লুটতরাজ আর প্রতিহিংসার বর্ণনা দিতে হলে রচনার মত লিখেও সম্ভবত শেষ করা কঠিন হবে। তবে, উন্নয়ন একেবারেই হাতে গোনা বিধায় কোন তন্ত্র হতে কি পেলাম তা দেখা যেতে পারে । মনে হয়, এদেশের সব গণতান্ত্রিক সরকারই কমবেশি গণতন্ত্রকে অশ্রদ্ধা করেছে এবং জনগণ ও রাষ্ট্রের মান উন্নয়নে মনোনিবেশ করেনি বা করতে পারেনি। ফলে, এদেশের বিদ্যমান তথাকথিত গণতান্ত্রিক সব সরকারের নিকট হতেই রাষ্ট্র ও জনগণের মান উন্নয়নে মনোনিবেশ করার চেয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা ও লুটতরাজে মগ্ন থাকার বিষয়টি জনতার বিবেকের আদালতে প্রতিভাত হয়েছে। এবার প্রশ্ন করা যাক, স্বৈরাচারের স্বৈরতন্ত্র থেকে জাতি কি পেলো ? যেখানে, এদেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে প্রত্যাশা অনুযায়ী দৃশ্যমান তেমন কিছু পাওয়া যায়নি, সেখানে স্বৈরাচারের স্বৈরতন্ত্র থেকে কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র। তবে,সত্য বলতে দ্বিধা নাই যে, এরশাদের স্বৈরতন্ত্র এদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে অবদান রেখেছিল, আজো এর প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায়। আজকের উপজেলা ব্যবস্থাও এরশাদেরই প্রবর্তিত । তাহলে, স্বৈরতন্ত্র তথাকথিত গণতন্ত্রের চেয়ে এদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই । এবার জানা যাক, ২০১৪ এর আওয়ামীলীগ সরকারের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র হতে জাতি কি পেলো? ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন এক কথায় অনাকাঙ্খিত । তবে, মুরব্বীগণ কথায় বলেন, সাপে বর হয়েছে । অর্থাৎ অভিশাপ আজ যেন জাতির জন্য বড় এক আশীর্বাদে পরিনত হয়েছে । এদেশের স্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন দিন স্বপ্নেও কি ভেবেছে যে , তার কোন শত্রুও তাঁকে হত্যা করতে পারে? উল্টো ভাবে জনগণও কি এমনটি ভাবতে পেরেছে যে, জাতির জনকের হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে আদৌ সম্ভব? কিন্তু প্রমানিত হলো যে, সত্যের জয় অনিবার্য । যুদ্ধাপরাধির বিচারে দেশ কলংকমুক্ত হবে , স্বপ্ন দেখেছে এমন বুকের পাটা ছিল কই কয়জনার? কিন্তু বাস্তবে বেঈমানদের অহংকার চুন্ন হল তো। সুখে আছে কি? জাতিয় চার নেতা ও বুদ্ধিজীবী হত্যার দম্ভকারীরা? তাহলে প্রশ্ন আসে, এসব কিভাবে সম্ভব হলো? পূর্বেই বলেছিলাম, সাপে বর হয়েছে! সবই সৃষ্টিকর্তার ইঙ্গিতেই সম্ভব হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। ধরুন, ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করে ৭০/৮০টি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলেও সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য বাধাগ্রস্ত হয়ে সংসদের ভেতর ও বাহিরে উত্তপ্ত হতে পারতো এবং এতে সরকারের মনোবলে ধাক্কা লেগে এতসব হত্যা কান্ডের বিচার নিশ্চিত করা ও রাষ্ট্র ও জনগণের মান উন্নয়নে সফলতা বাধাগ্রস্ত হতে পারতো । জানা যেতে পারে, ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির সমালোচিত নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র হতে জাতি আর কী পেলো? প্রথমেই এক কথায় উত্তর হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ । বিশ্ব ব্যাংককে অঙ্গুলি প্রদর্শন করে, ইতিহাসের বীর কন্যা শেখ হাসিনা এদেশের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার অবদানও অনেকটাই ২০১৪ এর আওয়ামীলীগ সরকারের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের নয় কি? দেশী - বিদেশী দোসরদের ষড়যন্ত্র ও চাপ উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধির বিচার বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশের কুলশিত ইতিহাস কলংকমুক্ত করা কোন সময়ের অবদান? একবাক্যে বলা অত্যুক্তি নয় যে, তার কৃতিত্বও ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির সমালোচিত নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রেরই । সমুদ্র থেকে মহাশূন্য পর্যন্ত যে বিজয়, তাও ২০১৪ এর আওয়ামীলীগ সরকারের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের। দৃশ্যমান উন্নয়নের বিষয়টি জনগণ জ্ঞাত আছে বলে ২০১৪ এর উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে লিখাটিকে দীর্ঘায়িত করতে চাই না বলে, মেগা প্রকল্পের ব্যাপারে কিছু বলার সুযোগ কম। যা হউক, এমন সমালোচিত ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারি, গণতন্ত্রের জন্য অভিশাপ হলেও রাষ্ট্র ও এদেশের বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের জন্য অনেকাংশেই আশীর্বাদ বলে মনে করি । অনেকে বলেন, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্য নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র নাকি খারাপ নয় ।
তাহলে প্রশ্নটি এমন দাঁড়ালো কি? নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রই উওম, আর পূর্ণ গণতন্ত্রই অধমাধম। না, একেবারেই তা নয়। বরং,পূর্ণ গণতন্ত্রের পা দিয়ে উন্নয়নের পথচলা অধিকতর নিরাপদ, যা একটি রাষ্ট্র ও জাতিকে ঐক্য, শান্তি, সাম্য আর প্রগতির মহামিলনের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।তবে, ২০১৪ এর এত গুণ কীর্তন কেন? কারণ, জননেত্রী বা দেশনেত্রী কিংবা পল্লীবন্ধু কেউ কি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে? তাহলে, মন্দের ভালো ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারি অন্তত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলংকমুক্ত ও উন্নয়ন উপহার দিয়েছে ।
জাতি ভেবেছিল, একাদশ নির্বাচনের আগে তারন্যদীপ্ত কোন শক্তি শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের বীরদের মত গর্জে ওঠবে, আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত রাজনৈতিক দল গুলোকে দিকনির্দেশণা দিয়ে সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের রাজনীতির স্বপক্ষে কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে ।। আশা ছিল, ঐ শক্তি অন্তত বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতিগত ঐক্যের চেষ্টা করবে। কিন্তু আমারা কী দেখতে পেলাম? বয়সের ভারে জর্জরিত ও অস্তগত কতগুলো সম্মানিত ব্যক্তি, যাদের ব্যক্তি জীবনে যথেষ্ট প্রাপ্তি রয়েছে, এমন কিছু মুরব্বী অবশিষ্ট সম্মান টুকতে আঘাত আসতে পারে এমনি ভাবে নিজেরাই আত্মঘাতী হাঁকডাক ছাড়ছে । কথায় বলে, সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। জনতা জানতে চায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও বিশ্বখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের কী ভীমরতি ধরেছে? আপনি একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি, এর অধিক সম্মান আর কি চাই ? এখন তো মাহি বি চৌধুরীর পালা, তাকে দোয়া করুন আর আপনি অবসরে দিন কাটান ।আপনি জ্ঞানী, আওয়ামীলীগ আর বিএনপি কে সত্যিকারের অভিভাবকের মতো উপদেশ দিন ।মনে রাখা দরকার, প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি , বয়স এ সব কিছুই আপনার অনুকূলে নেই । দেশের মানুষ শিক্ষিত হয়ে আদর্শিক ভাবেও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। ধর্মান্ধতা থেকে ধর্মিয় উদার নীতি পালনে ক্রমেই মানুষ অভ্যস্ত হচ্ছে । কথায় বলে, মান থাকতে ভঙ্গ ভালো। বেশি বিখ্যাত হওয়ার প্রবণতা , মানুষের খ্যাতিকে ম্লান করে। মনীষীদের বাণীতে আছে, বিখ্যাত হওয়ার চেয়ে বিশ্বস্ত হওয়া অনেক সম্মানের। এক্ষেত্রে বড় উপমা হল এদেশেরই একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, যিনি সকলের নিকট সম্মানের পাত্র হতে পারতেন। অনেকে বলেন, আরো বেশী বিখ্যাত হওয়ার প্রবণতা তাঁর অর্জিত সম্মানকে খাট করছে । সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন আইনজ্ঞ হিসেবে দেশ- বিদেশে সম্মানিত একজন পরিচিত মুখ। মনে করা অমূলক নয় যে, তাঁর মত জ্ঞানীজন হতে পারতো ক্রান্তি কালে মুক্তির পথ প্রদর্শক । প্রতিশোধ স্পৃহায় নিজ আদর্শিক পথ চ্যুত হয়ে
তিনি যেন বিতর্কিত পথেরই দিশেহারা পথিক। ফলে , নির্বাচনে সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য বিএনপির মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সংবিধান প্রণেতাদের সাথে ঐক্য হলেও তাদের উপর আস্থা নেই বলে যেতে হয় জাতিসংঘে। নিজ দেশের সম্মানের তোয়াক্কা না করে মধ্যস্থতা করার জন্য আহবান জানাতে হয় জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনকারকে।
জনগণের প্রত্যাশা, ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষেরা আর যেন
জনবিচ্ছিন, বহিষ্কৃত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের কুচক্রি শুকুনি মামার মত কিছু ষড়যন্ত্রকারীর শলা পরামর্শ ও তৈরি ফাঁদে তাঁরা যেন পা না দেন ।
দেখা যাচ্ছে, কিছু রাজনৈতিক
ত্যাজ্যপুত্র আর জনবিচ্ছিন গুটিকয়েক জ্ঞানপাপী আতেল মিলে ঐক্যের চেষ্টা চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য । সমালোচকরা বলেন, অতিজ্ঞানী ও বঞ্চিত মাহমুদুর রহমান মান্না সাহেব প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে প্রতিশোধ স্পৃহায় প্রায় উন্মত্ত । গণতন্ত্রের প্রসব বেদনায় ক্ষমতা নামক তীব্র আকাঙ্খিত সন্তানের মুখ দর্শনের জন্য তিনি আজ অপেক্ষমান অপারেশন মিশনে । আ স ম আব্দুর রব এর কাছে ঋণী বলেই বাঙালি তাঁকে সম্মান জানাতে চায়। কিন্তু তিনি যদি সুদে-আসলে সব ফেরত নেওয়ার জন্য দ্বৈত মতাদর্শকে আলিঙ্গন করেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিকট হতে তাঁকে দূরে রাখা কি অপরাধ?
অনেকের মতে, মোট ভোটারের ৩৫% বিএনপি সমর্থিত+৮% জামাত আর জোট ও যুক্ত ফ্রন্ট মিলে ১% =৪৪%। তাহলে, ৩৫% সাথে ৯% এর ঐক্য হলে , অবশিষ্ট ৫৬% (আওয়ামীলীগের :৪০% আর জাতীয়পার্টী :১০% ও অন্যান্য জোট :১%+কোন দল করেন না এমন সাধারণ ভোট ৫% =৫৬%) এর অনৈক্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কতটুকু সম্ভব হবে? ঐক্য যদি ফলপ্রসূ হতে হয়, তাহলে সেই ঐক্য হতে হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে । কারণ, এ দুটো দল একত্রে প্রায় ৭৫% জনগণের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করে! ঐক্যের প্রশ্নে মনে রাখা দরকার , আদর্শ যার যার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নীতিপালনে এক হওয়া চাই সবার । এখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একটি কথা খুবই মনে পড়ে । তিনি বলেছিলেন, রাজনীতিবিদদের জন্য আমি রাজনীতি কঠিন করে গেলাম! রাজনীতিতে সেনাবাহিনী, আমলা, ব্যবসায়ী আর বিশেষ করে ধর্মের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজাকার জামাত ও জঙ্গি গোষ্ঠীর মিশ্রনে সত্যিই রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি জটিল করে গেছেন।যার ফলে, আজ রাজাকার মন্ত্রী হয়, ২১শে আগস্ট যুদ্ধাস্ত্র গ্রেনেড হামলা হয়, অগ্নি সন্ত্রাস হয়, লুটতরাজ, গুম, খুন হয় , আর নিজ স্ত্রী তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সাজা প্রাপ্ত হয়ে জেলে দিন কাটান । মুর্দা কথা, রাজনীতিকে জটিল করার কারনেই আজ বৃহত্তর দুই দলের মধ্যে প্রতিহিংসার কঠিন প্রাচীর । যা ভেদ করে ঐক্য প্রায় অসম্ভব । লক্ষ্য করার বিষয়, শহীদ জিয়ার পর সম্ভবত বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ''২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত'' যে ভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করলেন, তাতে এদেশে রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি দ্বিতীয় বারের মত আবারো কঠিন হয়ে গেল। কারণ, ভবিষ্যত নির্বাচনে ভোটারের দারস্ত হয়ে পূর্বের মিথ্যা মন্ত্র পাঠে জনগণের মন জয় করা কঠিন হবে ।আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে এদেশ ভারত হয়ে যাবে, ধর্ম থাকবে না, মসজিদে উলুধ্বনি হবে এমন কুকথা ভোটের রাজনীতিতে মিথ্যা কথা হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন পুরাতন ভাওতাবাজি মন্ত্র ভোট আদায়ে আজ বড় অসহায়। বরং ভোটারের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলের ব্যর্থ নেতারা অসহায়ত্ব বোধ করবেন। অন্তত আগামি সংসদ নির্বাচনে, ভোটারের সৃজনশীল প্রশ্নের, রাজনীতিবীদগণ তাদের কর্মকান্ডের সৃষ্টিশীল উত্তর দিতে না পারলে সরকার গঠনের জন্য যে নাম্বার দরকার, তা না দিয়ে ভোটারগণ ফেইল মার্ক দিয়ে দিবে ।
নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে রাজনৈতিক দল গুলোর প্রকাশিত নয়নাভিরাম ইশতেহার ও রূপরেখা দর্শনে জনগণ তাৎক্ষণিক মুগ্ধ হলেও সহসাই অতীত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণে আতংকে আত্কে ওঠেন ! সব ইশতেহারেই মুখরোচক গণতন্ত্র, সুশাসন, উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি শব্দ চয়নের বিষয়টি শোভা পায়। কিন্তু, এর সত্যি বাস্তবায়ন কি আমরা দেখতে পাই? তবে কেন শুধু মাত্র ক্ষমতার পালা বদলের অপরাজনীতির অপকৌশলের কাছে জনগণ বলির পাঁঠা হবে ? ইশতেহারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মৃত শব্দগুলো যদি জীবন্ত না হয়, তাহলে ৪৭ বছর পরেও শুধুমাত্র সরকার বদলের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণ রাজপথের আন্দোলনে অংশ নিবে কোন স্বার্থে? আর যাই হোক, বর্তমান সরকার তো অন্তত যুদ্ধাপরাধি ও জাতির জনকের ঘাতকদের সমুচিত শায়েস্তা করে কলংকমুক্ত ইতিহাস ও উন্নয়ন উপহার দিয়েছে । তাহলে কি বর্তমান সরকারই ক্ষমতায় থাকবে চিরকাল? না সেটা নয়, বরং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়ে সুশাসন, উন্নয়ন আর পরমত সহিষ্ণু সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে প্রতিযোগীতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু নির্বাচিত হলে গণতন্ত্রের কথা খুব বেশি না বললেও, বিরোধী দলে থাকলে গণতন্ত্রের স্লোগান দিতে দিতে প্রায় মূর্ছাবস্হা । জনগণ এসব অভিনয় দেখতে দেখতে এখন সত্যি সত্যি খুবই বিরক্ত । তাই, এসব মায়াকান্নায় কর্ণপাত না করে বরং দু-টাকা রোজগারে নিজের সুখ -শান্তি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায় । ফলে, জনতার অংশ গ্রহনে সেই উত্তাল হরতাল, অবরোধ আজ আর রাজপথে নেই ।
যাই হোক, নির্বাচন সমাগত । জনগণ
আগামী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে কিছু প্রশ্নের সদুত্তর আশা করে। গণতন্ত্র, সুশাসন, উন্নয়ন আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যাশায়, নির্বাচনের আগে তাই আজ জনতার প্রশ্ন :(১) আপনি কি ভোট চাইতে এসে ধর্মকে ব্যবহার করছেন?
(২) এদেশে আবারো কি সব জেলায় একসাথে বোমা ফাটবে?
(৩) এদেশে বাংলা ভাইরা আবারো প্রশ্রয় পাবে কি?
(৪) সত্য ইতিহাস আবারো কি বিকৃত করা হবে ?
(৫) সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে বিরত হয়েছেন কি?
(৬) প্রতিহিংসার হিংসাত্মক রাজনীতি আর নয়, এই অঙ্গীকার আপনার আছে কি?
(৭) হামলা, মামলার মত দমন নীতি হতে বিরত হবেন কি?
(৮) শেয়ার ও ব্যাংক সেক্টরে ব্যপক অনিয়ম ব্ন্ধ হবে কি?
(৯) নির্বাচনে ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে কি?
(১০) ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দলের নেতাদের ১৫ ই আগস্ট ও ২১শে আগস্টের মত নির্লজ্জ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে আদর্শিক রাজনীতিতে ফিরে আসার সভ্য সংস্কারে আপনি এবং আপনার দল পরিশুদ্ধ হয়েছে কি?
(১১) আপনার অপরাজনীতিতে জজমিঞারা আবারো বলির পাঁঠা হবে নাতো?
(১২) জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে আপনি কি প্রস্তুত?
(১৩) লুটতরাজ বন্ধ হবে তো?
(১৪) বিরোধী দল দমনে আপনার স্বেচ্ছাচারি মানসিকতা পরিত্যাগ করে গণতন্ত্রে ফিরে আসতে প্রস্তুত তো?
(১৪) নির্বাচিত হলে বিরাগের বশবর্তী হয়ে সংখ্যালঘু আর বিরোধী দলের গরু-বাছুর, ঘরবাড়ি আবারো পুড়িয়ে দেবেন কি?
(১৫) ঝানঝটমুক্ত নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা প্রবর্তনে আপনার সক্ষমতা আছে কি?
(১৬) সর্বত্র দলীয়করণ বন্ধ হবে কি?
(১৭) ২০১৪ এর দৃশ্যমান উন্নয়ন থেকে শিক্ষা লাভ করে, উন্নয়নের প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হতে আপনি কি উপযুক্ত?
(১৮) গণতন্ত্র রক্ষায় আপনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আছেন তো?
মানুষ আশাবাদী, স্বপ্নই মানুষকে সম্মুখে এগিয়ে নিয়ে যায়। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, নির্বাচিত সরকারের কাছে জাতির প্রত্যাশা, গণতন্ত্র আর সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও ২০১৪ এর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ।


৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×