১. রংপুরের বোকা লোকদের 'মফিজ' বলার প্রচলন আছে। যদিও এটা বলা ঠিক নয়। কারণ, কোন অঞ্চলের মানুষকে ছোট করা উচিত নয়। তবে লেখার খাতিরে এই শব্দটা টেনে আনলাম।
২. লেখার উদ্দেশ্য সদ্য সমাপ্ত রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচন নিয়ে। যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বিপুল ভোটে। আর এ নির্বাচন নিয়ে কিছু সাংঘাতিক, কলামিস্ট, চুশীলের সুনাম করতে করতে মুখে ফেনা উঠে যাচ্ছে। সবাই ইসি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুনাম করছেন। আহাহা! এত ভালো নির্বাচন। আহাহা! আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হারে! আহাহা! ইসি চাইলে কত সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারে ব্লা ব্লা ব্লা...
৩. আরে আবাল, জ্ঞানপাপী, বেকুবের দল ঐ এলাকা হলো জাতীয় পার্টির ঘাঁটি। ওখানে এরশাদ ছাড়াও অন্য প্রার্থীর শেখ হাসিনাকে হারানোর রেকর্ড আছে। সাধারণত বড় দুই দল ক্ষমতায় থাকতে স্থানীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটায় না। এর আগে বি এন পি আমলে ঢাকা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিল। আবার আওয়ামী লীগ আমলে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেটে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিল। 'আইওয়াশ' করার জন্য খারাপ লোকও মাঝে মাঝে ভালো কাজ করে দেখায়। চোর সন্ত্রাসীও যদি কমিশনার, চেয়ারম্যান হয় তাহলে এলাকার উন্নয়ন করে...
৪. সবাই জানে এসব নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলে না। তাহলে কেন একটা ভালো নির্বাচন হলেই সবাই অতীত ভুলে যায়? কেন এই নির্বাচনের মূলা দেখিয়ে 'নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা'র দাবি থেকে ইনিয়ে বিনিয়ে পিছিয়ে আসার কথা বলা হয়? কেন আর্মি বিহীন নির্বাচনের কথা বলা হয় এই এক আসনের নির্বাচনকে দেখিয়ে? এগুলো কি সুস্থ রাজনৈতিক চিন্তা? সবাই কি বিক্রি হয়ে গিয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে?
৫. বিচারপতি খায়রুল হকের রায়, এমকিাস কিউরিদের মতামত উপেক্ষা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে ১০% ভোট দিয়ে নির্বাচন করার পরও জনগণ কি শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করতে পারছে? জনগণ কি বিশ্বাস করে যে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে সবাই নিজের ভোট দিতে পারবে? দেশে কি সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যে, দলীয় সরকারের(এমন কি বিএনপি থাকলেও) অধীনে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন হবে? যদি এসব প্রশ্নের উত্তর 'না' হয় তাহলে বলি রংপুরবাসী নয়, কাদের, হাসান, হানিফ, সোহরাব রাই মফিজ...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪