১. সবসময় কোন নেতা মারা গেলেই তার স্ত্রী বা সন্তান সেই আসনের প্রার্থী হয়ে যান। দল চিন্তা করে আবেগের কারণে ঐ আসনে বিপক্ষ দল সুবিধা করতে পারবে না, আসনটাও হাতছাড়া হবে না। তাই মৃত নেতার পরিবারের কাউকে দিলে জয় পাওয়া সুবিধার হয়। এই চিন্তা বড় দুই দলেই আছে। এই বাজে চিন্তার কারণে নতুন নেতা আসতে পারে না। হাসিনা, খালেদা নিজেই এই চিন্তার ফসল। তাই তারাও এই ধারা জারি রেখেছেন...
২. একটা আসনে কোন নেতা জনপ্রিয় হলেই কি তার পরিবারের জন্য সেই আসন ২০/৩০ বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়ে যায়? কেন ঐ আসনে ত্যাগী নেতা/কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে না? এ ক্ষেত্রে দুই নেত্রীর সিলেকশানের চেয়ে জরুরী হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। ঐ আসনের নেতা কর্মীদের মধ্যেই ভোট হবে তারা কাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। তাহলে আর কারো মধ্যে হতাশা জন্ম নিবে না...
৩. অবশ্য পরিবারের সদস্য মনোনয়ন দেয়ার জন্য আমাদের মত কিছু বেকুবও দায়ী। যারা অতি আবেগের বশে গণতন্ত্রের শিক্ষা ভুলে গিয়ে পরিবারতন্ত্রেই আস্থা স্থাপন করি। আনিসুল হক-এর মৃত্যুর পরপরই সোশাল মিডিয়াতে রোল পড়ে গিয়েছে পরবর্তী মেয়র হতে হবে আনিসুল হকের মত বা তার পরিবারের কাউকে! এ ক্ষেত্রে তেনার স্ত্রী রুবানা হককে অনেকেই প্রার্থী বানিয়ে বসে আছেন। এমনকি অনেক মিডিয়াও এমন প্রচার চালাচ্ছে। আবার মৃত নেতার ইমেজ এবং দলের মার্কা থাকলে সহজেই নির্বাচিত হওয়া যায় - এই ফর্মূলাতে বিশ্বাসী আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হকও পিতার দাফনের পরই মেয়র হওয়ার খায়েশ জানিয়েছেন মিডিয়াতে! ক্ষমতা বড়ই মিঠা! হেলায় সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়?
৪. দুই নেত্রীর কাছে অরণ্যে রোদন করি - পরিবারতন্ত্র বাদ দিন। সঠিক গণতন্ত্র না থাকার কারণে দেশ অনেক পিছিয়ে আছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন শেষ বয়সে এসে। কারণ, টাইম হইলে যাইতে হবে যাওয়া ছাড়া নাই উপায়...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২