somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী লীগকে কি ক্ষমতা থেকে আদৌ সরানো যাবে?

২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১. ১৯৯১ সাল থেকে মোটামুটি গণতান্ত্রিক ভাবে সরকার নির্ধারিত হত। তিন মাসের 'অসীম ক্ষমতাধর তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর উপর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সন্তুষ্ট থাকত। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সাল পর্যন্ত জনগণ ক্ষমতার পালাবদলকে অবধারিত হিসেবেই নিয়েছিল। '৯৬-এর কার্যকলাপের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে '০৬-এ আসা সম্ভব ছিল না। কারণ, বিএনপি ভোট ও জামায়াত ভোট ছাপিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে জেতা সম্ভব ছিল না(এখনও সম্ভব নয়)...

২. তবে বিএনপি'র মধ্যে সৎ সাহসের অভাব ছিল। তারা জানত, 'তিন মাসের অসীম ক্ষমতাধর তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর সময় আওয়ামী লীগ ভোটারদের পক্ষে নিলেও নিতে পারে! নিজেদের খাম্বা দুর্নীতি, বাংলা ভাই/জেএমবি ইস্যু, বিকল্প ধারা মিলিয়ে তারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগ আবারও কান্না কাটি করে ক্ষমতায় চলে আসতে পারে! মওদুদের মাথায়(কিংবা দলের প্ররোচনায়) কুবুদ্ধি আসে বিচারকদের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। বাকীটা সবাই জানে কী থেকে কী হয়েছে...

৩. ১/১১ সরকারের সহায়তায় আওয়ামী লীগ ২০০৮-এ আসলেও তারাও জানত 'তিন মাসের অসীম ক্ষমতাধর তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর জুজুর ভয়। তাই তারা সুযোগ পেয়েই জনমত এবং আদালতের বিপরীতে গিয়ে সেটা বাতিল করল। বাকীটা সবাই জানে কী থেকে কী হয়েছে। আওয়ামী লীগের মত দল টানা ১০ বছর ক্ষমতায়। প্রতিকূল জনসমর্থনের পরও তারা টিকে আছে তাদের নিজস্ব কৌশলের কারণে। আবার সুবিধাভোগী বিশাল এক শ্রেণীও পরবর্তী দৌড়ানির ভয়ে আর চাইছে না আওয়ামী লীগের পরাজয়...

৪. বর্তমান অবস্থায় আর আওয়ামীলীগকে হারানো যাবে না। যদি ২০০৬-এর ২৮শে অক্টোবরের মত কিছু হয় তাহলে 'ওনারা' কিছু একটা করতে পারেন। কিন্তু এখন আর তেমন কিছু করার আগ্রহ কারো মধ্যে নেই। নিজের জানের মায়া সবারই আছে। বি এন পি নেতাদের প্রায় সবারই পরিবার সেটেল্ড। এখন ক্ষমতার আগ্রহও কমে গিয়েছে মনে হয়। হরতাল, অবরোধ দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যায় না সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তবে, আওয়ামী লীগকে হারানোর একটা উপায় আমার মাথায় আছে। সেটা পরবর্তী পোস্টে প্রসব করব ইনশাআল্লাহ...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×