১. আমাদের কোম্পানীতে এক কাশ্মিরী(ইন্ডিয়ান) আছে। মোটামুটি বলা যায় ৯৯% লোক তাকে দেখতে পারে না। কারণ, সে বিশাল মাপের একজন চামচা। ইন্ডিয়ান হয়েও (যদিও অন্য কাশ্মিরীদের মত ইন্ডিয়ান সরকার বিরোধী) পাকিস্তানীদের পেছন পেছন ঘুরে। চামচামী করে অবশ্য অনেক সুযোগও আদায় করে নিয়েছে তুর্কী বসদের কাছ থেকে। স্টিল ফিক্সার থেকে হয়েছে সিকিউরিটি গার্ড, আবার সেখান থেকে লিফটিং সুপারভাইজার। তার একটা বদ অভ্যাস হলো, প্রায় সবার কাছে সিগারেট খুঁজে খাওয়া। ডিউটিতে ফাঁকি দেয়া, দেরি করে আসা আর প্যাঁচ লাগানোর অভ্যাস তো আছেই...
২. তার উপস্থিতি যে কারো জন্যই বিরক্তিকর। এমনকি আমার অফিসের টি বয়(বাংলাদেশী)-এর কাছেও সে বিরক্তের পাত্র। কারণ, সে ডিউটির সময় অফিসে এসে রেস্ট নিবে না হয় চা খাবে। ওদিকে বাইরের কাউকে চা দেয়া নিষেধ। একদিন কাশ্মিরী টি বয়-এর সাথে একটু খাতির করতে চাইলো। তাদের মধ্যে কথোপকথন ছিল অনেকটা এরকম ঃ
: তুমি আমাকে দেখতে পারো না কেন? আমি কাশ্মিরের। এই দেখ, কাশ্মির কত সুন্দর জায়গা! তোমাকে নিয়ে যাবো কাশ্মিরে(মোবাইলে কাশ্মিরের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখাল)
: কাশ্মির ভালো না।(না দেখেই টি বয় অশুদ্ধ হিন্দীতে)
: কী বলছো তুমি? কাশ্মিরের মত জায়গা আর কয়টা আছে?
: তুম আচ্ছা নেহি তো, কাশ্মির ক্যায়সে আচ্ছা হোগা(তুমি যেখানে ভালো না সেখানে কাশ্মির কীভাবে ভালো হবে!?)
৩. অল্প শিক্ষিত টি বয় সরল মনে যে কথাটি বললো তার কিন্তু অনেক বড় অর্থ দাঁড়ায়। এই যে, সারা বিশ্বের অনেক জায়গায় বাংলাদেশীদের ছোট করে দেখা হয় তার কারণ তো আমরাই। আমাদের খারাপ আচরণের কারণে অনেকে আমাদের দেখতে পারে না। শুধুমাত্র চরিত্রের কারণে ঐ কাশ্মিরীকে পৃথিবীর ভূস্বর্গ বলে খ্যাত কাশ্মির নিয়ে বাজে কথা শুনতে হলো। ঠিক একই ভাবে আমাদের খারাপ আচরণের কারণে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকেও বিদেশীরা অবচেতন মনে অপছন্দ করতে পারে। এ ব্যপারে সবার সচেতন হওয়া দরকার...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮