পথ উজিয়ে বসে আছি পথেই
কবেকার যুদ্ধের ভাঙ্গা অস্ত্রশস্ত্র ফেল

পায়ে হাঁটা পথের পাথরনুড়ির এস্রাজে নিখাদ থেকে উঠে আসছে
গান নয়,
হুম হুম শবযাত্রার একটানা দীর্ঘ কোন সুর বাকিটুকু পড়ুন

১। গান

না-থাকার গানে
গোপন অর্কেষ্ট্রা বাজিয়ে চলেছে ভিখারির আধুলি
ম্যাজিক লুকিয়ে থাকে শুধু অনাবিল ধূর্ত মুদ্রায়

২। লাবণী

মগজে নেমে আসে ধারালো ক্ষুর-
আমার চাপা গোঙানিতে আজ
শহরের বাতাস আর কোলাহলপ্রিয়তা
থেমে যাচ্ছে,শূন্যতায় ভরে যাচ্ছে
অযুত-নিযুত সন্ধ্যার লাবণী
মেঘের ধার কামড়ে কামড়ে।

৩। রুমাল

ভীত পশুপাখি আর অসহায় মানুষের চোখে চোখ পড়লেই সবকিছু ভেঙ্গেচুড়ে... বাকিটুকু পড়ুন

সাঁইজলে আমাতোমার পাতাশরীর-

তিন প্রস্থ সময়ের কাছে
হাঁটুমুড়ে বসে আছে
গানের চিবুকে হাত দিয়ে কেন যে অহেতুক
স্পর্শ খুঁজি বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের শরীর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি
কীট অথবা পতঙ্গ যা হোক
একটা কিছু
পূর্ণদুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি দুর্গম গান বাজে
চোখের কাজল থেকেও কী করে যে মনোটনি আসে
সবকিছুর কথা একসময় বিস্ময় নিয়ে ভাবি
গসপেল থেকে পাখিদের উড়াউড়ি পর্যন্ত
অথবা কিছুই ভাবি না বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন জুতোজোড়া মুছে রাখি-
ডান-বামের হিসেব না-মেলা পা জুতোজোড়ায় রাখি
শিশুপুত্রের লোগোস দ্যাখে 'কোথাও রক্ষা আছে' ভেবে রাখি
'আছে নাকি?'-এই কথা সারাদিন তোমার কাছে লুকিয়ে
জুতোজোড়া নিজ ঘরে ছুঁড়ে ফেলতে ফেরত আসি বাকিটুকু পড়ুন

আচ্ছন্ন গানগুলোর চোখে ইনকগনিটো কাজল
হাতে খুচরো পয়সা-
আমার মতো
ভিখারি দ্যাখলেই ছুঁড়ে মারার জন্য ....


সেই থেকে পয়সা পেলেই বুকপকেটে তুলে রাখি বাকিটুকু পড়ুন

সন্ধ্যাটুকু ভেঙ্গে পড়ছে
হল্কাহীন রাতের দিকে যেতে যেতে
ভেবে রাখি ভাঙ্গা টুকরো-টাকরা নিয়ে আমার মায়ের ঘরে গিয়ে উঠবো
রাস্তা ছেড়ে হাঁটতে-হাঁটতে শুনি
সব শালা ভিখারির মতো হামুখ করে প্রার্থনাসঙ্গীত গাইতে বসেছে বাকিটুকু পড়ুন

অন্যতর নিয়মের বিষ্ঠা সরিয়ে
পুষ্পিত সৌরভের সামনে থালা নিয়ে বসে আছি-
সব দৃশ্য-গন্ধ আর টেনিস বলগুলোর গড়িয়ে-গড়িয়ে আমার জন্মের দিকে ছুটে যাওয়ার সময় হাওয়া ঘুরে উঠে
দূর থেকে দেখি:
বাবার কাঁধে শিশুর পা ঝুলিয়ে আরাম খাওয়ার দৃশ্যটার ভিতর অনেক অনেক তাপ....... বাকিটুকু পড়ুন

মনোগ্যামি

কাঠঠোকরার গল্পে পুনর্বার শীত ও আধুলি ধরা দিচ্ছে মনোগ্যামির চেহারায়
আর ওদিকে আকাশ-টাকাশ
ঝাড়পোছ করছে ঠাকুরদালানের
সুইপারেরা
এদিকে-
শীতপ্রবন আমি বারান্দায় বসে আধুলির
ধুলি উড়াচ্ছি প্রতিদিন রাতে

উড়াউড়ি

কিছু সত্য তুলে রাখি,নির্মোহ-
বালি ও জল- অবিরাম খোড়াখুড়ি
যেতে যেতে কোথাও থেকে যায়
অলিখিত রাত, বৃত্তের ভিতর বাঘের নিঃসঙ্গ হুংকার আর অযথা পাখিদের উড়াউড়ি..... বাকিটুকু পড়ুন

১।
দিনের খোসা ছাড়িয়ে
ফিরে আসি
কবেকার পুরাতন চিঠিঘ্রাণের দিকে
হরিণের গানে বাঘরাত্রি আসে
কেন যে আসে?

২।
উন্মাদনার ভাষা দেহগীতে
তোমার জন্য
সন্ধ্যার স্লেটে কে লিখেছিলো?
আমি।
আগ্নেয় গান নিয়ে পথ লুকিয়ে রেখেছিলাম
কুয়াজলে নিজের মুখ দ্যাখবো বলে...

৩।
মনমৃণালের মনীষা
ছিড়েখুঁটে খাচ্ছে
একদল কাক।
হরি, বুঝে রেখেছো তো খেলনার বাক্সটা? বাকিটুকু পড়ুন

ঈশ্বরের আলখেল্লা ছিঁড়ে

দ্যাখতে চাইছি ক্যামন তোমার শরীর

আমাদেরই মতো কী-না সব

যেখানে যা যা থাকার কথা

হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছি

পা,উরু, হাত, মাথা, চোখ

অন্ধ যেভাবে স্পর্শে আনে দৃষ্টি ... বাকিটুকু পড়ুন

পাশাপাশি যত ঝিনুক

পড়ে আছে জোয়ার-ভাটায় খেলাচ্ছলে

একে অপরের থেকে

ভালবাসে বেশি সমুদ্রের জলে ভিজে উঠতে……..

বাকিটুকু পড়ুন

বালির মাথা-মূর্ধা খুঁড়ে খুঁড়ে

জাগালাম সম্মোহন...

“যদি”-র সংশয় মন খারাপ করে

ধুলো উড়িয়ে আমার জন্য এই বেলায়

রেখে যায় সুপেয় জল, তৃষ্ণার

প্রতি পদ সজলতা- ... বাকিটুকু পড়ুন