১. আমাদের দেশের পারিবারিক রাজনীতির একটা ভালো দিক আছে। তা হলো, দলীয় প্রধান হওয়ার লোভ নেই কারো। যে কারণে নেতায় নেতায় খুব সখ্যতা। কারণ. অবধারিতভাবেই আওয়ামী লীগ আর বি এন পি'র প্রধানের পদ পাবেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। ধরে নেয়া যেতে পারে এনাদের স্বাভাবিক জীবনাবসান অথবা অবসরের পরও এনাদের সন্তান বা পরিবারের কোন সদস্যই হয়তো প্রধান হবেন। নেতাদের কেউ তাদের কলিগকে প্রধান হিসেবে দেখতে চান না। মওদুদের পক্ষে জমির উদ্দিনকে মেনে নেয়া সহজ নয় কিংবা আশরাফুলের পক্ষে তোফায়েলকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। ক্লাসে অন্য বন্ধু শাস্তি পেলে যেমন তৃপ্তি লাগে তেমন এনারাও তৃপ্তিতে থাকেন এনাদের কেউই অন্যদের বস হবেন না!
২. নেতৃত্ব আর সংগঠনে মারামারি, খুনোখুনি বাংলাদেশের প্রতিদিনকার ঘটনা। প্রায় সময় নিজ দলের সম্মেলনে মারামারি করে বড় দুই দল। ২০০৯ সালে সংসদে ৩০ জনের বিএনপি'র খালেদা জিয়ার পাশে কে বসবে সেটা সুরাহা করতে না পেরে কাউকে বিরোধী দলের উপনেতাও বানানো হয়নি। কোমল মনের মেয়েদের ইডেন কলেজে চুলাচুলি তো ঐতিহাসিক ঘটনা। কিছুদিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরাও মারামারি করলেন। এমনকি কয়েকদিন আগে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপেও মারামারি হয়েছে! যেখানেই সংগঠন, সেখানেই মারামারি!
৩. কয়েক বছর আগে অন্ধ সংস্থার এক শীর্ষ নেতাকেও খুন করা হয়েছিল বিভিন্ন ভাগ ভাটোয়ারার কারণে। চিন্তুা করতে পারেন, অন্ধ হয়েও আক্রোশ কমেনি ক্ষমতার দ্বন্দ্বের! সেখানে এখন নাকি স্কুলে স্কুলে ছাত্রলীগের কমিটি করা হবে। ছাত্রলীগ শুরু করলে ছাত্র দলও করবে। তো দেখা যাবে, ক্লাসের বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সাথে হাঁটবে। ক্লাসে বন্ধুদের উপর দাদাগিরি করবে। নেত্রীর বিরুদ্ধে বললে, থাপ্পড় মারবে। হয়তো বা আরো বেশী কিছু। এমনিতেই ঢাকাতে কিশোর গ্যাং নতুন একটা সমস্যা। তার উপর ছাত্র রাজনীতি! নাহ, আমার ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে স্কুলের কিশোরগুলো না জানি কোন খারাপ পথে চলে যায়।
৪. যারা ইনিয়ে বিনিয়ে ছাত্র রাজনীতি রাখার পক্ষে আমি তাদের দেশপ্রেমিক মনে করি না। যারা স্কুলেও ছাত্র রাজনীতির পক্ষে আমি তাদের দেশদ্রোহী মনে করি। এই অল্প বয়সে দাদাগিরি তাদের হয়তো নেতা হতে সাহায্য করবে তবে মানুষ হতে নয়...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১