১. 'রাজনীতি' শব্দটা কোট করেছি নেগেটিভ অর্থে। তিনি এর আগেও কয়েকবার অসুস্থ হয়েছিলেন। প্রতিবার অসুস্থতা থেকে ফেরত এসে আবার 'রাজনীতি' করেছেন। তেনার 'রাজনীতি' কী? বন্দর এর ডক শ্রমিকদের মধ্যে গ্রুপিং, সিটি কলেজ, কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিং, নির্বাচিত মেয়রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা, নিজের লোকদের দিয়ে প্রশাসন, বন্দরে প্রভাব বিস্তার করা, দুই সরকারের আমলেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করা, ব্লা ব্লা ব্লা।
২. উনার গ্রুপিং-এর কারণে কত ছাত্র প্রাণ দিল তার হিসাব নেই। উনার গ্রুপিং এর কারণে কত এমপি, ব্যবসায়ী লাঞ্চিত হলো তার হিসাব নেই। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া তে উনি চট্টগ্রামের হিরো। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের অভিভাবক। উনার স্বৈরাচারিতার কারণে নতুন নেতা বের হতে পারেনি। উনার স্ত্রীকে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর ছেলেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাইয়ে দিয়েছেন জীবিত থাকতে। এবার এই রাজপুত্র তার পিতার মত আবারও বন্দর, সিটি কলেজ, কমার্স কলেজে গ্রুপিং, ফ্যাসাদ জারি রাখবে।
৩. তিন বার মেয়র হওয়ার পর উনি যখন ৪র্থ বার হেরে গিয়েছিলেন তখনই উনার উচিত ছিল রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া। ততদিনে রাজনীতিতে দেয়ার মত কিছুই ছিল না তার। কিন্তু তবুও তিনি থেমে থাকেননি। সর্বশেষ নিজ দলের নির্বাচিত মেয়র আজম নাসিরকে খুনী বলে আলোচনায় আসেন। কিছুদিন পরেই আবার সেই খুনীকে জড়িয়ে ধরেন। এসব কোন ভালো রাজনীতি নয়। এসব রাজনীতি চট্টগ্রাম বাসীর কোন উপকারে আসে না। উনি ১৫ বছর যে বাজে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন সিসিসি-কে তা থেকে বের হয়ে আসতে এখনো বেগ পেতে হচ্ছে বলে পরবর্তী দুই মেয়র স্বীকার করেছেন।
৪. সবার শেষ আছে। হাজী সেলিম, জয়নাল হাজারি, সাদেক হোসেন রা অঘোষিত ভাবে অবসরে আছেন। এ বি এম মহিউদ্দিনের মৃত্যুতে আশা করি অন্য সিনিয়র নেতারা স্বৈরাচারি মনোভাব ছেড়ে দিয়ে নতুনে নেতৃত্বের কাছে জায়গা ছেড়ে দিবেন। আল্লাহ মহিউদ্দিন চৌধুরীকে জান্নাতবাসী করুক...
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৬