১. সৈকত বিয়ের পর থেকে বেতন দেখেছে(পড়ুন রেখেছে) শুধু অফিস থেকে বাসায় আসা পর্যন্ত সময়টুকু। কারণ বাসায় আসার পরই সেটা তুলে দিতে হয় স্ত্রী'র হাতে। সৈকত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক কর্পোরেট যুবক। অনেক লিংকের মাধ্যমে বড়লোকের এক শ্যামলা মেয়েকে বিয়ে করে। হয়তো নিজের শিকড়ের দুর্বলতা আর পারিবারিক শান্তির জন্য সৈকত এটা মেনে নিচ্ছে বছরের পর বছর। তবু তার স্ত্রীর রাগ স্বামীর উপর। অন্য সবার অনেক কিছু আছে। তাদের কিছু নেই। ঝগড়া আর দাম্পত্য কলহ নিয়েই সংসার চলছে...
২. ফারুক আবার এইদিক দিয়ে লাকি। কারণ, ফারুকের স্ত্রীর তার স্বামীর টাকার প্রতি কোন লোভ নেই। ফারুকই ঘরের সব কিছু সামলায়। সবকিছু বলতে বাচ্চার স্কুল, সকালের নাস্তা, অফিস থেকে ফিরে রান্না, ঘর মোছা সহ অধিকাংশ ঘরের কাজ। কারণ, ফারুকের বউ ডিপ্রেশানের রোগী। সারাদিন এক রুমে বসে থাকে। ঝগড়া আর স্বামীকে সন্দেহ করতে করতে এই অবস্থা। এক ছেলে আছে। তালাক দিলে ছেলে হয়ে যাবে মা হারা, হয়ে যাবে ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান। সেই কারণে ইচ্ছের বিরুদ্ধে সংসার চালিয়ে যাওয়া...
৩. আর করিমকে কী বাদ দেয়া যাবে? (করিম আর কেয়া সম্পর্কে আগেই জেনে থাকবেন) করিমের স্ত্রী 'কেয়া' মানসিক রোগীও না, স্বামীর টাকাও দরকার নেই। সংসারের সব কাজও করে। তবে সবাইকে ভুল বুঝে। শাশুড়ি, দেবর, ননদ, ভাই, ভাবী, মা সবাই শুধু তার সাথে প্রতিনিয়ত অন্যায় করছে। ফলাফল, সবার থেকে দূরে। সে চায় করিম তার মা ভাইয়ের বিচার করুক। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। আর বিচার না করার মানে হলো কেয়া যা বলে সব মিথ্যা!! তাই করিমের সাথে ঝগড়া আর করিম বেচারা সন্তানের জন্য সংসার চালিয়ে যাচ্ছে...
৪. সৈকত ভাবে ফারুক লাকি। কারণ, ফারুকের টাকাটা ফারুকের কাছে থাকে। ফারুকের বউ যদি সৈকতের বউ হত, তাহলে ভালোবাসা দিয়ে ঠিক করে ফেলা যেত। ফারুক ভাবে করিম লাকি। কারণ, ফারুক যৌথ পরিবারে থাকে না। করিমের বউ যদি ফারুকের বউ হত, তাহলে ভালোবাসা দিয়ে ঠিক করে ফেলা যেত। করিম ভাবে সৈকত লাকি। কারণ, সৈকতের বউ সবার সাথে মিশে আর ভালো সম্পর্ক রাখে। সৈকতের বউ যদি করিমের বউ হত, তাহলে টাকা দিয়ে হলেও ভাই, বোন আর মার সামনে বউ নিয়ে কথা শুনতে হত না। আর ভালোবাসা দিয়ে ঠিক করে ফেলা যেত...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬