১. আগেই বলেছি, গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় বসবে। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও তাকে সরকার গঠন করতে দেয়া হয়নি যার ফলে দেশই ভাগ হয়ে যায়। যদিও তাঁর কন্যা সেই গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় সে পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বিএনপি-কে চাইলেও তিনি নানা ব্যবস্থা করছেন তাদের নির্বাচনে না আনার জন্য, নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে রাখছেন ইত্যাদি...
২. লাইবেরিয়ার সেরা ফুটবলার জর্জ উইয়াহ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। বিশ্বের যে কোন দেশেই রাজনীতির বাইরে থেকে যে কেউ এসে স্বাভাবিক রাজনীতি করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে অন্য পেশা থেকে রাজনীতিতে এলেই তাকে অনেক ট্যাগ খেতে হয়। এমনকি তার পেশাতেও সে কোণঠাসা হয়ে পড়ে যদি তার বিপক্ষ দল ক্ষমতায় থাকে। আমাদের দেশে সাহস করে যে কয়েকজন টিভি ব্যক্তিত্ব, গায়ক রাজনীতি করেছেন তারা যদি বিপক্ষ দলের হয়ে থাকে তাহলে তাদের কালো তালিকাভূক্ত করা হয়। তাদের আর টিভিতে দেখা যায় না সেই আমলে। দুই দলই এটা করে থাকে...
৩. আমাদের দেশে রাজনীতির বাইরে থেকে এসে সক্রিয় রাজনীতি করেন - এমন সংখ্যা খুবই নগন্য। কবরী সরাসরি ভোটে জিতেছেন। মমতাজ সংরক্ষিত আসনে। এছাড়া আর সবাই শুধুমাত্র সমর্থক বা দলে কোন দায়িত্বে নাম হিসাবে থাকেন। এতেই সরকারী দলের অনেক মাথা ব্যথা হয়ে যায়। সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক আমিনুল (যিনি একবার এশিয়ার ফুটবলার অব দ্য মান্থ হয়েছিলেন সম্ভবত) বিএনপি'র কী একটা পদে আছেন। তিনি খালেদা জিয়ার সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি এমন কী বড় মাপের নেতা হয়ে গেলেন যে তাকে রিমান্ডে নিতে হবে। তিনি কি কোন আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন? তিনি কি কোন আসনে আওয়ামীলীগের টেন্ডার হাতিয়ে নিচ্ছিলেন? কেন তুচ্ছ কারণে বিরোধী দলের নেতাদের এভাবে হয়রানি করা? রাজনীতির বাইরে থেকে কেউ এসে কি মূলধারার রাজনীতি করতে পারবে না? রাজনীতি কি শুধুই দলীয় ক্যাডার আর মাস্তানরাই করবে?
গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য...]
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬