১. ইতিহাস নিয়ে ত্যানা প্যাঁচানোর সময় নেই। ইসরাইল এখন বাস্তব। ফিলিস্তিনও বাস্তব। কে কার ভুমিতে এসেছিল, কে কাকে আশ্রয় দিয়েছিল এসব বলে এখন সমাধান হবে না। কিছুদিন আগে একটা ডকুমেন্টারিতে দেখলাম নেপালও দাবী করছে তাদের অনেক জায়গা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পড়েছে। মানে এগুলো নেপালী রাজাদের অধীনে ছিল। কিন্তু নেপাল কি এগুলো নিয়ে এখন ভারত, বাংলাদেশের সাথে কিছু করতে পারবে?...
২. ফিলিস্তিনীদের জায়গায় বাংলাদেশীরা থাকলে এতদিন লাগত না স্বাধীন হতে! এরা না পেরেছে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যুদ্ধ করতে না পেরেছে আলোচনা করে সমাধান করতে। এদের একটাই আশা ছিল জাতিসংঘ আর আরব ভাইয়েরা এদের স্বাধীনতা এনে দিবে। কিন্তু পৃথিবী বদলে গিয়েছে। রাজনীতি বদলে গিয়েছে। দুই কোরিয়াও এখন আলোচনা শুরু করেছে। আর কত রক্তপাত, হিংসা, যুদ্ধ?...
৩. ইসরাইলের প্রধান ও শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষক হলো আমেরিকা। সেই আমেরিকার সাথে প্যালেস্টাইনের মত পিছিয়ে পড়া একটা জাতি কীভাবে পেরে উঠবে? আজকেই সহ ব্লগার আল শাহরিয়ার ভাইয়ের লেখাতে জানলাম আমেরিকান সৈন্য ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়ার পরও সম্পর্ক খারাপ হবে ভেবে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এটা নিয়ে বেশী মাতামাতি করেননি। যেখানে তাদেরই(ফিলিস্তিন) চোখের সামনে সাদ্দাম হোসেন আর গাদ্দাফির পতন দেখেছে তারা। মুসলিম পিতার সন্তান বারাক ওবামা যেখানে ৮ বছরে ফিলিস্তিনের জন্য কিছু করতে পারেনি সেখানে কীভাবে কিছু মুসলিম অধিবাসী বিরোধী ট্রাম্প তাদের জন্য কিছু করবে?...
৪. সৌদি আরবে অনেক সংস্কার চলছে। বাদশাহর চেয়েও বাদশাহগিরি করছে তার সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমান(এম বি এস)। অনেক সংস্কার মুসলিম হিসেবে আমারও খারাপ লাগছে। কিন্তু গতকাল খবরে যা পড়লাম তাতে আরো একবার মনে হচ্ছে ফিলিস্তিনের জন্য ইতিবাচক কিছু ঘটবে। একমাত্র সৌদি আরব যদি আমেরিকা ও ইসরাইলকে মানাতে পারে তবেই ফিলিস্তিনের জন্য সুবিধা হবে। ফিলিস্তিনকে অবশ্যই দুই দেশ নীতি মানতে হবে। ভূমি ছাড় এখন বাস্তবতা মাত্র! আর তারা যদি মনে করে পাথর মেরে কোন দেশ স্বাধীন করা যাবে তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই...
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৫