somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষমতা, গণতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, বেকুব জনতা...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১. সবসময় কোন নেতা মারা গেলেই তার স্ত্রী বা সন্তান সেই আসনের প্রার্থী হয়ে যান। দল চিন্তা করে আবেগের কারণে ঐ আসনে বিপক্ষ দল সুবিধা করতে পারবে না, আসনটাও হাতছাড়া হবে না। তাই মৃত নেতার পরিবারের কাউকে দিলে জয় পাওয়া সুবিধার হয়। এই চিন্তা বড় দুই দলেই আছে। এই বাজে চিন্তার কারণে নতুন নেতা আসতে পারে না। হাসিনা, খালেদা নিজেই এই চিন্তার ফসল। তাই তারাও এই ধারা জারি রেখেছেন...

২. একটা আসনে কোন নেতা জনপ্রিয় হলেই কি তার পরিবারের জন্য সেই আসন ২০/৩০ বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়ে যায়? কেন ঐ আসনে ত্যাগী নেতা/কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে না? এ ক্ষেত্রে দুই নেত্রীর সিলেকশানের চেয়ে জরুরী হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। ঐ আসনের নেতা কর্মীদের মধ্যেই ভোট হবে তারা কাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। তাহলে আর কারো মধ্যে হতাশা জন্ম নিবে না...

৩. অবশ্য পরিবারের সদস্য মনোনয়ন দেয়ার জন্য আমাদের মত কিছু বেকুবও দায়ী। যারা অতি আবেগের বশে গণতন্ত্রের শিক্ষা ভুলে গিয়ে পরিবারতন্ত্রেই আস্থা স্থাপন করি। আনিসুল হক-এর মৃত্যুর পরপরই সোশাল মিডিয়াতে রোল পড়ে গিয়েছে পরবর্তী মেয়র হতে হবে আনিসুল হকের মত বা তার পরিবারের কাউকে! এ ক্ষেত্রে তেনার স্ত্রী রুবানা হককে অনেকেই প্রার্থী বানিয়ে বসে আছেন। এমনকি অনেক মিডিয়াও এমন প্রচার চালাচ্ছে। আবার মৃত নেতার ইমেজ এবং দলের মার্কা থাকলে সহজেই নির্বাচিত হওয়া যায় - এই ফর্মূলাতে বিশ্বাসী আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হকও পিতার দাফনের পরই মেয়র হওয়ার খায়েশ জানিয়েছেন মিডিয়াতে! ক্ষমতা বড়ই মিঠা! হেলায় সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়?

৪. দুই নেত্রীর কাছে অরণ্যে রোদন করি - পরিবারতন্ত্র বাদ দিন। সঠিক গণতন্ত্র না থাকার কারণে দেশ অনেক পিছিয়ে আছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন শেষ বয়সে এসে। কারণ, টাইম হইলে যাইতে হবে যাওয়া ছাড়া নাই উপায়...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×