১. ১৯৯১ সাল থেকে মোটামুটি গণতান্ত্রিক ভাবে সরকার নির্ধারিত হত। তিন মাসের 'অসীম ক্ষমতাধর তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর উপর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সন্তুষ্ট থাকত। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সাল পর্যন্ত জনগণ ক্ষমতার পালাবদলকে অবধারিত হিসেবেই নিয়েছিল। '৯৬-এর কার্যকলাপের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে '০৬-এ আসা সম্ভব ছিল না। কারণ, বিএনপি ভোট ও জামায়াত ভোট ছাপিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে জেতা সম্ভব ছিল না(এখনও সম্ভব নয়)...
২. তবে বিএনপি'র মধ্যে সৎ সাহসের অভাব ছিল। তারা জানত, 'তিন মাসের অসীম ক্ষমতাধর তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর সময় আওয়ামী লীগ ভোটারদের পক্ষে নিলেও নিতে পারে! নিজেদের খাম্বা দুর্নীতি, বাংলা ভাই/জেএমবি ইস্যু, বিকল্প ধারা মিলিয়ে তারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগ আবারও কান্না কাটি করে ক্ষমতায় চলে আসতে পারে! মওদুদের মাথায়(কিংবা দলের প্ররোচনায়) কুবুদ্ধি আসে বিচারকদের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। বাকীটা সবাই জানে কী থেকে কী হয়েছে...
৩. ১/১১ সরকারের সহায়তায় আওয়ামী লীগ ২০০৮-এ আসলেও তারাও জানত 'তিন মাসের অসীম ক্ষমতাধর তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর জুজুর ভয়। তাই তারা সুযোগ পেয়েই জনমত এবং আদালতের বিপরীতে গিয়ে সেটা বাতিল করল। বাকীটা সবাই জানে কী থেকে কী হয়েছে। আওয়ামী লীগের মত দল টানা ১০ বছর ক্ষমতায়। প্রতিকূল জনসমর্থনের পরও তারা টিকে আছে তাদের নিজস্ব কৌশলের কারণে। আবার সুবিধাভোগী বিশাল এক শ্রেণীও পরবর্তী দৌড়ানির ভয়ে আর চাইছে না আওয়ামী লীগের পরাজয়...
৪. বর্তমান অবস্থায় আর আওয়ামীলীগকে হারানো যাবে না। যদি ২০০৬-এর ২৮শে অক্টোবরের মত কিছু হয় তাহলে 'ওনারা' কিছু একটা করতে পারেন। কিন্তু এখন আর তেমন কিছু করার আগ্রহ কারো মধ্যে নেই। নিজের জানের মায়া সবারই আছে। বি এন পি নেতাদের প্রায় সবারই পরিবার সেটেল্ড। এখন ক্ষমতার আগ্রহও কমে গিয়েছে মনে হয়। হরতাল, অবরোধ দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যায় না সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তবে, আওয়ামী লীগকে হারানোর একটা উপায় আমার মাথায় আছে। সেটা পরবর্তী পোস্টে প্রসব করব ইনশাআল্লাহ...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬