১. হয়তো এখন আওয়ামী লীগ আছে বলে ছাত্রলীগের অপকর্ম আমাদের বেশী চোখে পড়ছে। প্রকৃতপক্ষে ছাত্র রাজনীতি মানেই বেয়াদব আর গুন্ডা তৈরি করা। ছাত্রনেতাদের কাজ কী? জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা, ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া, সালাম না দিলে মারধর করা, টেন্ডারবাজি, চাঁদা বা অন্যায় দাবী আদায়ের জন্য শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি এমনকি গায়ে হাত তোলা ইত্যাদি। কম বেশী এগুলো ছাত্রদল, ছাত্রশিবির আর ছাত্রলীগের ছেলেরা করে থাকে...
২. এবার আমরা নতুন জিনিস দেখতে পেলাম ছাত্রলীগের মেয়েরাও তাদের ছেলে সহকর্মীদের মত উগ্র হয়ে গিয়েছে। যদিও এতদিন এই বদনামের ভাগী ছিল ইডেন কলেজ। কিন্তু এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেত্রীরাও অমানুষে পরিণত হচ্ছে দিন দিন। যে নারীদের আমরা মা জাতি হিসেবে সম্মান করি সেই নারীদের মধ্যে এত হিংস্রতা কেন আসে তা বোঝার জন্য রিসার্চ করা লাগবে না। সব কিছুর মূলে ঐ একই ক্ষমতা, লোভ, প্রভাব, দল ক্ষমতায় গেলে দলীয় পুরস্কার-এসব কাজ করে...
৩. কিন্তু বিবেক বলে কি কিছু নেই? এই নেতা/নেত্রীদের ছেলে মেয়েরা কি এসব জানবে না? এদের সন্তানেরা কি বন্ধু বান্ধবদের সাথে তাদের বাবা/মায়ের কীর্তি নিয়ে বিব্রত হবে না? এদের অভিভাবকরাও কি বিব্রত হচ্ছেন না? অবশ্য এসব 'কীর্তিমান'দের ভদ্র ঘরের কেউ বিয়ে করবেও না। এরা "টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি" গল্পের মতই ব্যবহৃত হবে কিংবা স্বামীর সোহাগ না পেয়ে 'নারীবাদি' একা জীবন বেছে নিবে...
৪. ওহে নপুংসক ভিসিগণ। জীবনে তো অনেক খ্যাতি, সম্মান পেয়েছেন। এসব দেখে কী আপনাদের ভালো লাগে? আপনাদের ছাত্র/ছাত্রী কিংবা সহকর্মীদেরদের যে আপনাদেরই চোখের সামনে গুটি কয়েক গুন্ডা পান্ডা অত্যাচার করছে তবুও আপনারা ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে বলবেন না? তবুও দালালি করবেন উপাচার্য হওয়ার জন্য? এটাই আপনাদের বিবেক বলে?
৫. ম্যাডাম শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। দেখুন নারী হয়ে আপনাদের আশকারার ছাত্র রাজনীতি আজকে নারীদের কত ভয়ংকর করে তুলেছে। পরবর্তী প্রজন্ম এই হিংস্র নারীদের জনসমক্ষে কী করে বসে সেটার কথা ভেবে এখনই ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করুন...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১০