১. ২০১৪ সালে প্রায় ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ার পর(অবশ্য ১৫০+ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে এমনিতেই আর ভোটের দরকার ছিল না। তবুও সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতা ও গণতেন্ত্রের ধারা (!) অব্যাহত রাখার জন্য 'তেনারা' নির্বাচনের আয়োজন করেন।
২. এরশাদের ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের পর সরকার টিকেছিল ২ বছর। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনের পর টিকেছিল ২.৫ বছরের মত। ৮৬-তে আওয়ামী লীগ অংশ নিলেও তখনকার বড় ও জনপ্রিয় দল বিএনপি অংশ নেয়নি। আর ৮৮-তে আওয়ামী লীগ, বিএনপি কেউই অংশ নেয়নি। খালেদার ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনেও বড় কোন দল অংশ নেয়নি। সেই সরকার টিকেছিল মাত্র ২১ দিন। এসব লেখার উদ্দেশ্য হলো সব দলের অংশগ্রহণ না থাকলে সেই সরকার বেশীদিন টিকতে পারে না! ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির আগ পর্যন্ত তাই ছিল অঘোষিত নিয়ম।
৩. কিন্তু যেটা এরশাদ পারেননি, যেটা খালেদা পারেননি সেটা করে দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। অনেকের মত আমিও ভাবতে পারিনি তিনি ২ বছর টিকতে পারবেন! কারণ হয়তো বা এই যে, তিনি বলেছিলেন এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন এবং একাদশ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া সরকারকে হঠানোর জঘন্য অস্ত্র হরতাল, অবরোধ, লগি, বৈঠা, কাস্তে এসব উপাদান তো তখনও শেষ হয়ে যায়নি! এত আন্দোলনে তিনি কীভাবে টিকে থাকবেন!
৪. শেখ হাসিনাকে আমি আজীবন ধন্যবাদ জানাবো তিনি হরতাল, অবরোধ কে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন এই জন্য। অনেকে বলতে পারেন, আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে গেলে আগের মত হিংস্র ভাবে হরতাল, অবরোধ করবে, জনতার মঞ্চ করবে। আমার সেটা মনে হয় না। কারণ, আন্দোলন দমন এবং বিরোধী দলকে কোণঠাসা করার সব পথ ও শিক্ষা শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন গত ৪ বছরে!
৫. যেহেতু, তিনি আর তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিবেন না, যেহেতু, তোফায়েল, হানিফ, ওবায়দুল কাদেররা প্রতিদিন বিএনপিকে দিচ্চ্ছেন 'পারলে ঠেকাও' জাতীয় উস্কানি, যেহেতু, আর্মি পুলিশ শেখ হাসিনার অনুগতই থাকবে(আর্মি না দেয়ারও চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ), যেহেতু বিডি ইসিদের তেমন ক্ষমতা নেই, তাই এই সংসদ তো টিকবেই বরং একই ফর্মূলায় আগামী ২০ বছরও আওয়ামী লীগ টিকে থাকবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১