১. স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গত বছর ওয়াদা করে বলেছিলেন, আগামী বছর(২০১৮) থেকে ঢাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্রমিজ করছি, সামনের বছর থেকে আর এসব (জলাবদ্ধতা) দেখবেন না। কিছুদিনের মধ্যই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’ মন্ত্রী বৃষ্টির কারণে বর্তমান জলাবদ্ধতাকে অস্বাভাবিক পরিস্থিত উল্লেখ করে বলেন, ‘এই পরিস্থিতিটা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি, কোন জায়গাতে আটকা পড়ছি। সে জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেব। ঢাকার ৪৬টি খালের মধ্যে ১৮টির উন্নয়ন করতে হবে। এগুলো অবশ্যই করতে হবে। ওয়াসাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভারী বৃষ্টি হলেও যাতে তিন ঘণ্টার মধ্যে পানিনিষ্কাশন হয়।’
২. অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে এই প্রথম কোন মন্ত্রীর কথা আমি বিশ্বাস করেছিলাম যেহেতু সময় ফিক্সড করা হয়েছিল এবং 'চেষ্টা করব' বলা হয়নি। কিন্তু গত দুই দিনের রিপোর্টেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে আসলে কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। ঢাকাতে সেই আগের মতই সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে...
৩. এই মিথ্যাবাদী রাজনীতিবিদ, মন্ত্রীদের নিয়ে আর কত পোস্ট প্রসব করব? এনারা তো কিছুই করছেন না, তরুণদেরও সুযোগ দিচ্ছেন না। সবচেয়ে নিকৃষ্ট একটা রাজধানীর মন্ত্রী হিসেবে নিশ্চয়ই অনেক গর্ববোধ করেন তেনারা। তার উপর মাসে মাসে জরিপ আর বাটি এওয়ার্ডের কল্যাণে তো তেনাদের নেত্রীও খুশীতে গদগদ। চামচাদের পক্ষ থেকে আজীবন প্রধানমন্ত্রী করার খায়েশ তো ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে...
৪. মওদুদ, খালেদাকে বাড়ি থেকে বের করা যায়, খালেদার জামিন আটকানো যায়, কিন্তু ফুটপাথ দখলমুক্ত করা যায় না, সিটি বাস নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, ঢাকার খাল উদ্ধার করা যায় না। চোর চাট্টার দোসর রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী। তার আবার প্রমিজ। থু!...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৮