আজ ভার্জিনিয়ার ফ্যামিলি কোর্টে হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার ভিনদেশী স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারের বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে। ক্রিস্টিনাকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরন দিয়ে উভয়ের সম্মতিতে এই রায় হলো। সোফিয়া নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে...
আগামীকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা সাহেব একটি প্রেস কন্ফারেন্সের ডাক দিয়েছেন, সেইখানে তিনি স্পষ্টভাবে এই বিবাহ বিচ্ছেদ এর পেছনে জামাতের চক্রান্তের গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন বলে জানাবেন...
সূত্র বলেছে,
জয়ের সাথে অনেকদিন ধরে ক্রিস্টিনার বনিবনা হচ্ছে না। এ নিয়ে আগেও ডিভোর্সের গুজব উঠেছিলো। কিন্তু জয়ের র্যাকলেস চলাফেরা ও ব্যাপক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ক্রিস্টিনা ক্রমাগত বিরক্ত এবং বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বাংলাদেশের দুর্নীতিলব্ধ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার করে আমেরিকায় আনার ঘটনায় ক্রিস্টিনা যুক্তরাষ্ট্রের আইনানুগ তদন্ত নিয়ে উৎকন্ঠিত থাকত। এর আগেও ফ্যামিলি ভায়োলেন্সের অপরাধে জয়ের বিরুদ্ধে আদালতে যায় ক্রিস্টিনা।
আজকে মামলার রায়ের মাধ্যমে ভেঙ্গে গেলো জয়-ক্রিস্টিনার ১০ বছরের সংসার। জয়ের বাল্যকাল, কৈশোর ও শিক্ষা জীবন কেটেছে দিল্লিতে ও নৈনিতালে। ঐ সময় জয় এক শিখ মেয়েকে বিয়ে করেন, যা হাসিনা মেনে নেয় নি। পরে ২০০২ সালে আমেরিকায় এসে রিচার্ড লুমিস এর ডিভোর্সি স্ত্রী মার্কিন আইনজীবি ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন। তার মাধ্যমে জয় আমেরিকার নাগরিকত্ব হাসিল করে। ২০০৭ সালে শেখ হাসিনার কারন্তরীন হওয়ার পরে তাকে ছাড়ানোর জন্য এবং বাংলাদেশের ক্ষমতায় আনার জন্য জয়ের স্ত্রী ব্যাপক লবিয়িংঙে স্বামীকে সহায়তা করেন। ২০০৯ সালে মায়ের ক্ষমতায় বসার পরে শুরু হয় জয়ের বাড়াবাড়ি। অবৈধ টাকা আসার সাথে সাথে জয়ের ব্যাপক নৈতিক অবক্ষয় হয়। বার ও নৈশক্লাবে বিব্রতকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরাও পড়েন। এ নিয়েই শুরু হয় বিচ্ছেদের সূত্রপাত।
শেখ হাসিনার পুত্রকে আগামীতে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতায় আনার পথে ভিনজাতির এই বিয়েকে প্রতিবন্ধকতা হিসাবে গন্য করতেন। ধারনা করা যায়, ক্রিস্টিনার সাথে ছাড়াছাড়িতে রাজনৈতিক সুবিধা হবে শেখ হাসিনার। মামলার এ রায়ের সময় জয় উপস্থিত ছিলেন না। সপ্তাহ খানেক যাবৎ মায়ের কাছে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২১