১. বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভাবতে ভালোই লাগে - গাজী ট্যাংকের বিজ্ঞাপনে প্রয়াত গোলাম মোস্তফার সেই কথা। দেশ এখন আত্মহত্যার দিক দিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে। লিংকিন পার্কের গায়ক বেনিংটনের আত্মহত্যার কয়েকদিন পর আত্মহত্যা করলো মাইলসের মানাম আহমেদের ছেলে। আহ! ব্যস্ত অভিভাবকরা কোথায় আপনারা?
২. মিথিলা নিজেও কী তার আগে যারা আত্মহত্যা করেছিল তাদের খবর পড়েনি? পড়েছে হয়তো। কারণ, তারা একই লাইনের মানুষ। আর আজকাল তো ফেসবুক স্ট্যাটাস, ভিডিও দেয়ার পর আত্মহত্যা করছে সবাই। একটু ইনোভেটিভ। তো এসব ভিডিও, স্ট্যাটাস দেখে তারা কী বলত? হয়তো বলতো, বোকা মেয়ে। আত্মহত্যা কোন সমাধান হলো নাকি? কিন্তু কয়দনি পর সে নিজেও বোকামী করে বসে। হয়তো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে উপলব্দি হয় এ আমি কী করলাম? রিসিলার খবর পড়ে সামনে কে আত্মহত্যা করবে? জানিনা...
৩. এদের কীসের অভাব ছিল? তালাকের ব্যপারে আগের এক পোস্টে বলেছিলাম তারকা বা মিডিয়ার মানুষরা হলো সাধারণের চাইতে অনেক বেশী উদার। তারা চাইলেই তালাক দিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিবাহিত মডেল/অভিনেত্রী রা তালাক নয় সরাসরি আত্মহত্যার দিকে যাচ্ছে। রেখে যাচ্ছে এক নিষ্পাপ শিশুর অনুজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। যেখানে চাইলেই পারস্পরিক সমঝোতার প্রেক্ষিতে নতুন জীবন বা বিয়ে বা শারিরীক সম্পর্ক করা যায় সেখানে আত্মহত্যা কেন করছে তারা? তার মানে আমরা এখনো সেই লেভেলের উদার হতে পারি নি যেই লেভেলের আমরা ভাব ধরি বা দেখাই!
৪. কিছু কিছু দুর্ঘটনার পর আমরা সাধারণ জনগণ অবচেতন মনে খুশি হই! যেমন - সুমন/পিন্টুর পর আমরা ভেবেছিলাম বিয়ের আগে সেক্স কমবে। মেয়েরা সতর্ক হবে। হয়নি। বনানীর ঘটনার পরও ভেবেছিলাম মেয়েরা সতর্ক হবে। হয়নি। এখনো বেকুবের মত ছেলে বন্ধু ডাকলেই চলে যায়! ভেবেছিলাম অভিভাবকরা সচেতন হবে। হচ্ছে না। মিথিলা কিংবা রিসিলার আত্মহত্যার পর ভাবছি অভিভাবকরা সন্তানদের মিডিয়াতে যাওয়ার ব্যপারে আরো সতর্ক হবেন। হবে না...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০১