১. ভারতের মন্ত্রীসভায় রদবদল হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা নির্বাচনকে সামনে রেখে করা হয়েছে। সেখানকার মিডিয়া এটাকে নাম দিয়েছে 'টিম মোদী'। তো সেটা দেখে প্রথম আলো'র কলামিস্ট সোহরাব হোসেন একটা লেখা লিখেছেন, 'টিম হাসিনা'র সম্ভাবনা নিয়ে। মানে আমাদেরও আর ২ বছর পরে একটা নির্বাচন হতে পারে। সেটার জন্য শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভাতে কোন রদবদল আনবেন কিনা এসব ব্যপারে লেখাটা...
২. আমার মনে হয় বিশ্বে যে কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা ক্ষমতায় থাকতেই তৃপ্তি নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম। নিজের বাবার খুনীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করেছেন, দীর্ঘদিনের কাঁটা সাকা'র বিচার করেছেন, খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করেছেন, জিয়া বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করেছেন ইত্যাদি। সবাই ভেবেছিল ২০১৪ সালে বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেও সরকার বেশীদিন টিকবে না। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পার করে দিয়েছেন নিজের রাজনৈতিক চালে আর বি এন পি'র ব্যর্থতার কারণে। বি এন পি-ও আর আশা করেনা এই মেয়াদের আগে সরকার বদলের।
৩. শেখ হাসিনার আর কী চাই? সব আশাই তো পূরণ হয়েছে। তিনি কী পারতেন না একটা সুন্দর মন্ত্রীসভা উপহার দিতে? উনার আর কাকে ভয়? কেন দন্ডিত হওয়ার পরও মায়া এখনো মন্ত্রীত্ব করছেন? কেন প্রশ্ন ফাঁসের পরও নাহিদের মন্ত্রীত্ব যায় না? কেন বাজে গম আনার পরও কামরুলের মন্ত্রীত্ব যায় না? কেন বিমানের লসের পরও মেননের মন্ত্রীত্ব ঠিক থাকে? কীভাবে একটা পাগল অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছে? কেন এখনো শামীম ওসমানের কিছু হয় না? কেন ছাত্রলীগের নেতাদের বিচার হয় না? এভাবে লিস্ট করলে অনেক লম্বা হবে...
৪. এরা কী আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। এদের বাদ দিলে কী শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে? ভোট ছাড়াই তো উনি নির্বাচিত হবেন, আর ভোট হলেও উনার সেট আপে অন্য কেউ সুবিধা করতে পারবে না। আর্মিও দিবেন না উনি, তত্ত্বাবধায়কও দিবেন না, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারও দিবেন না। তো, বি এন পি নিশ্চিতভাবেই আসতে পারবে না পরের বারও! আর আওয়ামী লীগে আসবে সেই কলাগাছ গুলো। উনি কেন যেন এই সব কলা গাছ নিয়েই থাকতে চান। উনি দেশের রাজনীতিতে নতুন কিছু দিয়ে যেতে পারছেন না। তাই বলি, কলাগাছের আবার কীসের টিম?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯